Skip to content

ষষ্ঠ শ্রেণী: পরিবেশ ও বিজ্ঞান – চতুর্থ অধ্যায়

Class 6: Poribesh O Bigyan: Chapter 4

পরিবেশ ও বিজ্ঞান: শিলা ও খনিজ পদার্থ, জীবাশ্ম জ্বালানি

ছাত্র / ছাত্রীরা সহজ পাঠ শিক্ষক / শিক্ষিকাদের সাথে সরাসরি কথা বলতে কল করতে পারো ১৮০০৮৯০৬০০৬ টোল ফ্রি নম্বরে

poribesh o bigyan

ছাত্র / ছাত্রীরা সহজ পাঠ শিক্ষক / শিক্ষিকাদের সাথে সরাসরি কথা বলতে কল করতে পারো ১৮০০৮৯০৬০০৬ টোল ফ্রি নম্বরে

Question Answers

নানান ধরনের শিলা

প্রশ্নঃ- শিলার শ্রেনিবিভাগ ছকের মাধ্যমে দেখাও।

উত্তরঃ – শিলার শ্রেণীবিভাগ – 

1. আগ্নেয় শিলা

  • নিঃসারি শিলা →ব্যাসল্ট, পিউমিস
    • বিস্ফোরক প্রকৃতির → ব্যাসল্ট
    • শান্ত আগ্নেয় শিলা → পিউমিস
  • উদবেধি শিলা →
    • পাতালিক শিলা → গ্যাব্রো
    • উপপাতালিক শিলা → ডলোরাইট

2. পাললিক শিলা

  • যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গঠিত → বেলে পাথর
  • জৈব উপায়ে গঠিত → কয়লা
  • রাসায়নিক উপায়ে গঠিত → চুনাপাথর

3. রূপান্তরিত শিলা

  • পত্রায়িত শিলা → শিষ্ট ও স্লেট
  • অপত্রায়িত শিলা → মার্বেল ও কোয়ার্টজাইট
 

আগ্নেয় শিলা

প্রশ্ন:- ম্যাগমা কাকে বলে?

উত্তর:- মাটির যত গভীরে যাওয়া যায়, চাপ এবং উষ্ণতা তত বাড়ে। পৃথিবীর গভীরে চাপ ও উষ্ণতা এতই বেশি যে সেখানে পাথর থাকে তরল অবস্থায়। একে ম্যাগমা বলে।

প্রশ্ন:- লাভা কাকে বলে?

উত্তর:- ম্যাগমা যখন কোন পাথরের ফাটল বা পাহাড়ের মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে তখন তাকে লাভা বলে।

প্রশ্ন:- আগ্নেয় শিলা কাকে বলে?

উত্তর:- জমাটবাঁধা লাভা কেই আগ্নেয় শিলা বলে।

প্রশ্ন:- আগ্নেয় শিলার বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তর:- আগ্নেয় শিলার বৈশিষ্ট্য:-

  1. আগ্নেয় শিলা স্তর থাকে না।
  2. আগ্নেয় শিলা জীবাশ্ম পাওয়া যায় না।
  3. আগ্নেয় শিলার দানা গুলির মধ্যে ছিদ্র থাকে ।
  4. আগ্নেয়শিলা উত্তপ্ত গণিত অবস্থা থেকে তাপ বিকিরণ করে সৃষ্টি হয় বলে ক্ষেত্রবিশেষে কেলাসিত হয়।
  5. আগ্নেয় শিলা সুদৃঢ় ও সুসংহত হয়।
  6. আগ্নেয় শিলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি পৃথিবীর প্রাচীনতম শিলা।
  7. আগ্নেয় শিলা অন্যান্য শিলার তুলনায় ভারী

প্রশ্ন:- আগ্নেয় শিলা কয় প্রকার ও কি কি?

