
প্রাকৃতিক ভূগোল :
ভূগাঠনিক বিদ্যা (প্রথম অধ্যায়)
ভূমিরূপ প্রক্রিয়া সমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়)
জলবায়ু (তৃতীয় অধ্যায়)
- আপেক্ষিক আর্দ্রতা পরিমাপকারী যন্ত্রের নাম কী?
(A) ব্যারোমিটার
(B) হাইগ্রোমিটার
(C) সাইক্রোমিটার
(D) অ্যাটমোমিটার - ঘনীভবনের অনুকূল শর্ত কোনটি নয়?
(A) শীতলীভবনের হার
(B) বায়ুতে জলাকর্ষী কণার উপস্থিতি
(C) উচ্চ তাপমাত্রা
(D) আপেক্ষিক আর্দ্রতা - সিরো-কিউমূলাস মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় না কেন?
(A) কারণ এরা নিচু স্তরের মেঘ
(B) কারণ এরা জলীয় বাষ্পহীন
(C) কারণ এরা বর্ষার মেঘ নয়
(D) কারণ এরা ১০-১২ কিমি উচ্চতায় থাকে - চরম বা নিরপেক্ষ আর্দ্রতা পরিমাপের একক হল —
(A) গ্রাম প্রতি ঘনমিটার
(B) ডবসন
(C) মিলিবার
(D) নট - মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টিপাতের ফলে সাধারণত কী ঘটে?
(A) বৃষ্টি কম হয়
(B) শিলাবৃষ্টি হয়
(C) হড়পা বান সৃষ্টি হয়
(D) শিশির পড়ে - ঘনীভবনের জন্য কোনটি অপরিহার্য?
(A) শীতলীকরণ
(B) জলীয় বাষ্প
(C) ধূলিকণা
(D) উপরের সবগুলো - অ্যাসিড বৃষ্টির pH মান কত?
(A) 4.6
(B) 5.6
(C) 6.7
(D) 7.7 - সিরাস মেঘ দেখতে কেমন?
(A) তুলোর মতো
(B) ধোঁয়ার মতো
(C) ছায়াযুক্ত
(D) পাখির পালকের মতো - বৃষ্টিপাতের প্রধান রূপ কোনটি?
(A) শিশির
(B) তুষারপাত
(C) বৃষ্টিপাত
(D) শিলাবৃষ্টি - পর্বতের অনুবাত ঢালকে কী বলা হয়?
(A) বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা
(B) জলাভূমি অঞ্চল
(C) শুষ্ক ছায়া অঞ্চল
(D) উপত্যকা - শীতকালে আপেক্ষিক আর্দ্রতা কেমন থাকে?
(A) সর্বাধিক
(B) মধ্যম
(C) সর্বনিম্ন
(D) বর্ষার সমান - হাইগ্রোমিটার দিয়ে কী পরিমাপ করা হয়?
(A) বৃষ্টিপাত
(B) তাপমাত্রা
(C) আর্দ্রতা
(D) বায়ুচাপ - সংঘর্ষ সম্মেলন তত্ত্বের প্রবক্তা কে?
(A) বোয়েন
(B) ফিন্ডেসন
(C) বার্জেরন
(D) পিটারস - আপেক্ষিক আর্দ্রতা পরিমাপের একক কী?
(A) মিলিগ্রাম
(B) শতকরা
(C) গ্রাম
(D) কিলোগ্রাম - নিম্নলিখিত কোনটি অধঃক্ষেপণের অন্তর্ভুক্ত নয়?
(A) কুয়াশা
(B) বৃষ্টিপাত
(C) তুষারপাত
(D) শিশির - আয়তন বৃদ্ধি করে শীতলীকরণকে বলা হয় —
(A) ডায়াবেটিক পদ্ধতি
(B) অ্যাডিয়াবেটিক পদ্ধতি
(C) বাষ্পীয় প্রস্বেদন
(D) শিশিরাঙ্ক - আয়তন অপরিবর্তিত রেখে বায়ুর শীতলীকরণকে বলা হয় —
(A) অ্যাডিয়াবেটিক পদ্ধতি
(B) ডায়াবেটিক পদ্ধতি
(C) শিশিরাঙ্ক পদ্ধতি
(D) বাষ্পীভবন পদ্ধতি - ভারতের সর্বাধিক বৃষ্টিপ্রাপ্ত স্থান কোনটি?
(A) শিলং
(B) মৌসিনরাম
(C) চেরাপুঞ্জি
(D) পশ্চিমঘাট - সিরো কিউমুলাস মেঘযুক্ত আকাশকে বলা হয় —
(A) ম্যাক্যারেল স্কাই
(B) স্টর্ম ক্লাউড
(C) সানস্কাই
(D) প্যালো ক্লাউড - পর্বতের ঢালে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু ধাক্কা খেলে কী হয়?
