উত্তর :- বুকের মাঝখানে যে শক্ত হাড় তাকে বলা হয় বক্ষাস্থি।
শিরদাঁড়া কাকে বলে?
উত্তর :- মানবদেহে পিঠের মাঝ বরাবর যে শক্ত হাড় রয়েছে তা হলো শিরদাঁড়া।
জীবদেহের একককে কী বলা হয়?
উত্তর :- কোশ।
রক্তবাহ কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তর :- রক্তবাহ তিন প্রকার- শিরা, ধমনী ও জালক।
ধমনি কাকে বলে?
উত্তর :- যে রক্তবাহের মাধ্যমে রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সারা দেহে প্রবাহিত হয় তার নাম ধমনি।
শিরা কাকে বলে?
উত্তর :- যে রক্তবাহের মাধ্যমে রক্ত সারা দেহ থেকে হৃৎপিণ্ডে ফিরে যায় তাকে বলা হয় শিরা।
ধমনি কী ধরনের রক্ত পরিবহন করে?
উত্তর :- অক্সিজেনযুক্ত রক্ত বা বিশুদ্ধ রক্ত।
শিরা কী ধরনের রক্ত পরিবহন করে?
উত্তর :- দূষিত রক্ত বা কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত রক্ত।
রক্ত সংবহনের প্রধান অঙ্গ কোনটি?
উত্তর :- হৃদপিণ্ড।
মানব হৃদপিন্ডে কয়টি প্রকোষ্ঠ ও কী কী?
উত্তর :- মানব হৃদপিন্ডের চারটি প্রকোষ্ঠ। এগুলি হল – ডান অলিন্দ , বাম অলিন্দ, ডান নিলয় এবং বাম নিলয়।
ডান অলিন্দ এবং ডান নিলয়ের মাঝে কোন কপাটিকা থাকে?
উত্তর :- ত্রিপত্র কপাটিকা।
বাম অলিন্দ এবং বাম নিলয়ের মাঝে কোন কপাটিকা থাকে?
উত্তর :- দ্বিপত্রক কপাটিকা।
হৃদপিন্ডের সবচেয়ে বড় প্রকোষ্ঠ বা কুঠুরি কোনটি?
উত্তর :- বাম নিলয়।
কোন শিরা বিশুদ্ধ রক্ত পরিবহন করে?
উত্তর :- ফুসফুসীয় শিরা।
কোন ধমনি দূষিত রক্ত পরিবহন করে?
উত্তর :- ফুসফুসীয় ধমনি।
মানব দেহে হৃদস্পন্দনের হার কত?
উত্তর :- মিনিটে ৭২ থেকে ৮০ বার।
হৃদস্পন্দন কাকে বলে?
উত্তর :- হৃদপিন্ডের সংকোচন এবং প্রসারণকে একসঙ্গে হৃদস্পন্দন বলে।
হৃদপিন্ডের সংকোচনকে কী বলা হয়?
উত্তর :- সিস্টোল।
হৃদপিন্ডের প্রসারণকে কী বলা হয়?
উত্তর :- ডায়াস্টোল।
রক্ত তঞ্চনে সাহায্যকারী প্রোটিনটির নাম লেখো।
উত্তর :- ফাইব্রিনোজেন।
রক্তকণিকা কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তর :- রক্তকণিকা তিন প্রকার। যথা –
ক) লোহিত রক্তকণিকা খ) শ্বেত রক্তকণিকা এবং গ) অনুচক্রিকা।
লোহিত রক্তকণিকার কাজ কী?
উত্তর :- শ্বাস বায়ুর পরিবহন অর্থাৎ ফুসফুসের কাছ থেকে অক্সিজেনকে নিয়ে সারা দেহে তা পরিবহন করা।
শ্বেত রক্ত কণিকার কাজ কী?
উত্তর :- বাইরে থেকে আসা রোগ জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে তাদের ধ্বংস করা।
অনুচক্রিকার কাজ কী?
উত্তর :- রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
রক্তের রং লাল কেন হয়?
উত্তর :- হিমোগ্লোবিন থাকে বলে।
হৃদপিন্ডের আবরণীকে কী বলে?