উত্তর:- উৎপত্তি ও গঠন অনুসারে আগ্নেয় শিলা দুই প্রকার। যথা:

  1.  নিঃসারী আগ্নেয় শিলা
  2.  উদবেধী আগ্নেয় শিলা।

গঠনকারী খনিজ উপাদান অনুসারে আগ্নেয় শিলাকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। যথা:

  1. ফেলাপসিক।
  2. মেফিক।
  3. উচ্চমাত্রার মেফিক ।
  4. ফেলপসিপ ও মেফিক এর মাঝামাঝি।

প্রশ্ন:- আগ্নেয় শিলা কয় প্রকার ও কি কি? ( ষষ্ঠ শ্রেণীর পাঠ্য বই অনুযায়ী – সাধারণত)

উত্তর:- আগ্নেয় শিলা তিন রকমের হয়। যথা:

  • ব্যাসল্ট
  • গ্রানাইট
  • পিউমিস।

প্রশ্ন:- পিউমিস পাথরে ছিদ্র থাকে কেন?

উত্তর:- উত্তপ্ত ম্যাগমার উপরে ফেনার মত অংশ তাড়াতাড়ি জমে গিয়ে পিউমিস পাথর তৈরি হয়। তরল ম্যাগমায় দ্রবীভূত গ্যাস ম্যাগমার মধ্যে দিয়ে বেরোনোর সময় পিউমিস পাথরে ছিদ্র সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন:- রেললাইনে কোন পাথর ব্যবহার করা হয়?

উত্তর:- রেললাইনে কালো ব্যাসল্ট পাথর ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন:- ______ থেকে পাললিক শিলা তৈরি হয়।

উত্তর:- পলি।

প্রশ্ন:- পাললিক শিলা কয় প্রকার ও কি কি?

উত্তর:- পাললিক শিলা তিনপ্রকার যথা- বেলেপাথর, শেল ও চুনাপাথর।

প্রশ্ন:- কোন শিলা অতীতের প্লেট সঞ্চারণ এর স্বাক্ষর বহন করে?

উত্তর:- পাললিক শিলা।

প্রশ্ন:- পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তর:- পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য:

  1. পাললিক শিলা স্তর দেখা যায় এই শিলায় জীবাশ্ম পাওয়া যায়
  2. এই শিলা কখনো উত্তপ্ত অবস্থা থেকে শীতল হয়ে সৃষ্টি হয় না তাই অক কেলাসিত
  3. আগ্নেয় শিলার ভগ্নাংশ সঞ্চিত হয়ে পাললিক শিলা তৈরি হয় বলে এই শিলা অপেক্ষাকৃত কোমল হয়

প্রশ্ন:- আগ্নেয় শিলা পাললিক শিলার পার্থক্য লেখ।

আগ্নেয় শিলা পাললিক শিলা
1. আগ্নেয় শিলা কঠিন প্রকৃতির 1. পাললিক শিলা কোমল প্রকৃতির
2. আগ্নেয় শিলায় স্তর থাকে 2 . পাললিক শিলায় কোন স্তর থাকে না
3. আগ্নেয় শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায় না 3. পাললিক শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায়
4. আগ্নেয় শিলায় জীবাশ্ম জ্বালানি পাওয়া যায় না 4. পাললিক শিলায় জীবাশ্ম জ্বালানি পাওয়া যায়
5. আগ্নেয় শিলা স্ফটিকাকার হয় 5. পাললিক শিলা স্ফটিকাকার হয় না
6. আগ্নেয়শিলা কম ক্ষয়প্রাপ্ত হয় 6. পাললিক শিলা তুলনামূলক বেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়
7. আগ্নেয়শিলা হল আদি শিলা অর্থাৎ সর্বপ্রথম এই শিলা সৃষ্টি হয়েছিল 7. পাললিক শিলা অন্যান্য শিলা বিচুর্ণ থেকে সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন:- পরিবর্তিত শিলা বা রুপান্তরিতশিলা কাকে বলে?

উত্তর:- আগ্নেয় শিলা এবং পাললিক শিলা মাটির গভীরে গরমে আর চাপে বদলে গিয়ে যে শিলা তৈরি হয় তাকে পরিবর্তিত শিলা বা রূপান্তরিত শিলা বলে।

প্রশ্ন:- চুনাপাথর পরিবর্তিত হয় কোন শিলা তৈরি হয়?