(A) শুষ্ক আবহাওয়া তৈরি হয়
(B) মেঘ সৃষ্টির সম্ভাবনা কমে
(C) শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত হয়
(D) শিশু পড়ে - বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা নির্ভর করে —
(A) শুধুমাত্র তাপমাত্রার উপর
(B) শুধুমাত্র জলীয় বাষ্পের উপর
(C) তাপমাত্রা ও জলীয় বাষ্প উভয়ের উপর
(D) শুধুমাত্র বায়ুর চাপের উপর
- পর্বতের উপরিভাগে বরফ থাকলে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত কমে যায় — এই উক্তি কি সত্য?
(A) হ্যাঁ
(B) না
(C) আংশিক সত্য
(D) নির্ভর করে অবস্থানের উপর - নিম্নের কোনটি অধঃক্ষেপণের প্রকারভেদ?
(A) শিশির
(B) কুয়াশা
(C) বৃষ্টিপাত
(D) সবগুলি - ‘ঘনীভবন’ শব্দটি কে প্রথম ব্যবহার করেন?
(A) ফিন্ডেসন
(B) কির্চার
(C) বার্জেরন
(D) ডাল্টন - দূষণের জন্য ধোঁয়াশার কারণ কী?
(A) বৃষ্টিপাত
(B) সূর্যরশ্মি
(C) দূষক
(D) নিম্নচাপ - নিচের কোনটি জলীয় বাষ্প ধারণ করতে সাহায্য করে না?
(A) ধূলিকণা
(B) তাপমাত্রা
(C) বায়ুর চাপ
(D) বৃষ্টিপাত - পর্বতের প্রতিবাত ঢালে কী ঘটে?
(A) প্রবল বৃষ্টিপাত
(B) বৃষ্টিচ্ছায়া সৃষ্টি
(C) হিমবৃষ্টি
(D) তাপমাত্রা বৃদ্ধি - শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত কিসের উপর নির্ভর করে?
(A) তাপমাত্রা
(B) সমুদ্রস্তর
(C) পাহাড়ের ঢাল
(D) মেঘের উচ্চতা - বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা হ্রাস পেলে —
(A) ঘনীভবন বাড়ে
(B) ঘনীভবন হ্রাস পায়
(C) একই থাকে
(D) বৃষ্টিপাত বাড়ে - নিচের কোনটি বৃষ্টিপাতের ধরন নয়?
(A) শৈলোৎক্ষেপ
(B) পরিচলন
(C) ঘূর্ণ
(D) বাষ্পীভবন - অ্যাসিড বৃষ্টির pH মান সাধারণত —
(A) 6.7
(B) 5.6
(C) 7.7
(D) 4.6 - হাইগ্রোমিটার কোন পরিমাপে কাজ করে?
(A) সেলসিয়াস
(B) শতাংশ
(C) পিএইচ
(D) মিলিবার - কোন প্রক্রিয়ার ফলে বায়ু আপেক্ষিকভাবে ঠান্ডা হয়?
(A) বাষ্পীভবন
(B) চুম্বকীয় বিকিরণ
(C) অ্যাডিয়াবেটিক সম্প্রসারণ
(D) সৌর উত্তাপন
- বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ নির্ধারণ করে —
(A) বারোমিটার
(B) সাইক্রোমিটার
(C) হাইগ্রোমিটার
(D) রেইন গেজ - কোন মেঘকে ‘পক্ষীরাজ মেঘ’ বলা হয়?
(A) স্ট্যাটাস
(B) সিরাস
(C) কিউমুলাস
(D) নিম্বাস - কুয়াশা সাধারণত সৃষ্টি হয় —
(A) নিচু তাপমাত্রায়
(B) বেশি তাপমাত্রায়
(C) খরা পরিস্থিতিতে
(D) উষ্ণ বায়ুতে - ‘শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত’ কোথায় সাধারণত বেশি হয়?
(A) সমতল ভূমিতে
(B) মরুভূমিতে
(C) পাহাড়ি ঢালে
(D) নদীতীরে - ‘নিম্বাস’ মেঘের বৈশিষ্ট্য কী?
(A) হালকা ও পাতলা
(B) মেঘহীন
(C) ভারী ও বৃষ্টিপ্রবণ
(D) গ্যাসীয় - ঘূর্ণ বৃষ্টিপাত সাধারণত কোথায় হয়?
(A) নিরক্ষীয় অঞ্চলে
(B) সমভূমিতে
(C) উপক্রান্তীয় অঞ্চলে
(D) মধ্য অক্ষাংশে - ‘সিরোস্ট্যাটাস’ মেঘ কোন স্তরে দেখা যায়?
(A) নিচু স্তর
(B) মধ্য স্তর
(C) উঁচু স্তর
(D) সমুদ্রপৃষ্ঠে - শিশির কী ধরনের অধঃক্ষেপণ?