উত্তর :- পেরিকার্ডিয়াম।
টিকা ( Vaccine ) দিয়ে প্রতিরোধ করা যায় এমন দুটি রোগের নাম লেখো।
উত্তর :- টিটেনাস এবং ডিপথেরিয়া।
মানবদেহের রক্তের শ্বাসরঙ্গকটির নাম কী?
উত্তর :- হিমোগ্লোবিন।
রক্তের জীবাণুনাশক উপাদান কোনটি?
উত্তর :- শ্বেত রক্তকণিকা।
রক্ত কী ধরনের কলা?
উত্তর :- রক্ত এক প্রকার তরল যোগ কলা।
আমাদের লালায় জীবাণু ধ্বংসকারী কোন পদার্থ থাকে?
উত্তর :- লাইসোজাইম।
আমাদের পাকস্থলীতে জীবাণুনাশক কোন পদার্থ থাকে?
উত্তর :- হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড।
রক্তরসের মধ্যে কত পরিমান জল থাকে?
উত্তর :- শতকরা ৯০ শতাংশ।
মানবদেহের প্রধান শ্বাস অঙ্গ কোনটি?
উত্তর :- ফুসফুস।
ফুসফুসের আবরণীকে কী বলা হয়?
উত্তর :- প্লুরা।
ফুসফুসের রং কেমন?
উত্তর :- ফুসফুসে রং কালচে গোলাপি।
ফুসফুসে কতগুলি বায়ুথলি থাকে?
উত্তর :- প্রতিটি ফুসফুসে প্রায় ১০ কোটি বায়ুথলি থাকে।
ফুসফুস কাকে বলে?
উত্তর :- শ্বাসনালির শাখা-প্রশাখা যেখানে শুরু হচ্ছে সেখান থেকে ছোট ছোট বায়ুথলি পর্যন্ত বুকের দুদিকে থাকা দুটো যন্ত্রের নামই ফুসফুস।
বাম ফুসফুসে কতগুলি খন্ড আছে?
উত্তর :- দুটি।
ডান ফুসফুসে কতগুলি খন্ড আছে?
উত্তর :- তিনটি।
মানুষের দুটি শ্বাসপেশির নাম লেখো।
উত্তর :- পঞ্জর পেশি এবং মধ্যচ্ছদা।
প্রশ্বাস কাকে বলে?
উত্তর :- শ্বাসপেশির সাহায্যে একবার আমাদের বুকের খাঁচা ফুলিয়ে তোলা হয়, তখন বাতাস ভেতরে ঢোকে। একে বলে প্রশ্বাস।
প্রশ্বাসের সময় আমরা কোন গ্যাস গ্রহণ করি?
উত্তর :- অক্সিজেন।
নিঃশ্বাস কাকে বলে?
উত্তর :- শ্বাসপেশি গুলো ঢিলে হয়ে গেলে বুকের খাঁচা চূ্পসে যায়, আর বাতাস ভেতর থেকে বেরিয়ে যায়। একে বলে নিঃশ্বাস।
আমরা নিঃশ্বাসের সময় কোন গ্যাস ত্যাগ করি?
উত্তর :- কার্বন ডাই অক্সাইড।
মানুষের প্রধান রেচন অঙ্গ কোনটি?
উত্তর :- বৃক্ক বা কিডনি।
বৃক্ক দেখতে কেমন?
উত্তর :- শীম বীজের মতো।
বৃক্কের রং কেমন?
উত্তর :- কালচে বাদামি।
মুত্র কোথায় তৈরি হয়?
উত্তর :- বৃক্কে।
বৃক্কের কাজ কী?
উত্তর :- বৃক্ষ ছাঁকনির মত রক্ত থেকে দূষিত পদার্থ গুলোকে আলাদা করে নেয় এবং সেগুলি দেহ থেকে বের করে দেয়।
অস্থি বা হাড় কী?
উত্তর :- অস্থি হলো এক ধরনের কঠিন যোগ কলা।
লিগামেন্ট কী?
উত্তর :- অস্থিগুলো অস্থিসন্ধিতে যে সুতো বা দড়ির মতো জিনিস দিয়ে বাঁধা থাকে, তাকে লিগামেন্ট বলে।
অস্থিসন্ধি কাকে বলে?