উত্তর:- মার্বেল পাথর।

প্রশ্ন:-গ্রানাইট শিলা পরিবর্তিত হয়ে কোন শিলা তৈরি হয়?
অথবা, গ্রানাইট শিলার পরিবর্তিত রূপ কি?

উত্তর:- নিস পাথর।

প্রশ্ন:- আগ্নেয় শিলার ব্যবহার লেখ।

উত্তর:- আগ্নেয় শিলা বিভিন্ন ব্যবহার করে। একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার হল বিল্ডিং এবং মূর্তিগুলির জন্য পাথর। ডলোরাইট প্রাচীন সভ্যতা দ্বারা ফুলদানি এবং অন্যান্য আলংকারিক শিল্পকর্মের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং আজও শিল্পের জন্য ব্যবহৃত হয় । গ্রানাইট বিল্ডিং নির্মাণ এবং মূর্তিগুলির জন্য উভয়ই ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন:- নিঃসারী আগ্নেয় শিলার উদাহরণ।

উত্তর:- ব্যাসল্ট।

প্রশ্ন:- উদ্‌বেদী শিলার একটি উদাহরণ দাও। 

উত্তর:- গ্রানাইট

প্রশ্ন:- গ্রানাইট কোন ধরনের শিলা?

উত্তর:- গ্রানাইট হলো এক প্রকারের আগ্নেয় শিলা।

প্রশ্ন:- আগ্নেয় শিলা কে প্রাথমিক শিলা বলা হয় কেন?

উত্তর:-  পৃথিবীতে সর্বপ্রথম সৃষ্টি হয়েছিল আগ্নেয় শিলা। উত্তপ্ত গলিত ম্যাগমা ধীরে ধীরে তাপ বিকিরণ করে সৃষ্টি হয়েছিল আগ্নেয় শিলা। আগ্নেয় শিলা চূর্ণ-বিচূর্ণ থেকে পাললিক ও উচ্চচাপ তাপে পরিবর্তিত হয়ে রূপান্তরিত শিলা সৃষ্টি হয়। যেহেতু আগ্নেয়শিলা সর্বপ্রথম সৃষ্টি হয়েছিল তাই আগ্নেয় শিলাকে আদি শিলা বা প্রাথমিক শিলা বলা হয়।

প্রশ্ন:- বেলে পাথর কোন ধরনের শিলা?

উত্তর:- পাললিক শিলা।

প্রশ্ন:- নিস কোন ধরনের শিলা?

উত্তর:- নিস এক প্রকারের রূপান্তরিত শিলা।

প্রশ্ন:- আগ্নেয় শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায় না কেন?

উত্তর:- আগ্নেয় শিলা উত্তপ্ত গলিত পদার্থ থেকে তাপ বিকিরণের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় বলে কোন প্রাণী বা উদ্ভিদের অস্থিত্ব আশা করা যায় না এই কারণে জাতীয় শিলা কোন জীবাশ্ম পাওয়া যায় না।

প্রশ্ন:- অ্যালুমিনিয়ামের আকরিক এর নাম কি?

 
উত্তর:- বক্সাইট।
উত্তর:- কপারের আকরিক এর নাম কি?
 
উত্তর:- কপার গ্লানস।
প্রশ্ন:- লোহার প্রধান আকরিক কি?
 
উত্তর:- রেড হেমাটাইট।
প্রশ্ন:- বিভিন্ন ধাতু ও তাদের আকরিক এর তালিকা
 
উত্তর: 

ধাতু আকরিক সঙ্কেত
লোহা রেড হেমাটাইট Fe3O4
তামা কপার গ্ল্যানস Cu2S
জিংক জিংক ব্লেন্ড Zns
অ্যালুমিনিয়াম বক্সাইট Al2O3.2H2O
ম্যাগনেসিয়াম ম্যাগনেসাইট MgCO3
ক্যালসিয়াম ডোলোমাইট MgCO3.CaCO3
পটাশিয়াম সল্ট পিটার KNO3
সিলভার রুবি সিলভার 3Ag2S.Sb2S3
সোনা বা গোল্ড ক্যালভেরাইট AuTe2
ম্যাঙ্গানিজ পাইরোলুসাইট MNO2
প্রশ্ন:- জীবাশ্ম জ্বালানি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা কি?
 