(A) গ্যাসীয়
(B) তরল
(C) কঠিন
(D) বাষ্পীয় - বৃষ্টিপাত পরিমাপ করার যন্ত্র —
(A) হাইগ্রোমিটার
(B) সাইক্রোমিটার
(C) রেইন গেজ
(D) ব্যারোমিটার - ভূ-উষ্ণায়নের ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ —
(A) অপরিবর্তিত
(B) বৃদ্ধি পায়
(C) হ্রাস পায়
(D) সম্পূর্ণ বন্ধ হয় - বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়লে —
(A) শিশির পড়া কমে
(B) ঘনীভবন বাড়ে
(C) তাপমাত্রা কমে
(D) বাতাস ভারী হয় - ঘনীভবনের ফলে কী সৃষ্টি হয়?
(A) কুয়াশা
(B) মেঘ
(C) বৃষ্টিপাত
(D) সবগুলি - পর্বতের প্রতিবাত ঢালে সাধারণত কী হয়?
(A) তীব্র বৃষ্টিপাত
(B) শীতল বায়ু প্রবাহ
(C) বৃষ্টিচ্ছায়া
(D) ঘূর্ণিঝড় - শিশিরাঙ্ক বলতে কী বোঝায়?
(A) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
(B) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
(C) ঘনীভবনের তাপমাত্রা
(D) বৃষ্টিপাতের হার - নিচের কোনটি বাতাসের আর্দ্রতার উপর নির্ভর করে না?
(A) মেঘ গঠন
(B) শিশির
(C) তুষারপাত
(D) ভূমিকম্প - কোন মেঘ সবচেয়ে নিচু স্তরে গঠিত হয়?
(A) স্ট্যাটাস
(B) সিরাস
(C) কিউমুলাস
(D) নিম্বাস - নিম্নের কোনটি ‘পরিচলন বৃষ্টিপাত’-এর বৈশিষ্ট্য?
(A) গ্রীষ্মকালে দুপুরে তীব্র বৃষ্টি
(B) বরফে পরিণত হয়
(C) মেঘ ছাড়াই বৃষ্টি
(D) তুষারপাত
অতিসংক্ষিত
বায়ুমন্ডলে জলের প্রধান উৎস-সমুদ্র থেকে বাষ্পীভবন।
আপেক্ষিক আদ্রতা সর্বাধিক হয়-ভোর বেলায়।
জলীয় বাষ্প জলকণা বা তুষার কণায় পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া হল- ঘনীভবন।
যে নির্দিষ্ট উষ্ণতা জলীয়বাষ্প ঘনীভবন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জলকণায় পরিণত হয় তাকে শিশিরাঙ্ক বলে।
বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল: পর্বতে যে ঢালে জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু বাধা পেয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায় তাকে প্রতিবাত ঢাল বলে। প্রতিবাত ঢালের বিপরীতে যে ঢালে বৃষ্টিপাত হয় না এই ঢালকে অনুবাত-ঢাল বলে অনুবাত ঢালে বৃষ্টিপাত হয় না বলে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলে।
মেঘালয় শিলং একটি বৃষ্টির ছায়া অঞ্চলের উদাহরণ।
জলগ্রাহী কণা: বায়ুমন্ডলের যে সমস্ত কণা বায়ুমণ্ডল থেকে জলীয় বাষ্প শোষণ করে ঘুরে বেড়ায় তাকে জলগ্রাহী কণা বলে । এর ব্যাস 0.001-10 মাইক্রোন হয়ে থাকে।
পরিমাপক যন্ত্র
- বায়ুর উষ্ণতা মাপক যন্ত্র – থার্মোমিটার।
- বায়ুর চাপ মাপার যন্ত্র – ব্যারোমিটার।
- বায়ুর দিক নির্ণয় যন্ত্রের নাম-বাত পতাকা।
- বায়ুর আর্দ্রতা পরিমাপক যন্ত্র- হাইগ্রোমিটার।
- বায়ুর গতিবেগ মাপার যন্ত্রের নাম-অ্যানিমোমিটার।
- বায়ুর শক্তি মাত্রা নির্ণয়কারী স্কেল-বিউফোর্ড স্কেল।
- বায়ুর গতিবেগ মাপার একক- নট্ (নটিক্যাল মাইল)
- বাষ্পীভবনের হার পরিমাপক যন্ত্রের নাম-অ্যাটমোমিটার।
- বৃষ্টিপাত পরিমাপক যন্ত্র- রেইনগজ।