উত্তর :- পাশাপাশি থাকা দুটো হাড় যেখানে একে অপরের সঙ্গে লিগামেন্ট দিয়ে বাঁধা থাকে সেই জায়গাটাকে অস্থিসন্ধি বা হাড়ের জোড় বলে।
টেনডন কী?
উত্তর :- যে স্থিতিস্থাপক দড়ির মতো জিনিস দিয়ে মাংসপেশি অস্থিসন্ধিগুলোর সামনে, পেছনে বা যে-কোন পাশ দিয়ে অস্থি ও নিচের অস্থির সঙ্গে বাঁধা থাকে, তাকে টেনডন বলে।
জন্মের সময় একজন শিশুর কতগুলি হাড় থাকে?
উত্তর :- ৩০০ টি।
দুটি সচল অস্থি সন্ধির নাম লেখো।
উত্তর :- বলে ও সকেট সন্ধি, হিঞ্জ সন্ধি, পিভট সন্ধি।
দুটি অচল অস্থি সন্ধির নাম লেখো।
উত্তর :- মাথার খুলি, দন্তমূল ও চোয়াল।
হিঞ্জ সন্ধি কোথায় দেখা যায়?
উত্তর :- হাঁটু এবং কনুইতে।
হৃদপিন্ডের ওপরের ডান দিকের কুঠুরির নাম ডান _____ ।
উত্তর : অলিন্দ
এক একটা ফুসফুসে প্রায় ১০ কোটি ____ থাকে।
উত্তর : বায়ু থলি
সচল অস্থিসন্ধিতে দুটো হাড় এক অন্যের সঙ্গে _____ দিয়ে বাধা থাকে।
উত্তর : লিগামেন্ট
হৃদপিন্ডের পেশিকে বলা হয় ____ ।
উত্তর : হৃদপেশি
পেশির সঙ্গে অস্থিকে যুক্ত করে ____ ।
উত্তর : টেনডন।
বুকের মাঝখানে যে শক্ত হাড় থাকে তাকে ____ বলে।
উত্তর : বক্ষাস্থি বা Sternum
বুক ও পেটের মাঝখানে ___ পেশী থাকে।
উত্তর : মধ্যচ্ছদা বা ডায়াফ্রাম।
শরীরের কোথাও কেটে গেলে রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করে ____ ।
উত্তর : অনুচক্রিকা।
মানুষের দেহে অস্থির সংখ্যা ___ টি ।
উত্তর : 206 টি
ডান অলিন্দ ও ডান নিলয়ের মাঝখানে থাকে ____ কপাটিকা।
উত্তর : ত্রিপত্র কপাটিকা
হাতের পেশিকে বলা হয় ____ ।
উত্তর : কঙ্কাল পেশী।
পাকস্থলীর পেশী হলো ____ ।
উত্তর : আন্তরযন্ত্রীয় পেশী
রক্তের প্রধান দুটি অংশ কি কি?
উত্তর : রক্তরস ও রক্তকণিকা।
রক্তের কোন উপাদান দেহের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন পৌঁছে দিতে সাহায্য করে?
উত্তর : লোহিত রক্তকণিকা বা RBC
মানবদেহের কোথায় অচল অস্থিসন্ধি দেখা যায়?
উত্তর : মাথার খুলিতে।
কোন রক্তকণিকা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে?
উত্তর : অনুচক্রিকা
আমাদের হাতের পাঁচটি আঙ্গুলে কটা হাড় আছে?
উত্তর : 14 টি।
বল ও সকেট সন্ধি কোথায় দেখা যায়?
উত্তর : কাঁধে ও কোমরে।
হৃদপিন্ডের অবস্থান লেখো।
উত্তর : হৃৎপিণ্ড থাকে বক্ষাস্থি ও শিরদাঁড়ার মাঝের অংশে। [ পাঠ্যবই পৃষ্ঠা 107 ]
জন্মের সময় একজন শিশুর শরীরে কটি হাড় বা অস্থি থাকে?
উত্তর : প্রায় 300 টি। [ পাঠ্যবই পৃষ্ঠা 120 ]
দাঁতের সাদা ছোপের কারণ কি?