উত্তর:- জীবাশ্ম জ্বালানী সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে । এটি পরিবেশ নিরাময়ে বা দূষিত কম হতে সহায়তা করতে পারে।  পেট্রোলিয়াম, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানোর ফলে নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, ওজোন এবং একাধিক হাইড্রোকার্বন সহ ক্ষতিকারক দূষকগুলি বায়ুতে মেশে।
প্রশ্ন:- জীবাশ্ম জ্বালানি সংরক্ষণের উপায় লেখ।
উত্তর:- 
  • (i) CNG এর মতো কার্যকর রূপে রূপান্তর। 
  • (ii) অগ্নিকাণ্ড থেকে সম্পদ সংরক্ষণ করা।
  • (iii) তেলের অপচয় থেকে বিরত থাকা। 
  • (iv) বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সৌর শক্তি, বায়ু কলগুলি ব্যবহার করে যেমন : নবিকরণযোগ্য শক্তির আরও বেশি ব্যবহার করুন ।

প্রশ্ন:- প্রাথমিক শিলার অপর নাম কী?

উত্তর:- আগ্নেয় শিলা।

প্রশ্ন:- একটি ক্ষারকীয় আগ্নেয় শিলার নাম লেখ।

উত্তর:- ব্যাসল্ট।

প্রশ্ন:- গ্রানাইট কী ধরনের শিলা?

উত্তর:- গ্রানাইট আগ্নেয় শিলা।

প্রশ্ন:- কোন শিলায় বেশি খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায়?

উত্তর:-:পাললিক শিলায়।

প্রশ্ন:- চুনাপাথর কোন শ্রেণির শিলা?

উত্তর:- পাললিক শিলা।

প্রশ্ন:- শ্বেত পাথর কোন শ্রেণির শিলা?

উত্তর:- রূপান্তরিত শিলা।

প্রশ্ন:- সর্বপ্রথম কোন শিলা সৃষ্টি হয়?

উত্তর:- আগ্নেয় শিলা।

প্রশ্ন:- আগ্নেয়শিলাকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

উত্তর:- দুই ভাগে : নিঃসারী ও উদবেদী

প্রশ্ন:- কোন শিলায় স্তর ও জীবাশ্ম পাওয়া যায় না?

উত্তর:- আগ্নেয় শিলায়।

প্রশ্ন:- ব্যাসল্ট কোন জাতীয় শিলা?

উত্তর:- আগ্নেয় শিলা।

খনিজ পদার্থ ও আকরিক

প্রশ্ন:- খনিজ পদার্থ কাকে বলে?

উত্তর:- প্রকৃতিতে বিভিন্ন ধাতুর যৌগ বালি , মাটি ইত্যাদির সঙ্গে মিশে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। এদের ধাতুর খনিজ বা মিনারেল বলে।

প্রশ্ন:- খনিজ থেকে ধাতুকে আলাদা করার পদ্ধতিকে কি বলা হয়?

উত্তর:- ধাতু নিষ্কাশন।

প্রশ্ন:- শিলা ও খনিজের পার্থক্য লেখ।

খনিজ শিলা
1. খনিজ বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান নিয়ে গঠিত 1. বিভিন্ন খনিজের সমন্বয়ে শিলা গঠিত
2. বেশিরভাগ খনিজ স্ফটিকাকার হয় 2. শিলার নির্দিষ্ট কোন আকার নেই
3. খনিজের রাসায়নিক সংকেত ও সংস্থিতি আছে 3. শিলার রাসায়নিক সংকেত ও সংস্থিতি নেই
4. খনিজ ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না 4. শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়
5. খনিজের সুনির্দিষ্ট ভৌত গুণাবলী আছে 5. শিলার গুণাবলীর মধ্যে সুনির্দিষ্টতা নেই
6. খনিজের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক 6. শিলার অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলনামূলক কম

প্রশ্ন:- সবচেয়ে কঠিন খনিজ কোনটি?