- আপেক্ষিক আর্দ্রতা পরিমাপক যন্ত্র-সাইক্রোমিটার।
- বাষ্পীভবন পরিমাপের যন্ত্র-ইভাপোরিমিটার।
- মেঘাচ্ছন্নতা পরিমাপক যন্ত্রের নাম- নেফেলোমিটার।
- মেঘের সঞ্চার ও গতিবেগ পর্যবেক্ষণকারী যন্ত্রের নাম-নেফোস্কোপ।
- মেঘের উচ্চতা নির্ণয় কারী যন্ত্র-সিলোমিটার।
যখন ধোঁয়াশা ও অস্পষ্টতা মিলিত হয়ে কোয়াশা সৃষ্টি করে তখন তাকে স্মেজ বলে।
যখন কুয়াশা অত্যন্ত ঘন হয়ে এক অসহ্য আবরণ সৃষ্টি করে তখন তাকে কুজ্ঝটিকা বা কুহেলিকা বা মিস্ট বলে।
মেঘের শ্রেণীবিভাগ
- মেঘাচ্ছন্নতার পরিমাপ করা হয়- অক্টাস এ।
- Mother of Pearl Cloud‘-সিরাস মেঘকে বলা হয়
- উষ্ণতার সঙ্গে আপেক্ষিক আদ্রতা সম্পর্ক- ব্যস্তানুপাতিক।
- বর্ষাকালে বায়ুর গড় আপেক্ষিক আদ্রতা সবচেয়ে বেশি হয়।
- ম্যাকারেল আকাশ দেখা যায়-সিরোকিউমুলাস মেঘে।
- অশ্বিনী পুচ্ছ বা পাখির পালকের মতো মেঘ সিরাস মেঘকে বলা হয়।
- Sheep Cloud / Wool-Pack Cloud– অল্টোকিউমুলাস মেঘ।
- Bumpy Cloud- স্ট্র্যাটোকিউমুলাস।
- কিউমুলোনিম্বাস মেঘকে বজ্র মেঘ বলে।
- ফুলকপির মতো দেখতে মেঘ হল- কিউমুলাস মেঘ।
- পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে নিম্বোস্ট্যাটাস মেঘে।
- অধঃক্ষেপনের সংঘর্ষ সম্মেলন তত্ত্বের ধারণা দেন-ই.জি. বোয়েন।
- অধঃক্ষেপনের বরফ কেলাস তত্ত্ব দেন –ওয়াল্টার ফিন্ডেসন ও টর বার্জেরন।
- ‘4 O’clock Rain’ নিরক্ষীয় অঞ্চলের পরিচলন বৃষ্টিপাত।
সমচাপ রেখা: বায়ুর সমান চাপ বিশিষ্ট স্থান গুলোকে যে কাল্পনিক রেখা দ্বারা যোগ করা হয়।
সমোষ্ণরেখা: ভূপৃষ্ঠের সমান উষ্ণতা যুক্ত স্থান যোগকারী কাল্পনিক রেখা।
সমবর্ষণ রেখা:মানচিত্রে সমান বৃষ্টিপাত সংযোগকারী রেখা।
সমরৌদ্রালোক রেখা: মানচিত্রে চেয়ে রেখা দ্বারা গড় বার্ষিক রৌদ্রকিরণ যুক্ত স্থান গুলোকে যোগ করা হয়।
সমমেঘ রেখা: মানচিত্রে সমান মেয়ের যুক্ত স্থান যুক্তকারী রেখা।
বারিমন্ডল (চতুর্থ অধ্যায়)
জীবমন্ডল (পঞ্চম অধ্যায়)
- বাস্তুতন্ত্রের শক্তির প্রধান উৎস কোনটি?
(A) জল
(B) বায়ু
(C) সূর্য
(D) অক্সিজেন - বাস্তুতন্ত্র কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন-
(A) আরনেস্ট হেকেল
(B) ওডাম
(C) লিন্ডেম্যান
(D) এ.জি. ট্যান্সলে - পৃথিবীর বৃহত্তম বাস্তুতন্ত্র হল-
(A) বারিমন্ডল
(B) শিলামন্ডল
(C) বায়োম
(D) জীবমন্ডল - যে সমস্ত জীব মৃত জন্তু ও উদ্ভিদের দেহাবশেষ খেয়ে জীবনধারণ করে তাদের বলে-
(A) হারবিভোর
(B) কার্নিভোর
(C) ওমনিভোর
(D) ডেট্রিভোর - বাস্তুতন্ত্রে শক্তি প্রবাহ সর্বদা-
(A) একমুখী
(B) ত্রিমুখী
(C) বহুমুখী
(D) কোনোটিই নয় - দুটি ভিন্ন বাস্তুতন্ত্রের মধ্যবর্তী পরিবর্তনশীল মিশ্র বাস্তুতন্ত্রকে বলে-
(A) ইকোটন
(B) ইকোক্লাইন
(C) হ্যাবিট্যাট
(D) স্ট্যান্ডিং কর্প - ব্যাকটেরিয়া এক প্রকার-
(A) প্রাথমিক খাদক
(B) গৌণ খাদক
(C) প্রগৌণ খাদক
(D) বিয়োজক - বাস্তুতন্ত্রে খাদ্যের যোগান সংক্রান্ত স্তরকে বলে-
(A) খাদ্যজাল
(B) খাদ্য শৃঙ্খল
(C) জীবন মন্ডল
(D) ট্রপিক লেভেল - ইকোলজি বা বাস্তুবিদ্যার জনক হলেন–