উত্তর : ফ্লুওরাইড এর বিষক্রিয়া। [ পাঠ্য বই পৃষ্ঠা 130 ]
দুটি হিঞ্জ অস্থি সন্ধির উদাহরণ দাও।
উত্তর : হাটু ও কোনুই।
একটি আন্তরযন্ত্রীয় পেশীর নাম লেখ।
উত্তর : হৃদপেশী
ভিটামিন B এর অভাবে কি রোগ হয়?
উত্তর : ঠোঁটের কোণে ঘা ও জিভে ঘা হয়।
কোন ভিটামিনের অভাবে মাড়ি ফোলে ও ফেটে রক্ত পড়ে?
উত্তর : ভিটামিন C
ত্রিপত্র কপাটিকা কোথায় থাকে?
উত্তর : ডান অলিন্দ ও ডান নিলয়ের মধ্যে।
হৃদপিন্ডের বাইরের আবরণীর নাম কি?
উত্তর : পেরিকার্ডিয়াম।
দুটি শ্বাস রঞ্জক পদার্থের নাম লেখ।
উত্তর : হিমোগ্লোবিন, হিমোসায়ানিন।
পালমোনারি কপাটিকা হৃদপিন্ডের কোথায় দেখতে পাওয়া যায়?
উত্তর : ডান নিলয় ও ফুসফুস ধমনীর সংযোগস্থলে।
একজন স্বাভাবিক মানুষের হৃদস্পন্দন মিনিটে কতবার হয়?
উত্তর : 72- 80 বার
মানুষের দৈত্যাকার গঠন ও বামনাকার গঠনকে কি বলা হয়?
উত্তর : দত্যাকার গঠনকে জায়গাটিজম এবং বামনাকার গঠনকে ডোয়ার্ফিজম বলে।
পঞ্জর পেশী কোথায় থাকে?
উত্তর : আমাদের পাঁজরের ফাঁকে।
হৃদপিন্ডের কোন প্রকোষ্ঠ থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সারা দেহে প্রেরিত হয়?
উত্তর : বাম নিলয় থেকে রক্ত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। মহাধমনী দ্বারা এই রক্ত ছড়িয়ে পড়ে।
কোন প্রকার রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন থাকে?
উত্তর : লোহিত রক্ত কণিকায়।
অস্থিসন্ধি কাকে বলে?
উত্তর : দুটি প্রতিবেশী অস্থি যেখানে একে অপরের সঙ্গে লিগামেন্ট দিয়ে বাধা থাকে সেই জায়গাটাকেই অস্থিসন্ধি বা হাড়ের জোড় বলে।
দ্বিপত্র কপাটিকার অবস্থান লেখো।
উত্তর : বাম অলিন্দ ও বাম নিলয়ের মাঝে।
পিভট সন্ধি কোথায় থাকে?
উত্তর : গলায়
অচল অস্থিসন্ধি কোথায় দেখা যায়?
উত্তর : মাথার খুলিতে
ফুসফুসের রং কেমন?
উত্তর : কালচে গোলাপি।
টেনডনের এর কাজ কি?
উত্তর : টেনডন হল এক ধরনের স্থিতিস্থাপক দড়ির ন্যায় অংশ যা মাংসপেশীকে উপর বা নিচের অস্থির সঙ্গে যুক্ত রাখে।
মানবদেহে কিভাবে ফুসফুস থেকে বিশুদ্ধ রক্ত বাম নিলয়ে পৌঁছায়?
উত্তর : প্রথমে ফুসফুস থেকে বিশুদ্ধ রক্ত ফুসফুস শিরার মাধ্যমে বাম অলিন্দে পৌঁছায়। বাম অলিন্দ থেকে এই বিশুদ্ধ রক্ত দ্বি-পত্রক কপাটিকার ভিতর দিয়ে বাম নিলয়ে পৌঁছায়।
জল বা খাবারে মিশে থাকা জীবাণুদের ধ্বংস করার জন্য আমাদের শরীরে কি কি ব্যবস্থা আছে?
উত্তর : জল বা খাবারে মিশে থাকা জীবাণুকে মারবার জন্য আমাদের লালাই লাইসোজাইম নামে উৎসেচক থাকে। এটি জীবাণু ধ্বংসকারী রাসায়নিক পদার্থ। পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড থাকে। এটিও জীবাণুকে ধ্বংস করে।
ফুসফুসের কাজ কি?