উত্তর:- হীরা।

প্রশ্ন:- সবচেয়ে কোমল খনিজ কোনটি?

উত্তর:-:টেলক।

প্রশ্ন:- ধাতুর আকরিক বা ওর কাকে বলে?

উত্তর:- যে খনিজ থেকে ধাতুকে সস্তায় ও সহজে নিষ্কাশন করা সম্ভব তাকে ধাতুর আকরিক বা ওর বলা হয়।

প্রশ্ন:- “কোন ধাতুর একাধিক খনিজ থাকলেও তার সবগুলোই আকরিক নাও হতে পারে”- ব্যাখ্যা করো।
অথবা, “সব আকরিক খনিজ কিন্তু সব খনিজ আকরিক নয়” – ব্যাখ্যা করো।

উত্তর:- যে সমস্ত প্রাকৃতিক ধাতব যৌগ থেকে ধাতু নিষ্কাশন করা যায় তাকে ধাতুর খনিজ বলা হয়। কিন্তু সব ধাতুর খনিজ থেকে সহজে ধাতু নিষ্কাশন সম্ভব নয়। কেবলমাত্র যে সমস্ত খনিজ থেকে সহজে ধাতু নিষ্কাশন সম্ভব সেগুলোকেই আকরিক বলা হয়। কোন ধাতুর একাধিক খনিজ থাকতে পারে তবে সবগুলো থেকে সহজে ধাতু নিষ্কাশন হয় না। তাই সব আকরিক খনিজ হলেও সব খনিজ আকরিক নয়।

প্রশ্ন:- লোহার প্রধান আকরিক এর নাম কি?

উত্তর:- হেমাটাইট।

প্রশ্ন:- অ্যালুমিনিয়ামের প্রধান আকরিকের নাম কি?

উত্তর:- বক্সাইট।

প্রশ্ন:- তামার প্রধান আকরিক এর নাম কি?

উত্তর:- কপার গ্লান্স।

প্রশ্ন:- বক্সাইটে উপস্থিত মৌল গুলির নাম লেখ।

উত্তর:- অ্যালুমিনিয়াম ও অক্সিজেন।

সংকর ধাতু

প্রশ্ন:- সংকর ধাতু কাকে বলে?
উত্তর:- দুই বা তার বেশি ধাতু মিশিয়ে যে ধাতব মিশ্রণ তৈরি করা হয় তাকে সংকর ধাতু বলে। যেমন তামা ও দস্তা মিশিয়ে পিতল তৈরি করা হয়।

প্রশ্ন:- লোহার সঙ্গে ______ মিশিয়ে স্টেনলেস স্টিল তৈরি করা হয়?
উত্তর:- ক্রোমিয়াম।

প্রশ্ন:- ক্রোমিয়াম এর সঙ্গে থাকলে লোহার রাসায়নিক বিক্রিয়া করার ক্ষমতা কিছুটা ______।
উত্তর:- কমে।

জীবাশ্ম বা ফসিল

প্রশ্ন:- জীবাশ্ম বা ফসিল কাকে বলে?

উত্তর:-:মাটির নিচে কোটি কোটি বছর ধরে নানান পরিবর্তন ঘটে চাপা পড়া দেহবাশেষ একসময় পাথরে পরিণত হয়। এই পাথরের দেহবাশেষ গুলো কে জীবাশ্ম বা ফসিল বলে।
লুপ্ত হয়ে যাওয়া কোন জীবের দেহের কোন অংশের ছাপকেও ফসিল বলে।

জীবাশ্ম জ্বালানি বা ফসিল ফুয়েল

প্রশ্ন:- জীবাশ্ম জ্বালানি বা ফসিল ফুয়েল কাকে বলে?