(A) হেকেল
(B) সুয়েস
(C) রিটার
(D) ট্যান্সলে - একই পুষ্টি স্তরে অবস্থান করে-
(A) বাঘ ও ভাল্লুক
(B) হরিণ ও গরু
(C) সাপ ও কেঁচো
(D) ব্যাকটেরিয়া ও মানুষ - বাস্তুতন্ত্রে খাদ্যজাল সর্বদা-
(A) একমুখী
(B) ত্রিমুখী
(C) বহুমুখী
(D) কোনোটিই নয় - স্থির জলের বাস্তুতন্ত্র-
(A) লোটিক বাস্তুতন্ত্র
(B) লেনটিক বাস্তুতন্ত্র
(C) নেকটন
(D) বেনথস - বাস্তুতন্ত্রের উল্টানো পিরামিডের নিদর্শন দেখা যায়-
(A) তৃণভূমির বাস্তুতন্ত্র
(B) অরণ্যের বাস্তুতন্ত্রে
(C) ম্যানগ্রোভ বাস্তুতন্ত্রে
(D) পরজীবী বাস্তুতন্ত্রে - বাস্তুতন্ত্রে একটি পুষ্টি স্তর থেকে ওপর পুষ্টি স্তরে শক্তি স্থানান্তরের পরিমাণ-
(A) 10%
(B) 20%
(C) 50%
(D) 90% - বাস্তুতন্ত্রে উপস্থিত সমস্ত উদ্ভিদ ও প্রাণীকে একত্রে বলে-
(A) উৎপাদক
(B) খাদক
(C) সজীব বা জৈব উপাদান
(D) বিয়োজক - একটি পুষ্টি স্তরে জীব সম্প্রদায়ের পুষ্টি সংগ্রহের এলাকাকে বলে-
(A) ইকোলজিক্যাল নিচ
(B) বায়োমাস
(C) বায়োটিক কমিউনিটি
(D) এজ এফেক্ট - দশ শতাংশ সূত্রের প্রবক্তা হলেন-
(A) লিন্ডেম্যান
(B) হেকেল
(C) সুয়েস
(D) ট্যান্সলে - জীবমন্ডলের গড় বিস্তার কত?
(A) 10km
(B) 30km
(C) 100km
(D) 1000km - বাস্তুতন্ত্রে একটি পুষ্টি স্তর থেকে অন্য পুষ্টি স্তরে শক্তি প্রবাহিত হওয়াকে বলে-
(A) খাদ্য চক্র
(B) খাদ্যশৃঙ্খল
(C) খাদ্যজাল
(D) পুষ্টি চক্র - একটি বাস্তুতন্ত্রে নিজেরাই নিজের খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে-
(A) উৎপাদক
(B) খাদক
(C) বিয়োজক
(D) পরজীবী - বাস্তুতন্ত্রে খাদ্যজালের জটিলতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা হয়–
(A) দুর্বল
(B) জটিল
(C) শক্তিশালী
(D) ধ্বংসপ্রাপ্ত - বাস্তুতন্ত্রে পরজীবী একটি উদাহরণ হলো–
(A) শেয়াল
(B) কুকুর
(C) জোঁক
(D) গরু - যে জীব নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে তাকে বলে–
(A) পরজীবী
(B) হেটেরোট্রফ
(C) অটোট্রফ
(D) বিয়োজক - উদ্ভিদ এবং প্রাণীর মধ্যকার সম্পর্ক হলো–
(A) প্রতিযোগিতা
(B) সহবাস
(C) পরজীবিতা
(D) খাদ্যচক্র - খাদ্য শৃঙ্খলের প্রথম ধাপে থাকে–
(A) গৌণ খাদক
(B) প্রাথমিক খাদক
(C) উৎপাদক
(D) পরজীবী - বাস্তুতন্ত্রে শক্তির একক কী?
(A) ডিগ্রি
(B) লিটার
(C) ক্যালোরি
(D) সেন্টিগ্রেড - বাস্তুতন্ত্রে মৃত জৈব বস্তুকে পুনরায় পুষ্টিতে রূপান্তর করে যারা–
(A) খাদক
(B) উৎপাদক
(C) বিয়োজক
(D) ভোক্তা - তৃণভূমি বাস্তুতন্ত্রে প্রধান উৎপাদক হলো–
(A) গাছ
(B) ঘাস
(C) শৈবাল
(D) গুল্ম - যে পদ্ধতিতে খাদ্য শক্তি একত্রে সংরক্ষিত হয়–
(A) খাদ্য চক্র
(B) খাদ্যজাল
(C) পিরামিড
(D) পুষ্টি চক্র - একটি বাস্তুতন্ত্রের মূল গঠন উপাদান নয় কোনটি?
(A) জৈব পদার্থ
(B) জৈব রসায়ন
(C) অজৈব উপাদান
(D) জৈব উপাদান - একে অপরের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত জীবদের সমষ্টি–
(A) প্রজাতি
(B) সমাজ
(C) জনসংখ্যা
(D) সম্প্রদায় - অরণ্য বাস্তুতন্ত্রের শক্তিশালী স্তর কোনটি?