উত্তর : ফুসফুস শ্বাস-প্রশ্বাসে সাহায্য করে। বাতাস থেকে অক্সিজেনকে রক্তে পৌঁছে দেয়। আবার শরীরে তৈরি হওয়া কার্বন ডাই অক্সাইড কে রক্ত থেকে টেনে শরীরের বাইরে বের করে দেয়।
শিরা ও ধমনী কাকে বলে?
উত্তর : হৃদপিণ্ড থেকে রক্ত সারা দেহে যে নলগুলো দিয়ে যায় তার নাম হলো ধমনী। তেমনি সারা দেহ থেকে আবার যে নল গুলো দিয়ে রক্ত হৃৎপিণ্ডে ফিরে আসে সেগুলোর নাম শিরা। [ পাঠ্য বই পৃষ্ঠা 107 ]
দেহভর সূচকের সূত্রটি লেখ। স্বাভাবিক ওজনসম্পন্ন ব্যক্তির দেহভর সূচকের মান কত?
উত্তর : দেহভর সূচক = ওজন ÷ (উচ্চতা)² একজন স্বাভাবিক ওজনসম্পন্ন ব্যক্তির দেহভর সূচকের মান 18.5 থেকে 25 এরমধ্যে।
সিস্টোল ও ডায়াস্টোল কাকে বলে?
উত্তর : হৃৎপিণ্ডের পেশীর সংকোচন কে সিস্টোল এবং হৃৎপিণ্ডের পেশী শিথিল হয়ে প্রসারিত ডায়াস্টোল বলা হয়।
ফুসফুসীয় শিরা ও ফুসফুসীয় ধমনীর মধ্যে মূল পার্থক্যটি কি?
উত্তর : ফুসফুসীয় শিরা অক্সিজেনযুক্ত বিশুদ্ধ রক্ত পরিবহন করে। আর ফুসফুসীয় ধমনীর কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত দূষিত রক্ত বহন করে।
ফুসফুসের সমস্যার দুটি লক্ষণ লেখ।
উত্তর : ভোরবেলা দম নিতে কষ্ট হওয়া। শীতকালে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া। [ পাঠ্যবই পৃষ্ঠা 114 ]
অস্থির কাজ কি?
উত্তর : অস্থির কাজ: ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, পাকস্থলী ইত্যাদিকে রক্ষা করা। দেহকে নির্দিষ্ট আকৃতি ও কাঠামো প্রদান করা।
রক্ত রসের কাজ লেখ।
উত্তর : রক্তরস রক্তকে তরল বানায়। এর ফলে রক্ত খাবার হজম হওয়ার পর তৈরি হওয়া ছোট কণা গুলি খাদ্যনালী থেকে বয়ে নিয়ে যেতে পারে। শরীরের নানা জায়গা থেকে তৈরি হওয়া আদরকারী যৌগগুলো বয়ে নিয়ে ফুসফুস, বৃক্ক ইত্যাদি জায়গায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়।
রক্তের কাজ কি?
উত্তর : রক্ত খাদ্যকে দেহের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে দেয়। রক্তের মধ্যে থাকা লোহিত রক্ত কণিকা অক্সিজেনকে দেহের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে দেয়। রক্তের মধ্যে থাকা শ্বেত রক্তকণিকা রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
মানবদেহে প্রশ্বাস আর বিশ্বাস প্রক্রিয়া কিভাবে ঘটে?
উত্তর : মধ্যচ্ছদা নামক পেশীর সাহায্যে যখন বুকের খাচা ফুলিয়ে তোলা হয় তখন বাতাস ফুসফুসের ভিতরে ঢোকে। একে বলে প্রশ্বাস। আবার এই পেশীগুলো ঢিল দিলে বুকের খাঁচা চুপসে যায় আর বাতাস ভেতর থেকে বাইরে বেরিয়ে যায় । একে বলে নিশ্বাস। [ পাঠ্যবই পৃষ্ঠা 115 ]
তোমার বন্ধুর ওজন 60 কেজি আর উচ্চতা 4.5 ফুট । তোমার বন্ধুর দেহভর সূচক (BMI) নির্ণয় করো। তোমার বন্ধুর দেহভর সূচক সম্বন্ধে লেখো।
উত্তর : 1 ফুট = 0.3048 মিটার । অর্থাৎ 4.5 ফুট = 4.5 × 0.3 মিটার = 1.35 মিটার। অতএব, বন্ধুর দেহভর সূচক = ওজন ÷ (উচ্চতা)² = 60 ÷ (1.35×1.35) = 32.92 30 – 40 দেহভর সূচক এর অর্থ হল মোটা হয়ে যাওয়া বা স্থূলত্ব। অর্থাৎ আমার বন্ধুর দেহভর সূচক বেশি।
“মানবদেহে নানা কারণে অস্বাভাবিক বিকাশ ঘটতে পারে” – কারণগুলি কি কি?