উত্তর:- জীবের দেহবাশেষ পচে যে জ্বালানি তৈরি হয় তাকে জীবাশ্ম জ্বালানি বা ফসিল ফুয়েল বলে। যেমন পেট্রোল , কয়লা ইত্যাদি।

প্রশ্ন:- কি করে পেট্রোলিয়াম আর প্রাকৃতিক গ্যাস তৈরি হয় তা ধাপে ধাপে লেখ।

উত্তর:-

  • অগভীর সমুদ্রের জলের নিচে সামুদ্রিক মৃতদেহ এসে জমা হয়।↓
  • গলিত মৃতদেহের উপর বালি ওbপলি এসে জমা হয়।↓
  • কোটি কোটি বছর ধরে মাটির নিচের গরমে আর চাপে এই পলি বদলে গিয়ে পাললিক শিলা তৈরি হয়।↓
  • জীবের দেহকোষের নানান পরিবর্তন ঘটে তৈরি হয় পেট্রোলিয়াম আর প্রাকৃতিক গ্যাস।

প্রশ্ন:- জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার লেখ।

উত্তর:- জীবাশ্ম জ্বালানির নানান ব্যবহার রয়েছে। যেমন-
রাসায়নিক পদার্থ তৈরিতে: বাতাসের অনুপস্থিতিতে কয়লাকে বেশি উষ্ণতায় গরম করা হলে কঠিন অবশেষ তলার গ্যাস পাওয়া যায়। পেট্রোলিয়াম থেকে বহু দরকারি জৈব যৌগ আলাদা করা হয়।

জ্বালানী হিসাবে: বর্তমানে কয়লা পেট্রোল ইত্যাদিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা পুড়িয়ে তাপ পাওয়া যায় এবং তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

প্রশ্ন:- এলপিজি এর পুরো কথা কি? ( Full form of LPG)

উত্তর:- এলপিজি এর পুরো কথা হলো লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস।

প্রশ্ন:- সিএনজি এর পুরো কথা কি? ( Full Form of CNG)

উত্তর:- সিএনজি এর পুরো কথা হলো কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস।

প্রশ্ন:- প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান কি?

উত্তর:- প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন।

প্রশ্ন:- পেট্রোলিয়াম এর দুটি ব্যবহার লেখ।

উত্তর:- পেট্রোলিয়াম এর ব্যবহার:-

  1. পেট্রোলিয়াম জ্বালানি হিসাবে বিভিন্ন যানবাহনে ব্যবহার করা হয়।
  2. পেট্রোলিয়াম শোধনে সময় প্রোপেন বিউটেন জাতীয় জ্বালানি পাওয়া যায়।
  3. পেট্রোল ও পেট্রোলিয়াম জাতীয় যৌব থেকে নানা ধরনের প্লাস্টিক ঘর্ষণ কমাবার তেলরং ইত্যাদি জিনিস তৈরি হয়।

প্রশ্ন:- পেট্রোল ও সিএনজি এর মধ্যে কোনটি কম বায়ুদূষক?

উত্তর:- সিএনজি।

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

রেল লাইনের কালো পাথর কি ধরনের শিলা?
উত্তর : ব্যাসল্ট।

আগ্নেয়গিরি থেকে উঠে আসা লাভা শক্ত হয়ে কোন শিলা তৈরি হয়?
উত্তর : আগ্নেয় শিলা।

মাটির যত গভীরে যাওয়া যায় চাপ ও উষ্ণতার কি পরিবর্তন হয়?
উত্তর : চাপ এবং উষ্ণতা বাড়ে।

পৃথিবীর গভীরের তরল অবস্থায় থাকা পাথর কে কি বলে?
উত্তর : ম্যাগমা।

লাভা কাকে বলে?
উত্তর : গলিত ম্যাগমা কোন পাথরের ফাটল বা পাহাড়ের মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসলে তাকে লাভা বলে।

পিউমিস পাথরের আরেক নাম কি?
উত্তর : ঝামা পাথর

পিউমিস পাথরের ছিদ্র থাকে কেন?
উত্তর : উত্তপ্ত ম্যাগমার উপরে ফেনার মতো অংশ তাড়াতাড়ি জমে গিয়ে পিউমিস তৈরি হয়। তরল ম্যাগমায় দ্রবীভূত গ্যাস ম্যাগমার মধ্যে দিয়ে বেরোনোর সময় পিউমিস পাথরে ওই ছিদ্র সৃষ্টি হয়।