(A) গৌণ খাদক
(B) উৎপাদক
(C) বিয়োজক
(D) হান্টার - মৃত দেহকে ক্ষয় করে যে উপাদান তৈরি হয় তা হল–
(A) জল
(B) লবণ
(C) পুষ্টি
(D) শক্তি - মানুষ কোন পুষ্টি স্তরে অবস্থান করে?
(A) প্রাথমিক
(B) গৌণ
(C) প্রগৌণ
(D) বিয়োজক - শৃঙ্খলিত খাদ্যতালিকাকে কী বলে?
(A) খাদ্য চক্র
(B) খাদ্যজাল
(C) খাদ্যশৃঙ্খল
(D) পুষ্টি স্তর - খাদ্যশৃঙ্খলের দৈর্ঘ্য সাধারণত–
(A) ১০-১২ স্তর
(B) ৫-৬ স্তর
(C) ২০-৩০ স্তর
(D) ২-৩ স্তর - বাস্তুতন্ত্রে হেরবিভোরের ভূমিকাটি কী?
(A) গৌণ খাদক
(B) উৎপাদক
(C) প্রাথমিক খাদক
(D) বিয়োজক - পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা হয়–
(A) বৃষ্টি কমলে
(B) শক্তি হ্রাসে
(C) খাদ্যচক্র বজায় থাকলে
(D) শক্তি প্রবাহ না থাকলে - বাস্তুতন্ত্রের কাঠামো গঠিত হয়–
(A) খাদক ও খাদ্য
(B) জৈব ও অজৈব উপাদান
(C) শক্তি ও জল
(D) গাছ ও প্রাণী - বাস্তুতন্ত্রে উদ্ভিদ কী হিসেবে কাজ করে?
(A) খাদক
(B) খাদ্য
(C) উৎপাদক
(D) বিয়োজক - খাদ্যশৃঙ্খলের একেবারে শেষ স্তরে থাকে–
(A) উৎপাদক
(B) প্রাথমিক খাদক
(C) শিকারি
(D) বিয়োজক - একই বাস্তুতন্ত্রে প্রাণী ও উদ্ভিদের নির্ভরতা কী নির্দেশ করে?
(A) পরজীবিতা
(B) পরিবেশ রক্ষা
(C) পারস্পরিক সম্পর্ক
(D) শক্তি ক্ষয় - সূর্য থেকে আসা শক্তি কোন উপাদান শোষণ করে?
(A) প্রাণী
(B) মাটি
(C) উদ্ভিদ
(D) জল - একাধিক খাদ্যশৃঙ্খল একত্রে মিলে যা গঠন করে–
(A) খাদ্য চক্র
(B) খাদ্য জাল
(C) শক্তি চক্র
(D) পরিবেশ - বৃষ্টিবন বাস্তুতন্ত্রে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক–
(A) উৎপাদক
(B) প্রাণী প্রজাতি
(C) খাদক
(D) বিয়োজক - বাস্তুতন্ত্রে অক্সিজেন সরবরাহ করে–
(A) গাছ
(B) ব্যাকটেরিয়া
(C) পশু
(D) ছত্রাক - জলজ বাস্তুতন্ত্রে প্রাথমিক উৎপাদক হলো–
(A) শেওলা
(B) মাছ
(C) ব্যাকটেরিয়া
(D) কেঁচো - প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের একটি উদাহরণ–
(A) অ্যাকুয়ারিয়াম
(B) জলাশয়
(C) চাষের জমি
(D) নার্সারি - মানুষের দ্বারা গঠিত বাস্তুতন্ত্র–
(A) সমুদ্র
(B) বন
(C) অ্যাকুয়ারিয়াম
(D) পাহাড় - বাস্তুতন্ত্রে শক্তির প্রবাহের দিক–
(A) গাছ → বাঘ → হরিণ
(B) হরিণ → বাঘ → গাছ
(C) গাছ → হরিণ → বাঘ
(D) বাঘ → গাছ → হরিণ
SAQ Question and Answer:
জীবমন্ডল: জীবমন্ডল বা Biosphere শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘Bios‘ অর্থ জীবন ও ল্যাটিন শব্দ ‘Sphaere’ অর্থ মন্ডল অর্থাৎ জীবমন্ডল অর্থে পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্বের ক্রিয়াশীল অঞ্চল।
- জীবমণ্ডল কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন এডওয়ার্ড সুয়েস।
- জীবমণ্ডল সম্পর্কিত আধুনিক তত্ত্বের জনক বলা হয় ভ্লাদিমির ভার্নাদস্কিকে।
- Bio geography গ্রন্থটি লেখেন জে. টিভি
- ‘ইকোলজি’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন আর্নেস্ট হেকেল।
- বাস্তুবিদ্যার জনক আর্নেস্ট হেকেল।
- ‘ইকোসিস্টেম’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন এ.জি. ট্যান্সলে।
- ইকোক্লাইন শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন-হুইটেকার।