উত্তর : কখনো যথেষ্ট খাবার না পেলে, কখনো বা বেশি খাবার খেলে, কখনো বা কোন রোগের বা বংশগত অস্বাভাবিকতার কারণে তা ঘটতে পারে। রক্তে কোন রাসায়নিক পদার্থের ক্ষরণ কম বা বেশি ঘটলে অস্বাভাবিক বিকাশ ঘটতে পারে।
পার্থক্য লেখ: শিরা ও ধমনী
উত্তর : প্রাচীর: শিরার প্রাচীর পাতলা কিন্তু ধমনীর প্রাচীর পুরু। কপাটিকা: শিরায় কপাটিকা আছে কিন্তু ধমনীতে কপাটিকা নেই। স্পন্দন: শিরায় স্পন্দন নেই কিন্তু ধমনিতে স্পন্দন আছে। রক্ত প্রবাহ: শিরায়ে রক্ত প্রবাহ ধীরগতিতে হয় কিন্তু ধমনীতে রক্ত প্রবাহ দ্রুত গতিতে হয়। রক্ত বহন: শিরা দূষিত রক্ত বহন করে (ব্যতিক্রম ফুসফুসীয় শিরা। কিন্তু ধমনী বিশুদ্ধ রক্ত বহন করে ( ব্যতিক্রম ফুসফুসীয় ধমনী ) ।
স্বাভাবিক পুষ্টির জন্য আমাদের কি কি খাদ্য গ্রহণ করা উচিত? ভালো স্বাস্থ্যের লক্ষণ গুলি কি কি?
উত্তর : স্বাভাবিক পুষ্টির জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। ভালো স্বাস্থ্যের লক্ষণ গুলি হল: ওজন হবে স্বাভাবিক। শরীরের কোথাও ঘা থাকবে না। দেহ হবে সুঠাম এবং শক্তিময়। হাত পা হবে সোজা। দেহভর সূচক হবে স্বাভাবিক। [ পাঠ্য বই পৃষ্ঠা 131 ]
আমাদের শরীরে পুঁজ কিভাবে গঠিত হয়?
উত্তর : ফোড়া বা কাটা জায়গার মধ্য দিয়ে জীবাণু আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। সেই জীবাণুকে রক্তের মধ্যে থাকা শ্বেত রক্তকণিকা মেরে ফেলে। যা সাদা তরলের মত পুঁজ তৈরি করে এবং চামড়া থেকে বেরিয়ে আসে।
তোমার বন্ধুর ওজন 50 কেজি এবং উচ্চতা 0.9 মিটার। তাহলে ওই বন্ধুর দেহভর সূচক থেকে বন্ধুর সুস্থতা সম্পর্কে তোমার কি ধারণা হলো তা লেখো।
উত্তর : বন্ধুর দেহভর সূচক = ওজন ÷ উচ্চতা² = 50 ÷ (0.9×0.9) = 50 ÷ 0.81 = 61.72 দেহভর সূচক 30 – 40 বা তার বেশি হলে মোটা হয়ে যাওয়া বা স্থূলত্ব বোঝায়। অর্থাৎ আমার বন্ধুর দেহে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রক্তের উপাদানগুলি কি কি?
উত্তর : রক্ত দুই ধরনের উপাদান দ্বারা গঠিত। যথা: রক্ত রস ও রক্তকণিকা। রক্ত কণিকা রয়েছে তিন ধরনের। যথা: লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্ত কণিকা ও অনুচক্রিকা।