কোন শিলায় জীবাশ্ম বা ফসিল দেখা যায়?
উত্তর : পাললিক শিলায়।

পাললিক শিলার তিনটি উদাহরণ দাও
উত্তর : বেলে পাথর, শেল ও চুনাপাথর

পৃথিবীর ওপরের পিঠের বেশিরভাগটাই কোন কোন শিলা দ্বারা গঠিত?
উত্তর : আগ্নেয় ও পরিবর্তিত শিলা।

মার্বেল পাথর কি ধরনের শিলা?
উত্তর : পরিবর্তিত শিলা।

কোন শিলা পরিবর্তিত হয়ে মার্বেল পাথর তৈরি হয়?
উত্তর : চুনাপাথর।

কোন শিলা পরিবর্তিত হয়ে স্লেট পাথর তৈরি হয়?
উত্তর : শেল

গ্রানাইট এর পরিবর্তনে কোন শিলা তৈরি হয়?
উত্তর : নিস

ব্যাসল্ট ছিলা কোন শিলায় রূপান্তরিত হয়?
উত্তর : অ্যামফিবোলাইট

পুরনো তামার বাসনপত্রে কেমন ছোপ ধরে?
উত্তর : সবুজ

প্রকৃতিতে সোনাকে কি হিসাবে পাওয়া যায়?
উত্তর : মৌল হিসাবে

প্রকৃতিতে সোনার আকরিক পাওয়া যায় না কেন?
উত্তর : সোনা খোলা হাওয়ায় বিক্রিয়া করে না। সোনা খোলা হাওয়ায় পড়ে থাকলে কোন পরিবর্তন দেখা যায় না। তাই সোনাকে মৌল অবস্থায় পাওয়া যায়।

ধাতুর খনিজ কাকে বলে?
উত্তর : প্রকৃতিতে বিভিন্ন ধাতুর নানান যৌগ বালি মাটি ইত্যাদি সঙ্গে মিশে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। এদের ধাতুর খনিজ বা মিনার‍্যাল বলে। যেমন বক্সাইট, হেমাটাইট ইত্যাদি।

ধাতুর আকরিক কাকে বলে?
উত্তর : খনিজ থেকে ধাতুকে সহজে ও কম খরচে নিষ্কাশন করা গেলে সেই খনিজকে আকরিক বলে। যেমন বক্সাইট, কপার গ্লান্স।

“সব আকরিক-ই খনিজ কিন্তু সব খনিজ আকরিক নয়” – কেন ?
উত্তর : আকরিক মাত্রই খনিজ পদার্থ কারণ খনিতে পাওয়া যায়। সব খনিজ থেকে সহজে ধাতু নিষ্কাশন করা যায় না তাই সব খনিজ আকরিক নয়।

খনিজ এর আরেক নাম কি?
উত্তর : ওর (Ore)

লোহার প্রধান আকরিকের নাম কি?
উত্তর : হেমাটাইট

অ্যালুমিনিয়ামের আকরিকের নাম কি?
উত্তর : বক্সাইট

তামার প্রধান আকরিকের নাম কি?
উত্তর : কপার গ্লান্স

সংকর ধাতু কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : কোন ধাতুর সঙ্গে অন্য ধাতু বা অধাতু মিশিয়ে যে মিশ্রণ তৈরি করা হয় তাকে সংকর ধাতু বলে। যেমন – কাসা, ব্রোঞ্জ, গয়নার সোনা, পিতল, ইস্পাত ইত্যাদি।

কি কি ধাতু মিশিয়ে ফিউজ তার তৈরি হয়?
উত্তর : সীসা ও টিন

ধাতুর জিনিস জোড়া দেওয়ার জন্য কোন সংকর ধাতু ব্যবহার হয়?
উত্তর : রাংঝাল

অশ্ম” কথার অর্থ কি?
উত্তর : পাথর

কোন শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায়?
উত্তর : পাললিক শিলায়

কিভাবে জীবাশ্ম তৈরি হয়েছে?
উত্তর : অনেক কোটি বছর আগের প্রাণীরা মারা যাওয়ার পর মাটিতে বা জলের নিচে পড়ে থাকতে থাকতে এদের দেহাবশেষে নানান পরিবর্তন ঘটতে লাগলো। দেহের নরম অংশ গুলো নষ্ট হয়ে গেল। তারপর পড়ে থাকা অংশের উপর পলি জমতে লাগলো। কোটি কোটি বছর ধরে নানান পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে তা পাথরে পরিণত হলো।

জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে? উদাহরণ দাও
উত্তর : জীবদেহ পচে যে জ্বালানি তৈরি হয় তাকেই জীবাশ্ম জ্বালানি বলে। যেমন কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস।

দুটি এমন জ্বালানির উদাহরণ দাও যা জীবাশ্ম জ্বালানি নয়।
উত্তর : খড়, কাঠ ইত্যাদি।

ভারতের সবথেকে বেশি কোন কাজে কয়লা ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : বিদ্যুৎ উৎপাদনে।

পেট্রোলিয়াম কি ধরনের মিশ্রণ?
উত্তর : পেট্রোলিয়াম হল চটচটে তরল মিশ্রণ।

LPG এর পুরো কথা কি?
উত্তর : লিকুইফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস।

CNG এর পুরো কথা কি?
উত্তর : কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস।

CNG ও LPG এর মধ্যে কোনটি কম বায়ু দূষণ ঘটায়?
উত্তর : CNG

প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান কি?
উত্তর : মিথেন

গন্ধের জন্য LPG গ্যাসের সঙ্গে কি মেশানো হয়?
উত্তর : ইথাইল মারক্যাপটান

মানুষের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত জীবাশ্ম জ্বালানির নাম কী?
উত্তর : মানুষের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত জীবাশ্ম জ্বালানির নাম কয়লা।

পৃথিবী সৃষ্টির ঠিক পরের মুহূর্তে পৃথিবীর পিঠটা কেমন ছিল?
উত্তর : পৃথিবী সৃষ্টির ঠিক পরের মুহূর্তে পৃথিবীর পিঠটা ছিল খুব গরম আর গলে যাওয়া পাথর দিয়ে তৈরি।

পৃথিবীর গভীরের চাপ আর তাপমাত্রা এতই বেশি যে সেখানে পাথর থাকে তরল অবস্থায়। একে কী বলে?
উত্তর : পৃথিবীর গভীরের চাপ আর তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি বলে, সেখানে পাথর তরল অবস্থায় থাকে। একে ম্যাগমা বলে।

উত্তপ্ত ম্যাগমার ওপরে ফেনার মতো অংশ তাড়াতাড়ি জমে গিয়ে কোন্ প্রকার আগ্নেয়শিলা তৈরি করে?
উত্তর : উত্তপ্ত ম্যাগমার ওপরে ফেনার মতো অংশ তাড়াতাড়ি জমে গিয়ে পিউমিস নামক আগ্নেয়শিলা তৈরি করে।

জীবাশ্ম জ্বালানির দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তর : জীবাশ্ম জ্বালানির দুটি উদাহরণ হল কয়লা, পেট্রোলিয়াম।

কোন্ প্রকার শিলায় জীবাশ্ম থাকে?
উত্তর : পাললিক শিলায় জীবাশ্ম থাকে।

উদ্ভিদ ও প্রাণীর ছাপযুক্ত শিলাকে কী বলে?
উত্তর : উদ্ভিদ ও প্রাণীর ছাপযুক্ত শিলাকে জীবাশ্ম বলে।

একটি মিশ্র ধাতুর উদাহরণ দাও।
উত্তর : একটি মিশ্র ধাতু হল ব্রোঞ্জ।

কোন্ ধরনের ধাতু প্রকৃতিতে মৌল অবস্থায় পাওয়া যায়?
উত্তর : রাসায়নিকভাবে অপেক্ষাকৃত কম সক্রিয় ধাতু প্রকৃতিতে মৌল অবস্থায় পাওয়া যায়।

ছাত্র / ছাত্রীরা সহজ পাঠ শিক্ষক / শিক্ষিকাদের সাথে সরাসরি কথা বলতে কল করতে পারো ১৮০০৮৯০৬০০৬ টোল ফ্রি নম্বরে

Loading

Leave a Reply

error: