অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (দু একটি শব্দে):
- একজোড়া পরমাণুর উদাহরণ দাও যারা পরস্পরে আইসোটোপ।
1H1 , 1H2
- কোন মৌলের পরমাণু ক্রমাঙ্ক ও ভরসংখ্যা বলতে কী বোঝায়?
পরমাণু ক্রমাঙ্কঃ কোনো মৌলের পরমানুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন সংখ্যাকে তার পরমাণু ক্রমাঙ্ক বলে।
ভরসংখ্যাঃ পরমানুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফলকে ভরসংখ্যা বলে।
- উর্দ্ধপাতন কী?
পদার্থের কঠিন অবস্থা থেকে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হওয়াকে উর্দ্ধপাতন বলে।
- গলিত সোডিয়াম ক্লোরাইড এর মধ্যে দিয়ে তড়িৎ পরিবহন ঘটে কিসের মাধ্যমে?
আয়নের মাধ্যমে।
- 14C6পরমাণুর প্রোটন ও নিউটন সংখ্যা উল্লেখ করো।
14C6 পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা = 6 এবং নিউট্রন সংখ্যা = (14-6)= 8
- যৌগ গুলির সংকেত লেখো: অ্যালুমিনিয়াম সালফেট, জিংক অক্সাইড।
অ্যালুমিনিয়াম সালফেট – Al2(SO4)3
জিংক অক্সাইড – ZnO
- একটি জলে দ্রাব্য পদার্থের নাম ও একটি কেরোসিনের দ্রাব্য পদার্থের নাম লেখ।
একটি জলে দ্রাব্য পদার্থের নাম হল লবণ।
একটি কেরোসিনের দ্রাব্য পদার্থের নাম চিনি।
- ফেরিক ক্লোরাইড যৌগটি সংকেত লেখো এবং যৌগটিতেফেরিকআয়নের যোজ্যতা কত হবে তা উল্লেখ করো।
ফেরিক ক্লোরাইড যৌগের সংকেত FeCl3
যৌগটিতে ফেরিক আয়নের যোজ্যতা হল- 3
- একটি পরমাণুর নাম লেখ যেখানে কোন নিউট্রন কণা নেই।
সাধারণ হাইড্রোজেন।
- মারকিউরাস ক্লোরাইড এর সংকেত লেখ।
Hg2Cl2
- আয়নীয় যৌগে প্রকৃত অনুর অস্তিত্ব আছে কি?
না।
- পরমাণুর নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রন এর মধ্যে কি ধরনের আকর্ষণ বল ক্রিয়াশীল।
স্থির তড়িৎ আকর্ষণ বল।
- জলের অনুতে কি ধরনের রাসায়নিক বন্ধন উপস্থিত?
সমযোজী বন্ধন।
- কেলাস কী?
সুনির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকৃতি বিশিষ্ট দানাকে ওই পদার্থের কেলাস বলে।
- মিথেন যৌগটি সংকেত লেখ।
CH4
- কোন ধরনের যৌগের ক্ষেত্রে অণুর অস্তিত্ব নেই?
আয়নীয় যৌগ।
- ধাতুগুলি কোন কণার সাহায্যে তড়িৎ পরিবহন করে?
ইলেকট্রন।
- একটি তরল ধাতুর উদাহরণ দাও।
পারদ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (একটি বা দুটি বাক্যে):
- মারকিউরাস ক্লোরাইড ও ক্যালসিয়াম ফসফেট এর সংকেত লেখো।
মারকিউরাস ক্লোরাইড- Hg2Cl2
ক্যালসিয়াম ফসফেট- Ca3(PO4)2
- কার্বনের যোজ্যতা 4 ও ক্লোরিনের যোজ্যতা 1 হলে, কার্বন টেট্রাক্লোরাইড এর সংকেত লেখ ও অনুর প্রাথমিক গঠন কেমন হবে দেখাও।
কার্বন টেট্রাক্লোরাইড এর সংকেত- CCl4
কার্বন টেট্রাক্লোরাইড অণুর প্রাথমিক গঠনঃ
- প্লাজমা (Plasma) কাকে বলে?
খুব বেশি উষ্ণতায় গ্যাসের অণুরা ভেঙে পরমানু হয়ে যাবে, তারপর একসময় পরমানু ছেড়ে ইলেকট্রনরাও আলাদা হয়ে যাবে। নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ বল তখন আর পরমানুর মধ্যে ইলেকট্রনদের ধরে রাখতে পারবে না। এই প্রচণ্ড গরম গ্যাসীয় অবস্থা যার মধ্যে আলাদা আলাদা হয়ে পরমানুর নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রনগুলি দৌড়াদৌড়ি করে একেই বলা হয় প্লাজমা (Plasma)।
- 23Na11পরমাণুর ইলেকট্রন সংখ্যা ও নিউট্রন সংখ্যা কত?
ইলেকট্রন সংখ্যা = 11 এবং নিউট্রন সংখ্যা= 12
- পরমাণু থেকে কিভাবে ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন তৈরি হয়?
পরমাণু থেকে ইলেকট্রন বেরিয়ে গেলে ক্যাটায়ন উৎপন্ন হয় আর পরমাণুর সঙ্গে ইলেকট্রন যুক্ত হলে অ্যানায়ন উৎপন্ন হয়।
- কঠিন সোডিয়াম ক্লোরাইড তড়িৎ পরিবহন করে না কেন?
কঠিন অবস্থায় সোডিয়াম ক্লোরাইড কোন আয়ন উৎপন্ন করে না । তাই তড়িৎ পরিবহন করতে পারে না।
- একটি আয়নীয় যৌগ ও একটি সমযোজী যৌগের উদাহরণ দাও।
আয়নীয় যৌগের উদাহরণ হল সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) এবং সমযোজী যৌগের উদাহরণ হল মিথেন(CH₄)।
- আইসোটোপ, আইসোবার, আইসোটোন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
আইসোটোপ: যেসব পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা অর্থাৎ পরমাণু ক্রমাংক সমান কিন্তু নিউটন সংখ্যা ভিন্ন তাদের পরস্পরের আইসোটোপ বলা হয়।
যেমন- 6C12 , 6C14
আইসোবার: ভিন্ন ভিন্ন মৌলের যেসব পরমাণুর ভরসংখ্যা সমান কিন্তু প্রোটন সংখ্যা ভিন্ন তাদের পরস্পরের আইসোবার বলা হয়।
যেমন- 6C14 , 7N14
আইসোটোন: বিভিন্ন মৌলের পরমাণু যাদের নিউট্রন সংখ্যা সমান তাদের পরস্পরের আইসোটোন বলে।
যেমন- 19K39 , 20Ca40
- মূলক (Radical) কী? উদাহরণ দাও।
একাধিক পরমানু জোটবদ্ধ হয়ে যে আয়ন তৈরি করে তাকে বলা হয় মূলক। যেমন সালফেট মূলক (SO42-), ফসফেট মূলক (PO43-)।
- সংকেত লেখো: ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড, অ্যালুমনিয়াম অক্সাইড।
ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড – MgCl2 , অ্যালুমনিয়াম অক্সাইড- Al2O3
- ডালটনের পরমাণুবাদ গুলি লেখ।
১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে ডালটান তার পরমাণুবাদ প্রকাশ করেন। জন ডালটনের পরমাণুবাদ গুলি হল
(১) মৌলের ক্ষুদ্রতম অবিভাজ্য কণা হলো পরমাণু যা সৃষ্টিও করা যায় না ধ্বংস ও করা যায় না।
(২) একই মৌলের পরমাণু গুলি ভর ও রাসায়নিক ধর্মে একই রকম।
(৩) ভিন্ন ভিন্ন মৌলের পরমানু গুলি ভর ও ধর্মে আলাদা।
(৪) রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় বিভিন্ন মৌলের পরমাণুরা পূর্ণ সংখ্যার সরল অনুপাতে যুক্ত হয়ে যৌগ গঠন করে।
- রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল গুলি লেখ।
(১) পরমাণুর বেশিরভাগ জায়গায় ফাঁকা।
(২) পরমাণুর প্রায় সমস্ত ভরই তার মাঝখানে অতি অল্প জায়গায় জড়ো হয়ে আছে। এই ভারী জায়গার নাম নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রক।
(৩) পরমাণু নিউক্লিয়াসের মধ্যেই তার সমস্ত ধনাত্মক চার্জ সীমাবদ্ধ থাকে।
(৪) নিউক্লিয়াস কে কেন্দ্র করে ইলেকট্রন গুলি নানান বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরছে।