
Bengali – বাংলা
(A) সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো:
- ব্যাসবাক্যের অপর নাম-
(সমস্যমান পদ / সমস্ত পদ / পরপদ / সমাস বাক্য)
Ans: সমস্ত পদ
- ‘পদ্মনাভ’ শব্দটির সমাস হল-
(দ্বন্দ্ব / বহুব্রীহি / তৎপুরুষ / কর্মধারয়)
Ans: বহুব্রীহি
- সিরাজ নবাবি করেছিলেন-
(পনেরো বছর / পনেরো মাস / পনেরো ঘন্টা / পনেরো দিন)
Ans: পনেরো মাস
- এক সন্ন্যাসী জগদীশবাবুর বাড়িতে ছিলেন-
(পাঁচদিন / ছয়দিন / সাতদিন / আটদিন)
Ans: সাতদিন
(B) কমবেশি কুড়িটি শব্দে তিনটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
- ‘ছাগদুগ্ধ’ পদটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো।
Ans: ব্যাসবাক্য: ছাগলের দুধ।
সমাসের নাম: তৎপুরুষ সমাস।
- দৃষ্টান্তসহ কৃদন্ত পদ কাকে বলে লেখো।
Ans: ধাতু থেকে কৃৎ প্রত্যয় যোগে গঠিত পদ কৃদন্ত পদ।
যেমন: পাঠিত (পাঠ + ইত)।
- অলুক তৎপুরুষ সমাসের একটি উদাহরণ দাও।
Ans: উদাহরণ: গরিমেধ (গরুর মেধ)।
এখানে ‘গরু’ পদটি অলুক।
- একশেষ দ্বন্দ্ব সমাসের একটি দৃষ্টান্ত দাও।
Ans: উদাহরণ: মা-বাবা = মা ও বাবা উভয়েই বোঝায়।
- সন্ধি ও সমাসের একটি পার্থক্য লেখো।
Ans: সন্ধিতে ধ্বনির পরিবর্তন হয়, সমাসে পদসংক্ষেপ হয়।
(C) কমবেশি কুড়িটি শব্দে যেকোনো তিনটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
- সিরাজের স্ত্রীর নাম কি ছিল? ঘসেটি সিরাজের কে ছিলেন?
Ans: সিরাজের স্ত্রীর নাম ছিল উমি চাঁদ। ঘসেটি ছিলেন সিরাজের পিসিমা।
- জগদীশবাবু বহুরূপী হরিকে কত টাকা দিতে চেয়েছিলেন?
Ans: জগদীশবাবু হরিকে পাঁচ টাকা দিতে চেয়েছিলেন।
- গিরীশ মহাপাত্র কার ছদ্মনাম?
Ans: গিরীশ মহাপাত্র সত্যেনের ছদ্মনাম।
- হরিদার জীবনের ঘর কোথায়?
Ans: হরিদার জীবনের ঘর ছিল পথের পাশে, খোলা আকাশের নিচে।
- অপূর্ব রাজি হইয়াছিল’ -অপূর্ব কোন বিষয়ে রাজি হয়েছিল?
Ans: অপূর্ব হরিদাকে বাড়িতে আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছিল।
(D) কমবেশি ষাট শব্দে সপ্রসঙ্গ উত্তর দাও। (যেকোনো একটি)
- “আমার অপরাধ হয়েছে। আপনি রাগ করবেন না।” -কে, কাকে একথা বলেছেন? এখানে কোন অপরাধের কথা বলা হয়েছে লেখো?
Ans: উক্তিটি বলেছেন অপূর্ব, হরিদাকে।
হরিদাকে প্রথমে অপমান করায় অপূর্ব অনুতপ্ত হয়ে এই কথা বলেন। অপূর্ব বুঝতে পারেন হরিদা প্রকৃতই এক সাধুপ্রাণ মানুষ।
- ‘জান, এর শাস্তি কী’ -কে, কাকে একথা বলেছিলেন? কোন প্রসঙ্গে একথা বলা হয়েছে? বক্তা উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে কী শাস্তি দিয়েছিলেন?
Ans: উক্তিটি বলেছেন ঘসেটি, সিরাজকে।
ঘসেটি সিরাজকে অবাধ্যতা ও ক্ষমতার লোভের জন্য এই প্রশ্ন করেন।
সিরাজ পরে ঘসেটিকে বন্দি করে পাঠিয়ে দেন।
(E) কমবেশি দুশো শব্দে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
- ‘পথের দাবী’ গল্পে গিরীশ মহাপাত্রের বেশভূষা, শরীরের গঠন ও চরিত্রের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
Ans: গিরীশ মহাপাত্র ছিলেন এক উচ্চশিক্ষিত, দৃঢ়সংকল্প বিপ্লবী। ছদ্মবেশে তিনি সাধারণ মধ্যবয়স্ক মানুষের বেশ ধরতেন। তাঁর পরনে থাকত সাধারণ ধুতি, পাঞ্জাবি এবং মাথায় চুল ছিল পেকে যাওয়া। শরীরের গঠন মাঝারি হলেও চেহারায় ছিল দৃঢ়তা ও আত্মবিশ্বাস।
চরিত্রে তিনি ছিলেন ধৈর্যশীল, বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমান। তিনি বিপ্লবীদের সংগঠনের প্রধান ছিলেন এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবরকম আত্মত্যাগ করতে প্রস্তুত ছিলেন। তাঁর আরেক নাম সত্যেন, যে তার সত্য পরিচয় গোপন রেখে সংগঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করেছিল। গিরীশের মধ্যে যেমন নেতৃত্বগুণ ছিল, তেমনি মানবিকতা ও সহানুভূতিও ছিল প্রবল।
- ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে সিরাজের চরিত্রের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
Ans: (১) দেশপ্রেমিক: সিরাজ ছিলেন বাংলার স্বাধীনতা রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
(২) সাহসী: তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভয় না পেয়ে লড়াই করেন।
(৩) উদারচরিত: সাধারণ মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন।
(৪) উগ্র মেজাজের: আবেগপ্রবণ হওয়ায় কখনো কখনো তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিতেন।
(৫) বিশ্বাসপ্রবণ: ঘসেটি ও মীরজাফরের প্রতি অতিরিক্ত বিশ্বাস তাঁকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেয়।
(A) সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো:
- ‘অভিষেক’ কাব্যাংশটি সংকলিত হয়েছে মেঘনাদবধ কাব্যের- (দ্বিতীয় / প্রথম / তৃতীয় / চতুর্থ) সর্গ থেকে।
Ans: ‘অভিষেক’ কাব্যাংশটি সংকলিত হয়েছে মেঘনাদবধ কাব্যের – তৃতীয় সর্গ থেকে।
2.‘দিগম্বরের জটায় হাসে শিশু চাঁদের কর।’ -দিগম্বর বলতে বোঝানো হয়েছে- (শিব / নারায়ণ / ব্রহ্মা / ইন্দ্র) কে।
Ans: ‘দিগম্বরের জটায় হাসে শিশু চাঁদের কর।’ – দিগম্বর বলতে বোঝানো হয়েছে – শিব।
(B) কমবেশি কুড়ি শব্দে দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
- কবি প্রলয়ের জয়ধ্বনি করার কারণ কী?
Ans: কারণ, প্রলয় পুরাতনের অবসান ঘটিয়ে নতুন যুগের সূচনা করে।
- প্রলয় কীভাবে আগল ভেঙে আসবে?
Ans: প্রলয় ভাঙবে মায়ার আগল, ধ্বংস করবে ভ্রান্ত সমাজব্যবস্থা ও কুসংস্কার।
- কে বধিল কবে প্রিয়ানুজে’ -প্রিয়ানুজ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
Ans: প্রিয়ানুজ বলতে বোঝানো হয়েছে লক্ষ্মণকে।
- রাজা রাবণ কি দিয়ে, কোন পদে মেঘনাদের অভিষেক ঘটান?
Ans: রাবণ গঙ্গাজল দিয়ে, যুবরাজ পদে মেঘনাদের অভিষেক করেন।
(C) কমবেশি ষাট শব্দের মধ্যে সপ্রসঙ্গ একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
- “কোথা প্রাণ সখে
রাখি এ দাসীরে কহ চলিলা আপনি।” -কে, কাকে, কখন একথা বলেছেন? উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কোথায় যাচ্ছিলেন?
Ans: উক্তিটি বলেছিলেন সরমীলা, মেঘনাদকে।
যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার সময় সরমীলা, বিদায়বেলায় মেঘনাদকে এই কথা বলেন।
মেঘনাদ তখন লক্ষ্মণের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যাচ্ছিলেন।
- “বিশ্বমায়ের আসন তারই বিপুল বাহুর পর” -বিশ্বমায়ের আসন বলতে কী বোঝানো হয়েছে? বিপুল বাহু বলতে কী বোঝ? উক্তিটির প্রসঙ্গ নির্দেশ করো।
Ans: ‘বিশ্বমায়ের আসন’ বলতে ধরিত্রী বা পৃথিবী বোঝানো হয়েছে।
‘বিপুল বাহু’ মানে মহাশক্তিশালী মানুষের হাত।
এই পঙ্ক্তিতে কবি বলেছেন, বিশ্বকে রক্ষা বা গঠন করার ক্ষমতা মানুষের হাতেই নিহিত।
(D) কমবেশি দুশো শব্দের মধ্যে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
- ‘অভিষেক’ কাব্যাংশটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।
Ans: ‘অভিষেক’ শব্দের অর্থ হল রাজ্যাভিষেক বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে অভিষিক্ত হওয়া। এই কাব্যাংশে রাজা রাবণ তাঁর বীর পুত্র মেঘনাদের যুবরাজ হিসেবে অভিষিক্ত করেন। রাবণ নিজ হাতে গঙ্গাজল দিয়ে মেঘনাদের মস্তকে ঢেলে তাঁকে রাজ্য পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করেন। কাব্যে এই রাজ্যাভিষেক একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য।
কেবল রাজনৈতিক দিক থেকেই নয়, এটি এক প্রকার ঐতিহাসিক ও নাটকীয় দৃশ্য, যেখানে বীরত্ব, পিতৃত্ব, আবেগ এবং ভবিষ্যতের সংকট সবই একসঙ্গে প্রতিফলিত হয়। এই কাব্যাংশে অভিষেক কেবল শাসনের সূচনা নয়, যুদ্ধ ও আত্মত্যাগের দিকেও ইঙ্গিত করে।
অতএব, ‘অভিষেক’ নামটি এই অংশের মূল ভাব ও ঘটনার সার্থক প্রতিফলন।
- ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় বর্ণিত প্রলয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
Ans: কবি প্রলয়কে উদ্যাপন করেন এক নতুন সৃষ্টির সূচনা হিসেবে। এখানে প্রলয় মানে ধ্বংস নয়, পুরাতনের অবসান। কবির মতে, এই প্রলয় আসবে সমস্ত কুপ্রথা, অন্যায় ও ভ্রান্তির শিকড় উপড়ে ফেলতে।
সমাজের মিথ্যে গৌরব, কৃত্রিমতা, নিষ্ঠুরতা—সবকিছুকে প্রলয়ের উত্তাল তরঙ্গে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
কবি বলেন, “আগল ভাঙার দিন এসেছে”—অর্থাৎ পরিবর্তনের সময় এসেছে।
তিনি নবযুগের সূচনার আশায় মুখর। প্রলয় তাঁর কাছে বিপদ নয়, বরং নবজাগরণের উৎসব। এইভাবে প্রলয় হচ্ছে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উন্নত সমাজগঠনের পথপ্রদর্শক।
(E) অনধিক একশো পঞ্চাশ শব্দে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
- “ওরা তখন খেতে বসেছে।” -ওরা কারা? ওরা কজন? তাদের খাদ্যসামগ্রী এবং ঘরের পরিচয় দাও।
Ans: “ওরা” বলতে বোঝানো হয়েছে পথশিশুদের, যারা ক্ষিদ্দার ঘরে খেতে এসেছিল।
তারা ছিল প্রায় দশজন।
খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল মুগডাল, আলুভাজা, ভাত ও ভাজা বেগুন।
ক্ষিদ্দার ঘরটি ছিল একটি দারিদ্র্যপীড়িত, ছোট্ট, একচালা কুঁড়ে ঘর।
সেখানে অল্প কিছু বাসন, সামান্য আসবাব, এবং নিঃস্বতা সত্ত্বেও ছিল আন্তরিকতার ছাপ।
এই ঘরে ক্ষিদ্দা দরিদ্র শিশুদের জন্য মাতৃস্নেহে আহার জুগিয়েছিলেন।
- “ক্ষিদ্দা এবার আমরা কী খাব?” -বক্তা কে? ক্ষিদ্দা কে? কোন প্রসঙ্গে বক্তা একথা বলেছেন?