- শক্তি প্রবাহ মডেল এর প্রবক্তা রেমন্ড লিন্ডেম্যান।
- বাস্তুতান্ত্রিক পিরামিডের ধারণা দেন চার্লস এলটন।
- ইকোলজিক্যাল নিচ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন-জে.গ্রীনাল।
বাস্তুতন্ত্র: জীবের আবাসস্থল সম্পর্কিত আন্তঃসম্পর্ক।
প্যারাবায়োস্ফিয়ার: পৃথিবীর জীব বসবাসের প্রতিকুল অঞ্চল।
বায়োম: কোন একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক পরিবেশে উদ্ভিদ ও প্রাণী জলবায়ুর সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে যে বৃহত্তম বাস্তুতান্ত্রিক একক গড়ে তোলে তাকে বায়োম বলে। যেমন তৈগা বায়োম।
ইকোটন: পাশাপাশি অবস্থিত দুটি ভিন্ন প্রকৃতির বাস্তুতন্ত্রের মধ্যবর্তী স্থানে যে পরিবর্তনশীল অঞ্চল। যেমন পার্কল্যান্ড সাভানা।
ইকোক্লাইন: দুটি পাশাপাশি অবস্থিত বাস্তুতন্ত্রে যখন কোন সীমারেখা থাকে না তখন একটি বাস্তুতন্ত্র অন্য বাস্তুতন্ত্র টির যে জীব সম্প্রদায়ের পরিবর্তন বা ঢাল লক্ষ্য করা যায় তাকে ইকোক্লাইন বলে।
ইকোসিস: কোন বাস্তুতন্ত্র থেকে অপর বাস্তুতন্ত্রের আগত জীব যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধীরে ধীরে অপর বাস্তুতন্ত্রে অভিযোজিত হয় তাকে ইকোসিস বলে।
ইকোলজিকাল নিচ: কোন বাস্তুতন্ত্রে জীবের খাদ্য সংগ্রহের এলাকাকে ইকোলজিকাল নিচ বলে। যেমন মৌমাছির ইকোলজিক্যাল নিচ ফুল।
হোমিওস্ট্যাটিস: কোন একটা নির্দিষ্ট বাস্তুতন্ত্রে জড় উপাদান গুলির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সজীব উপাদানের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার যে পরিবর্তন ঘটিয়ে পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখে সে অবস্থাকে হোমিওস্ট্যাটিস বলা হয়। যেমন-শীতকালে গিরগিটি রোদ পোহানো।
এনবায়োস্ফিয়ার: পৃথিবীর জীব বসবাসের অনুকূল অঞ্চল অর্থাৎ প্যারাবায়োস্ফিয়ার বাদে বায়োস্ফিয়ারের অংশ।
নেকটন: যে সমস্ত প্রাথমিক খাদক প্রাণী জলাভূমির বাস্তুতন্ত্রের ভেসে বেড়ায় তাকে নেকটন বলে।
বেনথস: যে সমস্ত প্রাণী জলাভূমির তলদেশে বসবাস করে তাদের বেনথস বলে। যেমন ঝিনুক, শামুক।
বায়োটা: কোন নির্দিষ্ট ভৌগোলিক পরিবেশে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত বাস্তুতন্ত্রের সমগ্র প্রাণী এবং উদ্ভিদকূলের সমষ্টিকে বায়োটা বলে।
বায়োমাস বা জীবভর: যেকোনো একটি ট্রফিক লেভেলের সজীব বস্তুর শুষ্ক ভরকে জীবভর বা বায়োমাস বলে।
লেন্টিক বাস্তুতন্ত্র: স্থির জলের বাস্তুতন্ত্র কে লেনটিক বাস্তুতন্ত্র বলে। যেমন-হ্রদ, দিঘি, পুকুর, জলাশয়।
লোটিক বাস্তুতন্ত্র: প্রবাহমান জলের বাস্তুতন্ত্র কে লোটিক বাস্তুতন্ত্র বলে। যেমন – নদী।
খাদ্য পিরামিড: নির্দিষ্ট বাস্তুতন্ত্রে উৎপাদক থেকে সমস্ত খাদককে পরপর সাজালে যে পিরামিড পাওয়া যায়।
খাদ্য শৃঙ্খল: একটি বাস্তুতন্ত্রে উৎপাদক থেকে প্রত্যেক শ্রেণীর খাদকের মধ্যে সুনির্দিষ্ট সম্পর্ক।
খাদ্যজাল: অনেকগুলো খাদ্য শৃঙ্খল আন্তঃসম্পর্কযুক্ত হয়ে খাদ্যজাল তৈরি করে।
চারণভিত্তিক খাদ্য শৃঙ্খল: যে খাদ্য শৃঙ্খলে খাদ্য শক্তির সবুজ উদ্ভিদ থেকে শুরু করে তৃণভোজী প্রাণী ও ধাপে ধাপে মাংসাশী প্রাণীর মধ্যে প্রবাহিত হয় তাকে গ্রেজিং বা চারণভিত্তিক খাদ্য শৃঙ্খল বলে । যেমন- উদ্ভিদ> হরিণ> বাঘ
শিকারি খাদ্য শৃঙ্খল: যে খাদ্যশৃঙ্খলে প্রাথমিক খাদক অর্থাৎ তৃণভোজী থেকে খাদ্যশৃঙ্খল শুরু হওয়ার পর খাদ্যখাদক সম্পর্কের ভিত্তিতে বৃহত্তর মাংসাশী প্রাণীতে শেষ হয়। যেমন-ঘাসফড়িং (প্রাথমিক খাদক) > ব্যাং (গৌণ খাদক)> সাপ (প্রগৌণ খাদক) >বাজপাখি (সর্বোচ্চ খাদক)
পরজীবী খাদ্য শৃঙ্খল: যে খাদ্য শৃঙ্খলে খাদ্যখাদক সম্পর্ক বৃহৎ প্রাণী যাকে হোস্ট বলে এ থেকে শুরু হয় এবং ক্ষুদ্র প্রাণীতে শেষ হয় তাকে পরজীবী খাদ্যশৃঙ্খল বলে। যেমন- মানুষ (হোস্ট)> কৃমি >বিয়োজক।
স্বভোজী বা উৎপাদক: যে সমস্ত জিম সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া নিজেরা খাদ্য তৈরি করতে সক্ষম। যেমন -সবুজ উদ্ভিদ।
খাদক বা পরভোজী: একটি বাস্তুতন্ত্রে উপস্থিত যে সমস্ত জীবকুল নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে না খাদ্যের জন্য উৎপাদক এর উপর নির্ভর করে তাদের খাদক বা পরভোজী বলে। যেমন- অধিকাংশ প্রাণী।
মোট প্রাথমিক উৎপাদন (Gross Primary Production/GPP): সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ যে পরিমাণ শক্তি নিজের দেহে আবদ্ধ রাখে তাকে GPP বলে।
নীট প্রাথমিক উৎপাদন(Net Primary Production/NPP): মোট প্রাথমিক উৎপাদনের কিছু পরিমাণ শক্তি উদ্ভিদ তার বিপাকীয় কাজে খরচ করার পর অবশিষ্ট যে শক্তি থাকে তাকে NPP বলে।
উল্টানো পিরামিড: জলজ ও পরজীবী জীবদের শীর্ষস্থান থেকে নিচের স্তর থেকে জীবভর ক্রমশ কমতে থাকে ফলে পিরামিড উল্টো দেখায়।
ডেট্রটাস: ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া, প্রভৃতি বিয়োজক উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃতদেহ ,জৈব আবর্জনা, জৈব বর্জ্য পদার্থ যখন আংশিকভাবে পচিয়ে ফেলে তখন ওই অসম্পূর্ণ অর্ধবিয়োজিত পদার্থকে ডেট্রটাস বলে।
ডেট্রিভোর: যেসব ছোট ছোট প্রাণী অর্ধ-বিয়োজিত পদার্থ বা ডেট্রটাস খেয়ে বেঁচে থাকে তাদের ডেট্রিভোর বলে। যেমন কেঁচো, কৃমি, পিঁপড়ে উই প্রভৃতি।
অটোইকোলজি: একটা জীব বা একটি প্রজাতি জনসংখ্যার সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক অধ্যয়নকে অটোইকোলজি বলা হয়। যেমন সুন্দরবনের বাঘ প্রজাতির বাস্তুসংস্থান অধ্যায়ন।
সিনইকোলজি: পরিবেশের সঙ্গে কোনো জীব সম্প্রদায় বা জীবগোষ্ঠীর সম্পর্ক অধ্যায়ন হলো সিনইকোলজি। যেমন সুন্দরবনের সমস্ত জীব প্রজাতির বাস্তুসংস্থান অধ্যায়ন।
জৈব অক্সিজেন চাহিদা (B.O.D): Biological Oxygen Demand. জলে উপস্থিত জৈব উপাদান কে অনুজীবের সাহায্যে বিয়োজনের জন্য যে পরিমাণ অক্সিজেন দরকার তাকে জৈব অক্সিজেন চাহিদা বলে।
মানবীয় ভূগোল :
জনসংখ্যা (প্রথম অধ্যায়)
জনবসতি (দ্বিতীয় অধ্যায়)
ভারতের ভূগোল :
ভারতের জনসংখ্যা (প্রথম অধ্যায়)
ভারতের জল সম্পদ (দ্বিতীয় অধ্যায়)
ভারতের খনিজ ও শক্তি সম্পদ (তৃতীয় অধ্যায়)
ভারতের কৃষিকাজ (চতুর্থ অধ্যায়)
ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ (পঞ্চম অধ্যায়)
ভারতের বাণিজ্য ও অর্থনীতি (ষষ্ঠ অধ্যায়)
![]()