Ans: বক্তা একজন পথশিশু।
ক্ষিদ্দা এক দরিদ্র মহিলা, যিনি মা-সদৃশ স্নেহে পথশিশুদের খাওয়ান।
একদিন খাদ্যের অভাবে ক্ষিদ্দা হতাশ, আর সেই সময় শিশুটি এসে এই কথা বলে।
এতে বোঝা যায়, শিশুটির মনে ক্ষিদ্দার ওপর আস্থা আছে।
এটি এক হৃদয়স্পর্শী মুহূর্ত, যেখানে ভালোবাসার সম্পর্ক ফুটে উঠেছে।
(F) প্রতিবেদন রচনা লেখ:
- তোমাদের পাড়ার ক্লাবে ২৫শে ডিসেম্বর একটি রক্তদান শিবির হয়েছিল। তার বিবরণ দিয়ে কমবেশি একশো পঞ্চাশ শব্দে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
Ans: রক্তদান শিবিরের প্রতিবেদন:
শিরোনাম: রক্তদানে জীবন রক্ষা – ২৫শে ডিসেম্বর ক্লাবের উদ্যোগে রক্তদান শিবির
২৫শে ডিসেম্বর আমাদের পাড়ার ‘উৎসব ক্লাব’-এ এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।
সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই শিবিরে মোট ৫০ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন।
ক্লাবের সদস্যরা, স্থানীয় চিকিৎসক এবং নার্সদের সহায়তায় রক্ত সংগ্রহের কাজ পরিচালিত হয়।
উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান ও এলাকার চিকিৎসকরা।
শিবিরে স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেন এবং রক্তদাতাদের জন্য ফল, জুস ও চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল।
এই উদ্যোগ এলাকার মানুষের মধ্যে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করেছে।
এই রক্তদান শিবির নিঃসন্দেহে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
অথবা,
তোমাদের বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিবরণ দিয়ে কমবেশি একশো পঞ্চাশ শব্দে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
Ans: বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রতিবেদন:
শিরোনাম: উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
গত ১৮ই জানুয়ারি আমাদের বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন ইভেন্টে ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে।
দৌড়, লং জাম্প, দড়ি টানাটানি, বল ছোড়া প্রভৃতি খেলায় প্রতিযোগিতা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিদ্যালয় পরিদর্শক।
সেরা খেলোয়াড় হিসেবে দশম শ্রেণির অরিত্র পাল ‘চ্যাম্পিয়ন’ হয়।
শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রতিটি ইভেন্ট পরিচালনা করেন।
পুরস্কার বিতরণী পর্বে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি, মেডেল ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।
এই প্রতিযোগিতা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উদ্দীপনা ও খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়ায়।
English – ইংরেজি
READING COMPREHENSION (SEEN)
Read the passage and answer the questions that follow:
We live on the Big Half Moon. ‘We are Father and Claude and I and Aunt Esther and Mimi and Dick. It used to be only Father and Claude and I. It is all on account of the kite that there are more of us. This is what I want to tell you about.
Father is the keeper of the Big Half Moon lighthouse. I am eleven years old. Claude is twelve. In winter, when the harbor is frozen over, we all move over to the mainland. As soon as spring comes, back we sail to our own dear island.
The funny part used to be that people always pitied us when the time came for us to return. They said we must be so lonesome over there, with no other children near us. Of course Claude and I would have liked to have someone to play with us. It is hard to run pirate caves and things like that with only two. But we used to quarrel a good deal with the mainland children in winter. So it perhaps just as well that there were none of them on the Big Half Moon. Claude and I never quarreled.
(A) Write the correct alternative in the given spaces to complete the following sentences: 1×3=3
- The family moved over to the mainland in
(A) summer
(B) winter
(C) autumn
(D) spring
Ans: (B) winter
- When the children asked their father about relatives he became
(A) embarrassed
(B) happy
(B) irritated
(D) sorrowful
- Big Half Moon is the name of the
(A) island
(B) kite
(C) cottage
(D) village Ans.
Ans: (A) island
(B) Complete the following sentences with information from the passage:
- The people of the mainland pitied them when____________________
Ans: the time came for them to return to the island.
2. When the spring came the family used to__________________________
Ans: sail back to their own dear island.
(C) Make a list of the people who lived in the Big Half Moon.
Ans: Father, Claude, I (narrator), Aunt Esther, Mimi, Dick
Read the poem and answer the questions that follow:
I must go down to the seas again, for the call of the running tide
Is a wild call and a clear call that may not be denied;
And all I ask is a windy day with the white clouds flying,
And the flung spray and the blown spume, and the sea-gulls crying.
I must go down to the sead again, to the vagrant gypsy life,
To the gull’s way and the whale’s way where the wind’s like a whetted knife;
And all I ask is a merry yam from a laughing fellow-rover,
And quiet sleep and a sweet dream when the long trick’s over.
(A) Choose the correct alternative : 1×2=2
- The sea-gullos are –
(A) fishing
(B) quarrelling
(C) crying
(D) singing
Ans: (C) crying
- The poet would go down to the sea for the call of the –
(A) running tide
(B) bird
(C) sun
(D) star
Ans: (A) running tide
(B) Answer the following questions : 1×2=2
- What type of life does the poet want?
Ans: The poet wants a free and adventurous life like that of a vagrant gypsy.
- What can the poet not deny?
Ans: The poet cannot deny the call of the running tide.
READING COMPREHENSION (UNSEEN)
Read the passage carefully and answer the questions that follow:
Whales, the largest animals on earth belong to a family of mammals known as cetaceans. Unlike fish, whales are warm blooded animals. They breathe air and give birth to their offspring. Scientists believe that they evolved from land animas with four legs although they are now supremely adapted to underwater life. Whales are difficult animals to study because they are long lived, reproduce slowly and most of them are migratory. Most whales live at an average of forty years. Bowhead whales are generally long living.
There are mainly two types of whales: toothed whales and baleen whales. The blue whale is the largest animal. It is around 25 metres long. Killing of whales has been practised by a number of coastal communities from ancient time. People living in extreme climate conditions like those in Greenland or the Alaskan coast consume whale meat and fat which are the main source of nutrition and energy.
(A) Write the correct alternative in the given spaces to complete the following sentences: 1×3=3
- The average span of whales is
(A) 90 years
(B) 10 years
(C) 40 years
(D) 45 years
Ans: (C) 40 years
- The largest animal on earth is the —
(A) gray whale
(B) blue whale
(C) toothed whale
(D) baleen whale
Ans: (B) blue whale
- The whales are a kind of –
(A) reptiles
(B) fish
(C) amphibians
(D) mammals
Ans: (D) mammals
(B) State whether the following statements are True or False. Write T’ for True and ‘F’ for False in the boxes on the right hand side. Provide sentences/phrases/ words in support of your answer: 2×2=4
- Whale meat and fat give nutrition and energy to the people of Alaska and Greenland.
Supporting statement:_________________________________.
Ans: True
Supporting statement: “People living in extreme climate conditions like those in Greenland or the Alaskan coast consume whale meat and fat which are the main source of nutrition and energy.”
- Whales are cold blooded animals.
Supporting statement: ____________________________.
Ans: False
Supporting statement: “Unlike fish, whales are warm blooded animals.”
(C) Give a suitable title for the passage:
Ans: “Whales: The Giants of the Ocean”
SECTION-B | GRAMMAR AND VOCABULARY
- Write the correct alternatives in the given blanks: 1×2=2
The police started to investigate about the robbery that__________(takes/has taken/took) place last week, but so far they _____(discover/have discovered/had discovered) nothing.
- Do as directed: 1×2=2
- a) They have not returned yet. (Begin with ‘Have’)
Ans: Have they returned yet?
- b) Suravi blamed her luck for her troubles. (Use the noun form of blame’)
Ans: Suravi put the blame on her luck for her troubles.
- B) Choose the correct phrasal verbs from the list given below to replace the words underlined. Write the correct phrasal verbs in the boxes on the right-hand side changing the form wherever necessary. There is one extra phrasal verb in the list: 1×2=2
- i) Read the passage carefully.
Ans: go through
- ii) Rabindranath Tagore established a university in Santiniketan.
List: set up, go through, set in
Ans: set up
- Given below are the meanings of two words that you will find in Question No.3. Find out the words and write them in the appropriate boxes on the right hand side: 2×2=4
- i) baby of an animal
Ans: offspring
- ii) habit of changing places
Ans: migratory
Section – C | WRITING
- Suppose you want to celebrate Teachers’ Day in your school. Write a letter to the Headmaster/Headmistress of your school seeking his/her permission to organize it. You may use the following points:
Ans:
To
The Headmaster/Headmistress
[Your School Name]
[School Address]
Subject: Permission to Celebrate Teachers’ Day
Respected Sir/Madam,
We, the students of Class 10, would like to celebrate Teachers’ Day in our school on 5th September to express our love and respect towards our teachers. We plan to organize a short cultural program, including speeches, songs, and a few performances, followed by a small token of appreciation for our teachers.
We assure you that all arrangements will be made with proper discipline and decorum. Kindly grant us your permission to organize this event in the school premises.
Thanking you,
Yours obediently,
[Your Name]
On behalf of Class 10 students
Physical Science – ভৌত বিজ্ঞান
(A) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ণ বাক্যে উত্তর দাও : 1×7=7
- অবতল দর্পণের প্রতিবিম্ব
(a) সদর
(b) অসদ্
(c) বিবর্ধিত
(d) কোনোটিই
Ans: (c) বিবর্ধিত
- কোনো গোলীয় দর্পণের ফোকাস দৈর্ঘ্য হলে বক্তৃতা ব্যাসার্ধ হবে-
(a) 2f
(b) f
(c) 3f
(d) f/2
Ans: (a) 2f
- পর্যায় সারণিতে শ্রেণিসংখ্যা-
(a) 9 টি
(b) 7 টি
(c) ৪ টি
(d) 17টি
Ans: (b) 7 টি
- একটি সমযোজী যৌগের উদাহরণ-
(a) NaCl
(b) CaO
(c) CH₄
(4) MgCl₂
Ans: (c) CH₄
- ওজোন স্তরের ক্ষয়ের জন্য দায়ী পদার্থটি হল-
(a) N₂
(b) CO₂
(c) CFC
(d) O₂
Ans: (c) CFC
- চার্লসের সূত্রে ধ্রুবক হল—
(a) তাপমাত্রা
(b) আয়তন
(c) পরম তাপমাত্রা
(d) চাপ
Ans: (c) পরম তাপমাত্রা
- লেন্সের মুখ্য ফোকাস-
(a) একটি
(b) দুটি
(c) তিনটি
(d) চারটি
Ans: (b) দুটি
(B) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : 1×9=9
- অবতল দর্পণের দুটি ব্যবহার লেখো।
Ans: অবতল দর্পণের দুটি ব্যবহার: শেভিং মিরর ও টর্চলাইট রিফ্লেক্টর।
- অন্ধ বিন্দু কী? অথবা, পীত বিন্দু কী?
Ans: অন্ধ বিন্দু: চোখের এমন এক বিন্দু যেখানে অপটিক নার্ভ রেটিনা থেকে বেরিয়ে যায়, কোনো রিসেপ্টর কোষ নেই।
- অভিসারী লেন্স কোনটি?
Ans: অভিসারী লেন্স: উত্তল লেন্স।
- নোবেল গ্যাস কাকে বলে?
Ans: নোবেল গ্যাস: যে গ্যাসগুলি নিষ্ক্রিয়, যেমন হেলিয়াম, নিওন, আরগন।
- একটি তেজস্ক্রিয় বিরল গ্যাস কী ?
Ans: তেজস্ক্রিয় বিরল গ্যাস: রেডন (Rn)।
- বায়ুমণ্ডলের কোন্ স্তর উচ্চতা নিয়ন্ত্রণ করে?
অথবা, পুনর্নবীকরণযোগ্য দুটি শক্তি উৎসের নাম লেখো।
Ans: বায়ুমণ্ডলের স্তর উচ্চতা নিয়ন্ত্রণ করে: ট্রপোস্ফিয়ার।
অথবা, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎস: সৌর শক্তি, বায়ুশক্তি।
- একটি গ্রিন হাউস গ্যাসের নাম লেখো।
Ans: গ্রিন হাউস গ্যাস: কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂)।
- পরম উচ্চতার মান কত?
Ans: পরম উচ্চতার মান: 273 K (শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস)।
অথবা, n মোল গ্যাসের ক্ষেত্রে আদর্শ গ্যাস সমীকরণ লেখো।
Ans: অথবা, আদর্শ গ্যাস সমীকরণ: PV = nRT
- C.G.S. এককে সর্বজনীন গ্যাস ধ্রুবকের মান লেখো।
Ans: C.G.S. এককে গ্যাস ধ্রুবকের মান: R = 8.31 × 10⁷ erg/mol·K
(C) নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : 2×6 = 12
- দুটি তেজস্ক্রিয় মৌলের নাম লেখো।
Ans: দুটি তেজস্ক্রিয় মৌল: ইউরেনিয়াম (U), রেডিয়াম (Ra)।
- ডট্ গঠন লেখো : NH₃
Ans: NH₃-র ডট গঠন:
H
|
H-N:H
|
H
- সমযোজী যৌগের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
Ans: সমযোজী যৌগের বৈশিষ্ট্য:
- ইলেকট্রন ভাগ করে বন্ধন গঠন করে।
- সাধারণত গ্যাস, তরল বা নরম কঠিন অবস্থায় থাথাকেl
অথবা, ইলেকট্রনের সম্পূর্ণ স্থানান্তর হয় কোন প্রকার বন্ধনে? একটি উদাহরণ দাও।
Ans: সম্পূর্ণ ইলেকট্রন স্থানান্তর হয় আয়নিক বন্ধনে। উদাহরণ: NaCl
- অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা বলতে কী বোঝ?
অথবা, বায়োফুয়েলের ব্যবহার লেখো।
Ans: অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা: এক মোল পদার্থে 6.022 × 10²³ কণিকা থাকে।
অথবা, বায়োফুয়েল ব্যবহার: পরিবেশবান্ধব, পুনর্নবীকরণযোগ্য।
- চার্লসের সূত্রটি লেখো।
Ans: চার্লসের সূত্র: V ∝ T (চাপ স্থির থাকলে গ্যাসের আয়তন পরম তাপমাত্রার সাথে সরাসরি অনুপাতিক)।
অথবা,
চাপ অপরিবর্তিত থাকলে 27°C তাপমাত্রায় কোনো গ্যাসের যা আয়তন, কত তাপমাত্রায় আয়তন তার দ্বিগুণ হবে?
Ans: V₂ = 2V₁ হলে T₂ = 2 × 300K = 600K → T₂ = 327°C
- প্রতিসরণের সূত্র দুটি লেখো।
Ans: প্রতিসরণের দুটি সূত্র:
- n = sin i / sin r
- v = c/n
(D) নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : 3×4=12
- উত্তল লেন্স দ্বারা অবশীর্ষ ও বিবর্ধিত সবিধ গঠনের পরিষ্কার চিত্র অঙ্কন করো। উত্তল লেন্সের একটি ব্যবহারিক প্রয়োগ লেখো।
Ans: উত্তল লেন্স চিত্র: (অঙ্কনের পর যুক্ত করতে হবে)
ব্যবহারিক প্রয়োগ: ছানি সার্জারির লেন্স, ম্যাগনিফায়ার ইত্যাদি।
- মুদ্রা ধাতু কাকে বলে? দুটি উদাহরণ দাও।
অথবা,
Ans: মুদ্রা ধাতু: এমন ধাতু যা মুদ্রা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ: কপার (Cu), নিকেল (Ni)
মেন্ডেলের পর্যায় সারণির যে-কোনো তিনটি ত্রুটি লেখো।
Ans: মেন্ডেলের পর্যায় সারণির ত্রুটি:
- উপাদানের শ্রেণিবিন্যাস ভর অনুযায়ী।
- আইসোটোপ আলাদা করা হয়নি।
- ধাতু ও অধাতু একসাথে রাখা হয়েছে।
- আদর্শ আচরণ থেকে বাস্তব গ্যাসের ধর্মের বিচ্যুতির দুটি কারণ লেখো।
Ans: বাস্তব গ্যাস বিচ্যুতির কারণ:
- গ্যাস কণিকাগুলির আয়তন থাকে।
- গ্যাস কণিকাদের মধ্যে আকর্ষণ শক্তি থাকে।
অথবা,
গ্যাসের গতীয় তত্ত্বের তিনটি স্বীকার্য লেখো।
Ans: অথবা, গ্যাসের গতীয় তত্ত্বের স্বীকার্য:
- কণাগুলি ক্ষুদ্র ও দৃঢ় বলের সংঘর্ষে গতি করে।
- কণাগুলি পরস্পরের প্রতি কোনো আকর্ষণ বা বিকর্ষণ করে না।
- কণার গতি এলোমেলো।
- আয়তাকার কাচের ক্লাবের মধ্যে দিয়ে কোনো রশ্মি গেলে প্রমাণ করো যে আপতিত রশ্মি ও নির্গত রশ্মি পরস্পর সমান্তরাল।
Ans: আয়তাকার কাঁচের ক্লাব প্রমাণ: আপতিত ও নির্গত রশ্মি সমান্তরাল, কারণ প্রত্যাবর্তিত কোণ = আপতন কোণ।
অথবা,
প্রিজমের মধ্যে দিয়ে আলোর প্রতিসরণের ক্ষেতে চ্যুতিকোণ নির্ণয় করো।
Ans: প্রিজমে চ্যুতিকোণ নির্ণয় করতে:
চ্যুতিকোণ D = i + e – A
যেখানে, i = আপতন কোণ, e = নির্গমনের কোণ, A = প্রিজম কোণ।
Life Science – জীবন বিজ্ঞান
(A) সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে সম্পূর্ণ বাক্যে উত্তর লেখো : 1×7
- উদ্ভিদের সাড়া পরিমাপক যন্ত্রটি হল –
(i) রেসকোগ্রাফ
(ii) সিসমোগ্রাফ
(iii) আর্কমিটার
(iv) হাইগ্রোমিটার
Ans: (i) রেসকোগ্রাফ
- একটি গ্যাসীয় হরমোন হল –
(i) অগ্নিন
(ii) IPA
(iii) ডরমিন b
(iv) সাইটোকাইনিন
Ans: (i) অগ্নিন
- মায়োটম পেশী দেখা যায় –
(i) মাছে
(ii) বাদুড়ে
(ii) ফড়িং
(iv) পায়রা
Ans: (ii) বাদুড়ে
- DNA সংশ্লেষ হয়-
(i) G₀ ̇̇
(ii) G₁ দশা
(iii) S দশা
(iv) G₂ দশা।
Ans: (iii) S দশায়।
- পায়রার লেজে রেকট্রিসেস পালকের সংখ্যা –
(i) 6টি
(ii) 8টি
(iii) 12
(iv) 16
Ans: (iii) 12
- অন্ধকারে দেখতে সাহায্য করে-
(i) রড্ কোশ
(ii) কোন্ কোশ
(iii) উভয় কোশ
(iv) কোনোটিই নয়।
Ans: (i) রড্ কোশ
- মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে করোটিক স্নায়ুর সংখ্য-
(i) 12
(ii) 12 জোড়া
(iii) 31
(iv) 31 জোড়া
Ans: (ii) 12 জোড়া
(B) শূন্যস্থান পূরণ করো (যে কোনো দুটি) : 1×2
- ________________ হল একটি গমনে সাহায্যকারী পেশী।
Ans: বাইসেপস হল একটি গমনে সাহায্যকারী পেশী।
- গ্যামেট উৎপন্ন হয় _________________ কোশ বিভাজনে।
Ans: গ্যামেট উৎপন্ন হয় মিয়োসিস কোশ বিভাজনে।
- ________________হরমোন্ ডাবের জলে থাকে।
Ans: অক্সিন হরমোন্ ডাবের জলে থাকে।
(C) একটি বাক্যে উত্তর লেখো (যে কোনো তিনটি) : 1×3
- একটি মিশ্র স্নায়ুর নাম লেখো।
Ans: একটি মিশ্র স্নায়ুর নাম – ফেসিয়াল নার্ভ।
- কোন্ কোশ বিভাজনে ‘কোশপাত’ গঠিত হয়?Ans:
Ans: মাইটোসিস কোশ বিভাজনে কোশপাত গঠিত হয়।
- বিসদৃশ শব্দ আলাদা করো : প্রোফেজ, মেটাফেজ, টেলোফেজ, সাইটোকাইনেসিস।
Ans: বিসদৃশ শব্দ – সাইটোকাইনেসিস।
- কাকে সংকটকালীন হরমোন বলে?
Ans: অ্যাড্রিনালিন হরমোনকে সংকটকালীন হরমোন বলে।
(D) সঠিক বিবৃত্তির পাশে সত্য ও ভুল বিবৃতির পাশে মিথ্যা লেখো (দুটি) : 1×2=2
- মানুষের চোখের লেন্স উত্তল প্রকৃতির।
Ans: সত্য
- ইনসুলিন রক্ত শর্করা কমায়।
Ans: সত্য
3.টিউলিপ ফুলে ফটোন্যাস্টি চলন ঘটে।
Ans: সত্য
(E) ‘A’ ও ‘B’ স্তম্ভে দেওয়া বিবৃতির মধ্যে সমতা বিধান করো (যে কোনো চারটি) : 1×4
| স্তম্ভ ‘A’ | স্তম্ভ ‘B’ |
| (a) পরাগরেণু উৎপাদন | (i) মানুষ |
| (b) ক্ষণপদ | (ii) CH |
| (c) বামনত্ব | (iii) অ্যামিবা |
| (d) দ্বিনেত্র দৃষ্টি | (iv) মিয়োসিস |
| (e) পার্থেনোকাপি | (v) অক্সিন হরমোন |
| (vi) মায়োটোম পেশী |
Ans:
| স্তম্ভ A | স্তম্ভ B |
| (a) পরাগরেণু উৎপাদন | (iv) মিয়োসিস |
| (b) ক্ষণপদ | (iii) অ্যামিবা |
| (c) বামনত্ব | (ii) CH (Growth Hormone এর ঘাটতি) |
| (d) দ্বিনেত্র দৃষ্টি | (i) মানুষ |
| (e) পার্থেনোকাপি | (v) অক্সিন হরমোন |
(F) সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও (যে কোনো ছয়টি) : 2×6
- DNA-এর ক্ষারকগুলির নাম লেখো।
Ans: DNA-এর ক্ষারকগুলি হল – অ্যাডেনিন, গুৱানিন, থাইমিন, সাইটোসিন।
- ACTH এবং FSH-এর পুরো নাম লেখো।
Ans: ACTH – অ্যাড্রিনোকর্টিকোট্রপিক হরমোন, FSH – ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন।
- অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা গ্রন্থির মধ্যে পার্থক্য লেখো।
Ans: অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি রক্তে হরমোন নিঃসরণ করে; বহিঃক্ষরা গ্রন্থি সরাসরি কোনো অঙ্গ বা গহ্বরে নিঃসরণ করে।
- চোখের প্রতিসারক মাধ্যমগুলির নাম লেখো।
Ans: চোখের প্রতিসারক মাধ্যমগুলি হল – কর্নিয়া, অ্যাকোয়াস হিউমার, লেন্স, ভিট্রিয়াস হিউমার।
- পার্থেনোকাপি কাকে বলে?
Ans: পার্থেনোকাপি হল পরাগনিষেক ছাড়াই ফল উৎপন্ন হওয়া।
- ইস্ট্রোজেনের দুটি কাজ লেখো।
Ans: ইস্ট্রোজেনের দুটি কাজ – গর্ভাশয়ের গঠন, নারী বৈশিষ্ট্যের বিকাশ।
- “সন্তানের স্তনপান, সাইকেল চালানো, লেখা”- কোন্টি কোন প্রকারের প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
Ans: সন্তানের স্তনপান – শর্তযুক্ত প্রতিবর্ত, সাইকেল চালানো ও লেখা – অভ্যাসগত প্রতিবর্ত।
(G) রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর দাও : 5
- একটি আদর্শ নিউরোনের চিত্র এঁকে নিম্নলিখিত অংশ চিহ্নিত করো : 3+2
(i) অ্যাক্সন (ii) ডেনড্রন (iii) রানভিয়ারের পর্ব (iv) প্রান্তবুবুশ।

অথবা,
প্রতিবর্ত চাপের চিত্র অংকন করে চিহ্নিত করো : (i) কারক (ii) গ্রাহক (iii) অন্তঃবাহী স্নায়ু (iv) বহিঃস্নায়ু
- মিয়োসিসকে হ্রাস বিভাজন বলে কেন? মাইটোসিসের তাৎপর্য লেখো। 2+3.
Ans: মিয়োসিস বিভাজনে ক্রোমোজোম সংখ্যা অর্ধেক হয়, তাই একে হ্রাস বিভাজন বলা হয়।
মাইটোসিসের তাৎপর্য:
→ মাইটোসিসে কোশ সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, দেহের বৃদ্ধি ও ক্ষতস্থান পূরণ হয় এবং জিনগত বৈশিষ্ট্য অপরিবর্তিত থাকে।
অথবা,
সংজ্ঞাবহ স্নায়ু কাকে বলে? উদাহরণ দাও। সাইন্যাপস কাকে বলে? থাইরক্সিনের কাজ
লেখো।
Ans: যে স্নায়ু বাহ্যিক উদ্দীপনা গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে বার্তা পাঠায়, তাকে সংজ্ঞাবহ স্নায়ু বলে। উদাহরণ: অপটিক নার্ভ।
সাইন্যাপস কাকে বলে?
→ দুই স্নায়ুকোষের মধ্যবর্তী সংযোগস্থলকে সাইন্যাপস বলে।
থাইরক্সিনের কাজ লেখো।
→ থাইরক্সিন কোষের জৈব জ্বালানি উৎপাদন এবং বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
Mathematics – গণিত
(A) সঠিক উত্তর নির্বাচন করোঃ [1×7 = 7]
- দুটি বৃত্ত পরস্পরকে C বিন্দুতে বহিঃস্পর্শ করে। AB বৃত্তটির একটি সাধারণ স্পর্শক বৃত্তদুটিকে A ও B বিন্দুতে স্পর্শ করে। ∠ACB =
(a) 60°
(b) 45°
(c) 30°
(d) 90º
Ans: (d) 90º
- ∆ABC ও ∆DEF এর AB/DE = BC/FD = AC/EF হলে —
(a) ∠B = ∠E
(b) ∠A = ∠D
(c) ∠B = ∠D
(d) ∠E = ∠F
Ans: (b) ∠A = ∠D
- দুটি নিরেট গোলকের বক্রতলের ক্ষেত্রফলের অনুপাত 16:9 হলে আয়তনের অনুপাত—
(a) 64:27
(b) 4:3
(c) 27:64
(d) 3:4
Ans: (a) 64:27
- একটি লম্ববৃত্তাকার শঙ্কুর ব্যাসার্ধের দৈর্ঘ্য একই রেখে উচ্চতা দ্বিগুণ করলে, শঙ্কুটির আয়তন বৃদ্ধি পায়—
(a) 100%
(b) 200%
(c) 300%
(d) 400%
Ans: (a) 100%
- A 500 টাকা 9 মাসের জন্য এবং B 600 টাকা 5 মাসের জন্য একটি ব্যবসায়ে নিয়োজিত করে। লভ্যাংশ তাদের মধ্যে বণ্টিত হবে যে অনুপাতে –
(a) 3:2
(b) 5:6
(c) 6:5
(d) 9:5
Ans: (c) 6:5
- 3x² + 8x + 2 = 0 সমীকরণের বীদ্বয় a ও B হলে (1/a+ 1/b) এর মান-
(a) –⅜
(b) ⅔
(c) – 4
(d) 4
Ans: (b) ⅔
- যদি (y – z) ∝1/x, (z–x) ∝ 1/y , এবং (x – y) ∝ 1/z হয়, তাহলে তিনটি ভেদধ্রুবকের সমষ্টি-
(a) 0
(b) 1
(c) –1
(d) 2
Ans: (a) 0
(B) নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : [2×4= 8]
- একটি লম্ববৃত্তাকার শঙ্কুর আয়তন এবং পার্শ্বতলের ক্ষেত্রফলের সাংখ্যমান সমান। শত্ৰুটির উচ্চতা ও ব্যাসার্ধের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে h একক এবং r একক হলে, 1/h²+1/r² এর মান কত হবে তা নির্ণয় করো।
Ans: ভলিউম = 13πr2h,পার্শ্বতল ক্ষেত্রফল = πrl\text{ভলিউম = } \frac{1}{3} \pi r^2 h, \quad \text{পার্শ্বতল ক্ষেত্রফল = } \pi r l
যদি দুইটি সমান হয়:
13πr2h=πrr2+h2⇒13rh=r2+h2\frac{1}{3} \pi r^2 h = \pi r \sqrt{r^2 + h^2} \Rightarrow \frac{1}{3} r h = \sqrt{r^2 + h^2} ⇒(13rh)2=r2+h2⇒19r2h2=r2+h2⇒1h2+1r2=1V\Rightarrow \left( \frac{1}{3} r h \right)^2 = r^2 + h^2 \Rightarrow \frac{1}{9} r^2 h^2 = r^2 + h^2 \Rightarrow \frac{1}{h^2} + \frac{1}{r^2} = \frac{1}{V}
Ans: (\frac{1}{h^2} + \frac{1}{r^2} = \text{একটি ধ্রুবক মান** (উত্তর জটিল, লেখচিত্রে উপস্থাপন শ্রেয়)।**
- একটি নিরেট গোলকের বক্রতলের ক্ষেত্রফল = S এবং আয়তন = V হলে, S ও V এর মধ্যে গোলকের ব্যাসার্ধ বর্ধিত সম্পর্কটি নির্ণয় করো।
Ans: S=4πr2,V=43πr3⇒SV=3r⇒r=3VSS = 4\pi r^2,\quad V = \frac{4}{3} \pi r^3 \Rightarrow \frac{S}{V} = \frac{3}{r} \Rightarrow r = \frac{3V}{S}
- যদি a ∝ b, b ∝1/c এবং c ∝ d হয় তবে a ও d এর মধ্যে ভেদসম্পর্ক লেখো।
Ans: a ∝ b, b ∝ 1/c, c ∝ d
⇒ a ∝ b ∝ 1/c ∝ 1/(1/d) ⇒ a ∝ d
- দুটি বৃত্তের ব্যাসার্ধের দৈর্ঘ্য 8cm ও 3 cm এবং তাদের কেন্দ্রদ্বয়ের মধ্যে দূরত্ব 13 cm। বৃত্তদুটির একটি সরল সাধারণ স্পর্শকের দৈর্ঘ্য নির্ণয় করো।
Ans: দুই বৃত্তের ব্যাসার্ধ = 8 cm ও 3 cm
কেন্দ্রদূরত্ব = 13 cm
সাধারণ স্পর্শকের দৈর্ঘ্য =132−(8−3)2=169−25=144=12= \sqrt{13^2 – (8 – 3)^2} = \sqrt{169 – 25} = \sqrt{144} = 12 cm
(C) নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : [5]
- প্রমাণ করো যে, বৃত্তের বহিঃস্থ কোনো বিন্দু থেকে যে দুটি স্পর্শক অঙ্কন করা যায়, তাদের স্পর্শবিন্দু দুটির সঙ্গে বহিঃস্থ বিন্দুর সংযোজক সরলরেখাংশ দুটির দৈর্ঘ্য সমান এবং তারা কেন্দ্রে সমান কোণ উৎপন্ন করে।
অথবা, প্রমাণ করো যে, যে কোনো সমকোণী ত্রিভুজের সমকৌণিক বিন্দু থেকে অতিভূজের লম্ব অঙ্কন করলে, এই লম্বের উভয় পার্শ্বস্থিত ত্ৰিভুজদ্বয় সদৃশ।
Ans: প্রমাণ
দুটি স্পর্শকের প্রমাণ আপনি চাইলে আমি আলাদাভাবে চিত্র সহ তৈরি করতে পারি। মূল কথা:
- OA = OB (স্পর্শকের দৈর্ঘ্য)
- ∠OAC = ∠OBC (কারণ উভয় স্পর্শক সমদূরত্বে)
- ∆OAC ≅ ∆OBC ⇒ ∠AOC = ∠BOC
- থ্যালেসের বিপরীত উপপাদ্যের সাহায্যে প্রমাণ করো যে, ত্রিভুজের দুটি বাহুর মধ্যবিন্দুদ্বয়ের সংযোজক সরল রেখাংশ তৃতীয় বাহুর সমান্তরাল।
Ans: থ্যালেসের বিপরীত উপপাদ্য অনুযায়ী
ত্রিভুজের দুটি বাহুর মধ্যবিন্দু M ও N কে সংযুক্ত করলে MN || তৃতীয় বাহু
- একটি ত্রিভুজ অঙ্কন করো যার একটি বাহু 67cm এবং বাহু সংলগ্ন কোণ দুটির পরিমাণ 75° ও 55° । ত্রিভুজটির পরিবৃত্ত অঙ্কন করো। (কেবলমাত্র অঙ্কনচিহ্ন দিতে হবে)
Ans: ত্রিভুজ অঙ্কন (67cm, ∠75°, ∠55°)
⇒ তৃতীয় কোণ = 180 – (75+55) = 50°
⇒ পরিবৃত্ত = ∠দ্বয়ের বাইসেক্টরের ছেদবিন্দুতে পরিসীমা
(এই অংশ আমি ইমেজে বা PDF ফর্মে দিতে পারি)
- 1 cm ও 6cm দৈর্ঘ্যের ব্যাসার্ধবিশিষ্ট দুটি নিরেট গোলককে গলিয়ে 1 cm পুরু ফাঁপা গোলকে পরিণত করা হলে, নতুন গোলকটির বহিঃব্যাসের দৈর্ঘ্য নির্ণয় করো।
Ans: ভলিউম সংরক্ষণ করে গলিয়ে ফাঁপা গোলক তৈরি
Vnew=V1+V2=43π(13+63)=43π(1+216)=43π(217)\text{V}_{\text{new}} = V_1 + V_2 = \frac{4}{3}\pi(1^3 + 6^3) = \frac{4}{3}\pi(1 + 216) = \frac{4}{3}\pi(217)
ধরি নতুন বাহিঃব্যাস R, অন্তঃব্যাস = R – 1
43π(R3−(R−1)3)=43π217⇒R3−(R−1)3=217⇒3R2−3R+1=217⇒R=7\frac{4}{3} \pi (R^3 – (R-1)^3) = \frac{4}{3} \pi 217 \Rightarrow R^3 – (R – 1)^3 = 217 \Rightarrow 3R^2 – 3R + 1 = 217 \Rightarrow R = 7
⇒ বাহিঃব্যাস = 7 cm
অথবা, লম্ববৃত্তাকার শঙ্কু আকৃতির একটি লোহার পাতের বয়া তৈরি করতে 75 বর্গমিটার লোহার পাত লেগেছে। বয়াটির তির্যক উচ্চতা যদি 5 মিটার হয়, তবে বয়াটিতে কত বায়ু আছে এবং বয়াটির উচ্চতা নির্ণয় করো।
- সাব্বা, দীপক ও পৃথা যথাক্রমে 6000 টাকা, 8000 টাকা ও 9000 টাকা মূলধন নিয়ে একত্রে একটি ব্যবসা আরম্ভ করল। কয়েক মাস পরে সাব্বা আরও 3000 টাকা লগ্নি করল। বছরের শেষে মোট3000 টাকা লাভ হলো এবং পৃথা 1080 টাকা লভ্যাংশ পেল। সাব্বা 3000 টাকা কখন লগ্নি করেছিল নির্ণয় করো।
অথবা, পূজা, উত্তম ও মেহের যথাক্রমে 5000 টাকা, 7000 টাকা ও 10000 টাকা মূলধন নিয়ে অংশীদারী কারবার এই শর্তে শুরু করে যে, —(i) কারবার চালানোর মাসিক খরচ 125 টাকা, (ii) হিসাবপত্র রাখার জন্য পূজা ও উত্তম প্রত্যেকে মাসিক 200 টাকা পাবে। বছরের শেষে 6960 টাকা লাভ হলে, তা থেকে কে কত টাকা পাবে তা নির্ণয় করো।
Ans: লাভ বণ্টন প্রশ্ন
সাব্বা x মাস পরে আরও ₹3000 লগ্নি করে
সাব্বার মোট লগ্নি = 6000×12 + 3000×(12–x)
পৃথার লগ্নি = 9000×12
লভ্যাংশ অনুপাত সমান ⇒ সমাধান করলে x = 3
- সমাধান করো : 1/x – 1/x+b=1/a-1/a+b, x=0,-b
অথবা, y দুটি চলের সমষ্টির সমান, যার একটি x চলের সঙ্গে সরলভেদে এবং অন্যটি x চলের সঙ্গে ব্যস্তভেদে আছে। x = 1 হলে y = -1 এবং x = 3 হলে, y = 5; x ও y এর মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করো।
Ans: সমাধান করো:
1x−1x+b=1a−1a+b\frac{1}{x} – \frac{1}{x + b} = \frac{1}{a} – \frac{1}{a + b}
উভয় দিক সমান ⇒ সমাধান করে x = 0 বা x = –b
Geography – ভূগোল
অতিসংক্ষিত প্রশ্নমান (2) :
- নিরক্ষীয় অঞ্চলে পরিচলন বৃষ্টিপাতের আধিক্য কেন দেখা যায়?
Ans: সূর্যের সরাসরি তাপের কারণে এ অঞ্চলে প্রচুর জলীয়বাষ্প তৈরি হয় এবং তা উপরের দিকে উঠে ঠান্ডা হয়ে ঘন হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়, একে পরিচলন বৃষ্টিপাত বলে। - তাপ বিষুবরেখা কাকে বলে?
Ans: পৃথিবীর যে রেখা বরাবর সর্বাধিক তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হয় তাকে তাপ বিষুবরেখা বলে। এটি ভৌগোলিক বিষুবরেখা থেকে কিছুটা উত্তরে অবস্থিত। - হিমপ্রাচীর কাকে বলে?
Ans: স্থলভাগে গঠিত হিমবাহ যখন সাগরের কিনারায় পৌঁছে একটানা বরফপ্রাচীর সৃষ্টি করে, তখন তাকে হিমপ্রাচীর বলে। - আপেক্ষিক আর্দ্রতা কাকে বলে?
Ans: বায়ুর মধ্যে বিদ্যমান জলীয়বাষ্পের পরিমাণ এবং উক্ত তাপমাত্রায় বায়ু সর্বাধিক যত জলীয়বাষ্প ধারণ করতে পারে তার অনুপাতে শতকরা হারকে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বলে। - নিরক্ষীয় জলবায়ুর দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
Ans: (i) সারা বছর উচ্চ তাপমাত্রা বিদ্যমান।
Ans: (ii) প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। - উচ্চস্থান শীতল হওয়ার কারণ কী?
Ans: উচ্চতার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর ঘনত্ব ও তাপমাত্রা হ্রাস পায়, তাই উচ্চস্থান শীতল হয়। - অ্যালবেডো কাকে বলে?
Ans: সূর্যের আপতিত রশ্মির উপরিভাগ থেকে প্রতিফলিত রশ্মির শতকরা হারকে অ্যালবেডো বলে। - মৌসুমি বায়ু কিভাবে ভারতীয় কৃষিকে নিয়ন্ত্রণ করে?
Ans: মৌসুমি বায়ু ভারতের প্রধান বৃষ্টির উৎস হওয়ায় এর উপর নির্ভর করে খরিফ শস্য উৎপাদন, বিশেষত ধান। - সবুজ বিপ্লব কাকে বলে?
Ans: উন্নত জাতের বীজ, সার, কীটনাশক ও সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনের ব্যাপক বৃদ্ধিকে সবুজ বিপ্লব বলে। - ভরাকোটালকে সর্বোচ্চ জোয়ার বলে কেন?
Ans: সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী এক সরলরেখায় অবস্থান করলে আকর্ষণ শক্তি বেশি হয় ও সবচেয়ে উচ্চ জোয়ার তৈরি হয়, একে ভরাকোটাল বলে। - ভারতের দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ কী?
Ans: জন্মহার বেশি এবং মৃত্যুহার হ্রাস পাওয়ায় জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। - শিকড়-আলগা শিল্প কাকে বলে?
Ans: যে সব শিল্প কাঁচামাল বা বাজারের নিকটস্থ হওয়ার প্রয়োজন নেই, যত্রতত্র গড়ে উঠতে পারে, তাদের শিকড়-আলগা শিল্প বলে। যেমন: ইলেকট্রনিক শিল্প। - আইসোথার্মাল অঞ্চল কাকে বলে?
Ans: সমতাপ রেখা দিয়ে আবদ্ধ ভূখণ্ডকে আইসোথার্মাল অঞ্চল বলে। - হ্যাডলির কক্ষ কী?
Ans: নিরক্ষীয় অঞ্চলের উত্তপ্ত বায়ু উপরে উঠে মেরুর দিকে গিয়ে শীতল হয়ে ৩০° অক্ষাংশে নেমে আসে ও নিরক্ষীয় দিকে ফিরে আসে — এই বায়ু চলাচলের চক্রকে হ্যাডলির কক্ষ বলে। - শস্যাবর্তন পদ্ধতি বলতে কী বোঝো?
Ans: একই জমিতে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ধরনের শস্য উৎপাদন করাকে শস্যাবর্তন পদ্ধতি বলে। - গর্জনশীল চল্লিশা বলতে কী বোঝো?
Ans: দক্ষিণ গোলার্ধের ৪০°–৫০° দক্ষিণ অক্ষাংশে প্রবাহিত প্রাবল্যশালী পশ্চিম বায়ুকে গর্জনশীল চল্লিশা বলা হয়। - ফেরেলের সূত্র কী?
Ans: পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে কোনো গতিশীল বস্তু উত্তর গোলার্ধে ডানে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামে সরে, একে ফেরেলের সূত্র বলে। - কাকে ‘আধুনিক শিল্পদানব’ বলা হয় এবং কেন?
Ans: পেট্রোরাসায়নিক শিল্পকে বলা হয় কারণ এটি থেকে অনেক ধরনের পণ্য তৈরি হয় এবং এর উপর বহু শিল্প নির্ভরশীল। - ‘সোনালি চতুর্ভুজ’ বলতে কী বোঝো?
Ans: ভারতের চারটি মহানগর (দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই, মুম্বই) যুক্ত করা হাইওয়ে প্রকল্পকে সোনালি চতুর্ভুজ বলা হয়। - কাকে ভারতের সিলিকন ভ্যালি বলা হয় এবং কেন?
Ans: বেঙ্গালুরু শহরকে কারণ এখানে বহু তথ্যপ্রযুক্তি ও সফটওয়্যার সংস্থা অবস্থিত। - ভারতীয় কৃষির দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
Ans: (i) মৌসুমি নির্ভরতা
Ans: (ii) শ্রমনির্ভর কৃষি - আউটসোর্সিং কী?
Ans: কোনো সংস্থা তাদের কাজের একটি অংশ বাইরের সংস্থাকে দেওয়াকে আউটসোর্সিং বলে। - অনুসারী শিল্প কাকে বলে?
Ans: যে শিল্প প্রধান শিল্প থেকে উৎপন্ন পণ্যকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে, তাকে অনুসারী শিল্প বলে। যেমন: কাগজ শিল্প (সেলুলোজ থেকে)।
সংক্ষিত প্রশ্নমান (3) :
- সমুদ্রস্রোতের উৎপত্তিতে নিয়তবায়ুর প্রভাব বর্ণনা করো।
Ans: নিয়তবায়ু নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত হওয়ায় জলপৃষ্ঠের উপর ঘর্ষণ সৃষ্টি করে ও সমুদ্রজলে গতি দেয়, ফলে সমুদ্রস্রোত তৈরি হয়। - আয়নবায়ু কীভাবে, কোন কোন চাপ বলয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত?
Ans: আয়নবায়ু হলো উচ্চমাত্রায় চার্জযুক্ত কণাবিশিষ্ট বায়ু, যা মন্ডলের উচ্চভাগে থাকে। এটি প্রধানত নিরক্ষীয় নিম্নচাপ ও উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। - সমুদ্রস্রোত কয়প্রকার ও কী কী?
Ans: প্রধানত দুই প্রকার:
(i) উষ্ণ স্রোত — নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে মেরুর দিকে যায়।
(ii) শীতল স্রোত — মেরু অঞ্চল থেকে নিরক্ষীয় অঞ্চলের দিকে আসে।
বানডাকা: বায়ুপ্রবাহের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের জল অন্যত্র সরে গিয়ে নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে নিচের দিক থেকে জল উঠে আসে — একে বানডাকা বলে। - মগ্নচড়াগুলিতে মৎস্য আহরণ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে কেন?
Ans: কারণ সেখানে জল প্রবাহ ধীর হয়, পুষ্টিসমৃদ্ধ জল ও জলজ জীবের আধিক্য থাকে। - পার্থক্য লেখো:
(i) ঘূর্ণবাত: নিম্নচাপ কেন্দ্র ঘিরে বায়ু ঘুরে যায়
প্রতীপ ঘূর্ণবাত: উচ্চচাপ কেন্দ্র ঘিরে বায়ু বাইরে বের হয়
(ii) সমুদ্রস্রোত: বৃহৎ জলধারার গতি
সমুদ্রতরঙ্গ: বাতাসে সৃষ্ট ছোট ছোট জলতরঙ্গ
(iii) স্থলবায়ু: রাত্রিতে স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে
সমুদ্রবায়ু: দিনে সমুদ্র থেকে স্থলভাগে
(iv) ভরাকোটাল: পূর্ণিমা/অমাবস্যায় সর্বোচ্চ জোয়ার
মরাকোটাল: অর্ধচন্দ্রাবস্থায় নিম্ন জোয়ার
(v) মুখ্য জোয়ার: দিনে ২ বার হয়
গৌণ জোয়ার: মুখ্য জোয়ারের মাঝখানে হয় - পূর্ণিমার জোয়ারের তুলনায় অমাবস্যার জোয়ার বেশি শক্তিশালী কেন?
Ans: অমাবস্যায় সূর্য ও চাঁদ একদিকে থাকায় আকর্ষণ শক্তি বেশি হয়। - দুটি মুখ্য জোয়ারের মধ্যে সময় ২৪ ঘন্টা ৫২ মিনিট হয় কেন?
Ans: চাঁদ প্রতিদিন পৃথিবীর একস্থানে ৫২ মিনিট পরে ওঠে — তার সাথে জোয়ারের সময়ও পিছিয়ে যায়। - বিশ্ব উষ্ণায়নের তিনটি প্রভাব ব্যাখ্যা করো:
Ans: (i) গ্লেসিয়ারের গলন
(ii) সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি
(iii) জলবায়ুর চরমতা
রচনাধমী প্রশ্নমান (5) :
1. ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের জনবণ্টনের তারতম্যের পাঁচটি কারণ আলোচনা করো।
Ans: ১. ভূপ্রকৃতি: সমভূমি অঞ্চলে জনসংখ্যা ঘন, যেমন গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা। পাহাড়ি ও মরুভূমি অঞ্চলে জনসংখ্যা কম।
২. আবহাওয়া: অনুকূল জলবায়ু (যেমন পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা) মানুষকে বসবাসে আকর্ষণ করে।
৩. মাটির উর্বরতা: উর্বর মাটি কৃষিকাজে সুবিধাজনক, যেমন – গঙ্গা উপত্যকা।
৪. জলসংস্থান: নদী ও জলাধারের সহজলভ্যতা জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
৫. শিল্প ও বাণিজ্য: শিল্পোন্নত এলাকাগুলো যেমন – মুম্বই, কলকাতা, দিল্লি জনবহুল।
2. ভারতের নগরায়ণের সমস্যাগুলি সম্পর্কে আলোচনা করো।
Ans: ১. জনঘনত্ব ও দারিদ্র্য: অতিরিক্ত লোকের চাপ এবং বস্তির সৃষ্টি।
২. পরিবহন সমস্যা: যানজট, ট্র্যাফিক ও পরিবহন অব্যবস্থা।
৩. দূষণ: বায়ু, জল ও শব্দ দূষণের আধিক্য।
৪. জল সংকট: বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব।
৫. বেকারত্ব ও অপরাধ: কাজের সুযোগ কমে যাওয়ায় সামাজিক অপরাধ বৃদ্ধি।
3. পশ্চিম ভারতে পেট্রোরাসায়নিক শিল্প অধিক উন্নত হওয়ার কারণ কী?
Ans: ১. মুম্বই হাই থেকে খনিজ তেলের সহজলভ্যতা।
২. বন্দর সুবিধা – মুম্বই ও কাণ্ডলা বন্দর।
৩. শিল্পজাত পণ্যের চাহিদা ও বাজার।
৪. পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ও পরিকাঠামো।
৫. অভিজ্ঞ শ্রমিক ও প্রযুক্তির সহজলভ্যতা।
4.পূর্ব ও মধ্য ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্পের কেন্দ্রীভবনের কারণ কী?
Ans: ১. লৌহ আকরিকের খনি – ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা।
২. কয়লার উৎস – রাণীগঞ্জ, দামোদর উপত্যকা।
৩. জলের সহজলভ্যতা – নদী ও জলাধার থেকে।
৪. বিদ্যুৎ সরবরাহ – কোল বেসড থার্মাল পাওয়ার।
৫. যোগাযোগ ও বাজার – রেল ও রাস্তার মাধ্যমে সংযোগ।
5. পৃথিবীর স্থায়ী বায়ুচাপ বলয়গুলির সচিত্র বর্ণনা দাও।
Ans: স্থায়ী বায়ুচাপ বলয়:
১. নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় (0°)
২. উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় (30° উত্তর ও দক্ষিণ)
৩. উপঐষণিক নিম্নচাপ বলয় (60° উত্তর ও দক্ষিণ)
৪. মেরু উচ্চচাপ বলয় (90° উত্তর ও দক্ষিণ)


6. পরিচলন বৃষ্টি ও শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টির চিত্রসহ বিবরণ দাও।
Ans: পরিচলন বৃষ্টি:
- গরমে স্থলভাগ গরম হয়ে হালকা বায়ু উপরে উঠে, ঠান্ডা হয়ে জলে পরিণত হয় = বৃষ্টি।

শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি:
- পাহাড়ের সম্মুখে গরম ও আর্দ্র বায়ু উঠে ঠান্ডা হয়ে বর্ষণ হয়।

7. ভারতে চা উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশগুলি আলোচনা করো।
Ans: ১. জলবায়ু: উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু (20°C – 30°C)।
২. বৃষ্টি: বার্ষিক 150-300 সেমি বৃষ্টিপাত।
৩. উঁচু ভূমি: পাহাড়ি ঢালে চাষ – দার্জিলিং, অসম, নীলগিরি।
৪. মাটি: অম্ল মাটি, জৈবপদার্থ সমৃদ্ধ।
৫. শ্রমশক্তি: পর্যাপ্ত শ্রমিক – হাতের কাজ জরুরি।
8. বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার তারতম্যের পাঁচটি কারণ আলোচনা করো।
Ans: ১. সূর্যরশ্মির কোণের তারতম্য।
২. সমুদ্রস্রোত ও স্থল-জলের তারতম্য।
৩. উচ্চতা – পাহাড়ি অঞ্চলে উষ্ণতা কম।
৪. মেঘ ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।
৫. বায়ুপ্রবাহ – গরম বা ঠান্ডা বায়ু চলাচল।
History – ইতিহাস
অতিসংক্ষিত প্রশ্নমান (2) :
- তারকনাথ পালিত বিখ্যাত কেন?
Ans: তিনি ছিলেন এক জন দানশীল ব্যক্তি ও সমাজসংস্কারক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে অবদান রেখেছিলেন।
- তিন কাঠিয়া প্রথা / চম্পারণ সত্যাগ্রহ কী?
Ans: চম্পারণে কৃষকদের জোর করে জমির এক তৃতীয়াংশে নীল চাষে বাধ্য করত ব্রিটিশরা। এই অনৈতিক প্রথার প্রতিবাদে গান্ধীজি সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করেন, যা চম্পারণ সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত।
- মোপালা বিদ্রোহ কী?
Ans: ১৯২১ সালে মালাবারে কৃষক ও মুসলিম মোপালারা জমিদার ও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে।
- তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার কী?
Ans: ১৯৪২ সালে মেদিনীপুরে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় গঠিত অস্থায়ী জাতীয় সরকার, যার নেতৃত্বে ছিলেন সাটিশ সামন্ত।
- কমিউনিস্ট পার্টিকে দ্বিজ বলা হয় কেন?
Ans: কারণ এই পার্টির নেতৃত্বে ছিলেন মূলত উচ্চবর্ণীয় ও শহুরে বুদ্ধিজীবীরা।
- বাবা রামচন্দ্র কে ছিলেন?
Ans: তিনি একজন সাধু ও কিষাণ নেতা ছিলেন যিনি উত্তরপ্রদেশে কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
- মাদারি পাশি কে ছিলেন?
Ans: তিনি উত্তরপ্রদেশের একজন ত্যাগী কৃষক নেতা ছিলেন যিনি বাবারামচন্দ্রের সঙ্গে মিলে জমিদারি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন।
- চৌরিচৌরা ঘটনা কী?
Ans: ১৯২২ সালে উত্তেজিত জনতা চৌরিচৌরায় একটি থানায় আগুন লাগিয়ে ২২ জন পুলিশকে পুড়িয়ে মারে। এই ঘটনার পর গান্ধীজি অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।
- বখস্তভূমি আন্দোলন কী?
Ans: বখিল জমি উদ্ধার ও ভূমির ওপর কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে চালানো আন্দোলন।
- সারা ভারত কিষান সভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
Ans: কৃষকদের আর্থিক-সামাজিক উন্নয়ন ও জমিদারদের শোষণের বিরুদ্ধে সংগঠিত করা।
- কাকে কেন সীমান্ত গান্ধী বলা হয়?
Ans: খান আব্দুল গাফফার খানকে সীমান্ত গান্ধী বলা হয়, কারণ তিনি অহিংস আন্দোলনের প্রবক্তা ছিলেন এবং উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে কাজ করতেন।
- স্বদেশী ও বয়কট বলতে কী বোঝো?
Ans: স্বদেশী মানে নিজের দেশে উৎপাদিত দ্রব্য ব্যবহার; বয়কট মানে বিদেশি দ্রব্যের ব্যবহার বর্জন।
- সভাসমিতির যুগ কি?
Ans: ১৮৭০-৮০-এর দশকে জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক পর্যায়ে গঠিত ছোট ছোট সভা ও সমিতির কার্যকলাপের সময়কে সভাসমিতির যুগ বলে।
- ভারতমাতা চিত্রের বৈশিষ্ট্য লেখো।
Ans: মাতৃরূপে ভারতের চিত্রায়ণ, দেবীমূর্তি, পতাকা, গেরুয়া বস্ত্র, কণ্ঠে জপমালা – দেশপ্রেম জাগরণের প্রতীক।
- ব্যঙ্গচিত্র কেন আঁকা হয়?
Ans: সমাজ ও রাজনীতির অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি ও উপনিবেশিক শাসনের সমালোচনা করতে।
- ঝাঁসির রানী বিখ্যাত কেন?
Ans: ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করে তিনি ইতিহাসে অমর হন।
- নানাসাহেব বিখ্যাত কেন?
Ans: মহাবিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়া এবং কানপুরের ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য।
- হিন্দুমেলার ত্রুটি কী?
Ans: কেবলমাত্র উচ্চবর্ণ হিন্দুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এবং বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি।
- মহাবিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ কী ছিল?
Ans: এনফিল্ড রাইফেলের কার্তুজে গরু ও শূকরের চর্বি ব্যবহারের গুজব, যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়।
- জাতীয়তাবাদ কাকে বলে?
Ans: নিজের জাতি, সংস্কৃতি, ভাষা ও দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও আত্মনিবেদনের মনোভাবকে জাতীয়তাবাদ বলে।
- চার্লস উইলকিন্স বিখ্যাত কেন?
Ans: তিনিই প্রথম ইংরেজ অনুবাদক যিনি ‘ভগবদ্গীতা’ ইংরেজিতে অনুবাদ করেন।
- পঞ্চানন কর্মকার বিখ্যাত কেন?
Ans: বাংলা মুদ্রণ শিল্পের একজন অগ্রণী, যিনি বাংলা টাইপফেস উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
- কাকে, কেন বিদ্যাবনিক বলা হয়?
Ans: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে ‘বিদ্যাবনিক’ বলা হয় তার বিদ্যাচর্চা ও শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য।
- লাইনোটাইপ প্রবর্তনের গুরুত্ব কী?
Ans: ছাপাখানায় দ্রুত মুদ্রণ সম্ভব হয়, পত্রিকা ও বই প্রকাশে গতি আসে।
- মহেন্দ্রলাল সরকার বিখ্যাত কেন?
Ans: তিনি ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স (IACS) প্রতিষ্ঠা করেন বিজ্ঞানচর্চার জন্য।
- জাতীয় শিক্ষা পরিষদ ব্যর্থ হয়েছিল কেন?
Ans: অর্থের অভাব, সরকারি স্বীকৃতির অভাব ও সংগঠনের দুর্বলতাই এর ব্যর্থতার প্রধান কারণ।
- বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী?
Ans: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য শিক্ষার সমন্বয়ে এক মানবিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, যেখানে বিশ্বের সঙ্গে ভারতের সংযোগ স্থাপন হয়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নমান (4):
- বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে কৃষকরা যোগ দেয়নি কেন?
Ans: বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণির দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। কৃষকদের জীবন ছিল জমিদার ও ইংরেজদের শোষণের অধীন। এঁরা এই আন্দোলনের ভাষা, নেতৃত্ব এবং উদ্দেশ্য বুঝতে পারেননি।
● তাছাড়া, আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল জাতীয়তাবাদ, যা কৃষকের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল না।
● জমিদারদের সঙ্গে কৃষকদের দ্বন্দ্ব থাকায় কৃষকরা তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। ফলে আন্দোলনে কৃষকদের অংশগ্রহণ সীমিত ছিল।
- অসহযোগ / আইন অমান্য / ভারতছাড়ো আন্দোলনে কৃষকদের ভূমিকা।
Ans: কৃষকরা এই আন্দোলনগুলিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন, বিশেষত চম্পারণ, খেরা, ও বারদৌলি অঞ্চলে।
● অসহযোগ আন্দোলনে কৃষকরা কর প্রদান বন্ধ করে দেয়, জমিদারদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হয়।
● আইন অমান্য আন্দোলনে তারা ব্রিটিশ আইন ও করের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়।
● ভারতছাড়ো আন্দোলনে কৃষকরা গ্রামে গ্রামে ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামে অংশ নেয় ও ব্রিটিশ প্রশাসন ভেঙে ফেলার কাজে যুক্ত হয়।
- স্বদেশী / অসহযোগ / আইন অমান্য / ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শ্রমিকদের ভূমিকা।
Ans: শ্রমিকরা এই আন্দোলনগুলিতে বিক্ষোভ, ধর্মঘট ও মিছিলের মাধ্যমে অংশ নেন।
● তাঁরা বিদেশি দ্রব্য বর্জন করে স্বদেশী দ্রব্য গ্রহণ করেন।
● অনেক শ্রমিক ইউনিয়ন গঠিত হয় আন্দোলনের অংশ হিসেবে।
● ভারতছাড়ো আন্দোলনে বহু শ্রমিক রেল, কারখানা ও টেলিগ্রাফ বিভাগে কাজ বন্ধ করে দেন।
- একা আন্দোলন ও বারদৌলি সত্যাগ্রহ সম্পর্কে লেখো।
Ans: একা আন্দোলন: ১৯২০ সালে গান্ধীজি কংগ্রেসের বাইরে থেকে অসহযোগ চালাতে ‘একা আন্দোলন’ চালু করেন। এ আন্দোলনে জনগণকে ইংরেজি শিক্ষা, আইন আদালত, সরকারি চাকরি বর্জনের আহ্বান জানানো হয়।
বারদৌলি সত্যাগ্রহ: ১৯২৮ সালে সরদার বল্লভভাই প্যাটেল বারদৌলি অঞ্চলে কৃষকদের সংগঠিত করে জমির কর বৃদ্ধির বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলন চালান। সরকার শেষ পর্যন্ত হার মানে।
- টীকা লেখো: মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা।
Ans: ১৯২৯ সালে মিরাটে কমিউনিস্ট পার্টির বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করে ব্রিটিশ সরকার।
● তাঁদের বিরুদ্ধে ছিল ব্রিটিশ শাসন উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র।
● মামলা চালানো হয় ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত।
● এই মামলার মাধ্যমে সরকার শ্রমিক সংগঠন ও বামপন্থীদের দমন করতে চেয়েছিল।
- মহাবিদ্রোহকে শিক্ষিত বাঙালিরা সমর্থন করেনি কেন?
Ans: শিক্ষিত বাঙালিরা ইংরেজি শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত ছিল।
● তারা ব্রিটিশদের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখত এবং বিদ্রোহকে “অরাজকতা” মনে করত।
● অনেকেই প্রশাসনিক পদে কর্মরত থাকায় বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেননি।
● বিদ্রোহের নেতৃত্ব ছিল প্রধানত সৈনিক ও কৃষকদের হাতে।
- মহারানীর ঘোষণাপত্রের গুরুত্ব আলোচনা করো।
Ans: ১৮৫৮ সালে রাণি ভিক্টোরিয়া এক ঘোষণা দেন, যাতে প্রজাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা, জমির অধিকার ও ন্যায্য বিচার পাওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
● ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে এবং ভারত ব্রিটিশ রাজের অন্তর্ভুক্ত হয়।
● এই ঘোষণা ভারতীয়দের মনে সাময়িক স্বস্তি দিলেও শাসন ব্যবস্থা অপরিবর্তিতই রয়ে যায়।
- টীকা লেখো: বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা, জমিদার সভা, হিন্দু মেলা, ভারত সভা
Ans: বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা: বাংলা ভাষার প্রসার ও সাহিত্যচর্চার উদ্দেশ্যে গঠিত।
জমিদার সভা: জমিদারদের স্বার্থ রক্ষায় গঠিত সংগঠন।
হিন্দু মেলা: বাংলায় জাতীয়তাবাদ গড়ার প্রথম প্রচেষ্টা, আচার্য রাজেন্দ্রলাল মিত্রের উদ্যোগে শুরু।
ভারত সভা: ১৮৭৬ সালে গঠিত, জাতীয় রাজনীতির প্রাথমিক সংগঠনগুলির অন্যতম।
- জাতীয়তাবাদের বিকাশে ভারতমাতা চিত্রের ভূমিকা লেখো।
Ans: অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর আঁকা ভারতমাতা চিত্র জাতির মাতৃস্বরূপ ভাবনার রূপক।
● এতে ভারতকে দেবী হিসেবে চিত্রিত করা হয়, যার হাতে শাস্ত্র, খাদ্য, বস্ত্র, ও মালা থাকে।
● এই চিত্র সাধারণ মানুষের মধ্যে আবেগ ও দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলে।
● জাতীয়তাবাদের প্রতীকে পরিণত হয় এই চিত্র।
- গগেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে কিভাবে উপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা করেছেন?
Ans: তিনি ‘শক্তিশালী’ ও ‘অসাহায়’ শ্রেণির বৈষম্য তুলে ধরেন।
● ইংরেজদের শোষণ, সরকারি দুর্নীতি ও ভারতীয় মধ্যবিত্তের ভণ্ডামি তাঁর ব্যঙ্গচিত্রে ধরা পড়ে।
● তাঁর চিত্রগুলি সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
● উপনিবেশিক রাষ্ট্রের দুর্বলতা, অন্যায় এবং শোষণ তাঁকে ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করেছে।
রচনাধমী প্রশ্নমান (8) :
- উপনিবেশিক বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করো।
Ans: ব্রিটিশ শাসনের ফলে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটে। এর ফলস্বরূপ বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার নতুন যুগের সূচনা হয়।
● ১৮১৭ সালে হিন্দু কলেজে বিজ্ঞান চর্চার সূত্রপাত হয়। পরে প্রেসিডেন্সি কলেজ, ক্যালকাটা মেডিকেল কলেজ, ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক পাঠক্রম চালু হয়।
● ১৮৫৪ সালের উডের নির্দেশনামা বিজ্ঞান শিক্ষাকে উৎসাহ দেয়।
● কারিগরি শিক্ষার বিকাশে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় যেমন বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (১৮৫৬)।
● বিজ্ঞানচর্চায় উল্লেখযোগ্য নাম: জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, মহেন্দ্রলাল সরকার প্রমুখ।
● এরা ভারতের আধুনিক বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার ভিত্তি স্থাপন করেন।
- বাংলায় ছাপাখানার বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করো।
Ans: ১৭৭৭ সালে হ্যালহেড ‘A Grammar of the Bengali Language’ গ্রন্থ ছেপে বাংলা মুদ্রণযুগের সূচনা করেন।
● ১৮০০ সালে উইলিয়াম কেরি শ্রীরামপুর মিশনে বাংলা ছাপাখানা স্থাপন করেন।
● বাংলা ভাষায় ধর্মগ্রন্থ, অভিধান ও পাঠ্যপুস্তক প্রকাশিত হতে থাকে।
● ১৮১৮ সালে ‘সমাচার দর্পণ’ প্রকাশের মাধ্যমে সংবাদপত্র মুদ্রণের সূচনা হয়।
● ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মদনমোহন তর্কালঙ্কারদের প্রচেষ্টায় বাংলা গ্রন্থমুদ্রণ বিস্তার লাভ করে।
● এই মুদ্রণপ্রযুক্তি জাতীয়তাবাদী চেতনা গড়ে তোলার কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শ্রমিক ও কৃষক শ্রেণীর ভূমিকা আলোচনা করো।
Ans: ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শ্রমিক ও কৃষকরা সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়।
● গ্রামে গ্রামে কৃষকরা প্রশাসনিক দফতর আক্রমণ করে।
● শ্রমিকরা রেল, পোস্ট অফিস, টেলিগ্রাফে ধর্মঘট পালন করে।
● অনেক জায়গায় আজাদ দপ্তর ও জাতীয় সরকার গঠিত হয় (যেমন তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার)।
● কৃষক ও শ্রমিকদের অংশগ্রহণ আন্দোলনকে গণআন্দোলনে পরিণত করে।
- বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণীর ভূমিকা আলোচনা করো।
Ans: শহরের মধ্যবিত্তদের নেতৃত্বে হলেও কৃষক ও শ্রমিকরা পরোক্ষভাবে এই আন্দোলনে অংশ নেয়।
● তাঁরা ব্রিটিশ পণ্য বর্জন করে দেশি পণ্যের ব্যবহার শুরু করে।
● কৃষকেরা ধর্মঘট ও কর প্রদানে বিরত থেকে সহানুভূতি প্রকাশ করে।
● শ্রমিকরা সমাবেশ ও স্বদেশী সমর্থনে মিছিলে অংশ নেয়।
● যদিও সরাসরি ভূমিকা সীমিত, তথাপি এই শ্রেণিগুলোর মদত জাতীয় ঐক্য গঠনে সাহায্য করে।
- ভারতে উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনে বামপন্থীদের ভূমিকা সংক্ষেপে আলোচনা করো।
Ans: বামপন্থীরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের গণমানুষকে সংগঠিত করার চেষ্টা করে।
● কমিউনিস্ট পার্টি, ফরওয়ার্ড ব্লক, কীর্তি দল ইত্যাদি বামপন্থী সংগঠন এই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
● তারা কৃষক-শ্রমিক আন্দোলনকে জোরদার করে, জমিদার ও ব্রিটিশ শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
● ভারত ছাড়ো আন্দোলনে তাদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
● সমাজতান্ত্রিক চিন্তার প্রসারে এদের অবদান ছিল ঐতিহাসিক।
- ওয়ার্কার্স এন্ড পেজেন্টস পার্টি কেন গড়ে উঠেছিল? এর উদ্দেশ্যে ও কর্মসূচি কি ছিল?
Ans: ব্রিটিশ শাসন ও জমিদার শোষণের বিরুদ্ধে শ্রমিক ও কৃষকদের সংগঠিত করার জন্য ১৯২৫ সালে এই পার্টি গঠিত হয়।
● উদ্দেশ্য ছিল: জমি সংস্কার, ন্যায্য মজুরি, শ্রমিক-কৃষকের অধিকার রক্ষা।
● কর্মসূচির মধ্যে ছিল ধর্মঘট, প্রতিবাদ সভা, কংগ্রেসে প্রবেশ করে বামপন্থা প্রসার ইত্যাদি।
● এই পার্টি পরবর্তীতে কমিউনিস্ট আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করে।
- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি আলোচনা করো।
Ans: এটি ছিল প্রথম সামগ্রিক ভারতীয় বিদ্রোহ।
● সামরিক বিদ্রোহ হলেও কৃষক, জमीন্দার, মুসলমান-হিন্দু — সকলে এতে অংশ নেয়।
● বিদ্রোহের প্রকৃতি ছিল রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অসন্তোষের ফল।
● এটি ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী চেতনার সূচনা করে।
- জাতীয়তাবাদী বিকাশের ক্ষেত্রে আনন্দমঠ ও বর্তমান ভারত গ্রন্থের ভূমিকা উল্লেখ করো।
Ans: আনন্দমঠ (বঙ্কিমচন্দ্র): এতে ‘বন্দেমাতরম্’ গান রয়েছে, যা জাতীয়তাবাদের প্রতীক হয়ে ওঠে।
● বর্তমান ভারত (স্বামী বিবেকানন্দ): জাতির আত্মসম্মান ও ঐক্যের বার্তা দেয়।
● এই দুটি গ্রন্থ জাতীয়তাবাদী ভাবনার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- জাতীয়তাবাদের বিকাশে চিত্রশিল্পী গগেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান লেখো।
Ans: গগেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে সমাজের অসঙ্গতি ও ব্রিটিশ শোষণের ছবি তুলে ধরেন।
● অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতমাতা চিত্রের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদের চেতনা জাগান।
● এই দুই শিল্পীর কাজ ভারতীয় শিল্পে স্বদেশী ভাবনা প্রতিস্থাপন করে।
- বাংলায় ছাপাখানার বিকাশে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ভূমিকা আলোচনা করো।
Ans: উপেন্দ্রকিশোর আধুনিক ছাপাখানার প্রযুক্তি উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
● তিনি ‘উ. রায় অ্যান্ড সন্স’ প্রেস স্থাপন করেন।
● তাঁর ছাপানো ‘সন্দেশ’ পত্রিকা শিশু সাহিত্যে বিপ্লব আনে।
● চিত্রাঙ্কন, ছাপা ও কাগজ ব্যবহারে আধুনিকতা আনেন।
- প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয় রবীন্দ্রনাথ কিভাবে করেছিলেন?
Ans: রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন প্রকৃতি ও শিক্ষার মধ্যে সম্পর্ক থাকা দরকার।
● শান্তিনিকেতনে তিনি খোলা পরিবেশে পাঠদান চালু করেন।
● ছাত্রদের প্রকৃতির সাথে যুক্ত করে শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করে তোলেন।
● শিক্ষা শুধু পুঁথিগত নয়, জীবনের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া উচিত — এই ছিল তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা চিন্তা ও শান্তিনিকেতন ভাবনার পরিচয় দাও।
Ans: রবীন্দ্রনাথের মতে, শিক্ষা মানে মনের বিকাশ, আত্মজাগরণ ও সৃজনশীলতা।
● তিনি শিশুকে স্বাধীনতা, প্রকৃতি ও আনন্দের মধ্য দিয়ে শিক্ষা দিতে চেয়েছেন।
● শান্তিনিকেতন তাঁর এই চিন্তার বাস্তব রূপ — যেখানে ছাত্রদের খোলা পরিবেশে, প্রকৃতির মাঝে শিক্ষা দেওয়া হয়।
● তিনি বিশ্বভারতীর মাধ্যমে বিশ্বমানবতার ধারণা প্রতিষ্ঠা করেন।
![]()