Skip to content

দ্বিতীয় ইউনিট টেস্টের সাজেশন প্রশ্ন (সপ্তম শ্রেণী)

cl-7-unit-test-sug

Bengali – বাংলা

নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও (যেকোনো চারটি): (4 × 1 = 4)

  1. জীবনের ঝরাপাতা আত্মজীবনিটি- (অমলা দেবীর / সরলা দেবীর / রমলা দেবীর / কাদম্বিনী দেবীর)

Ans: কাদম্বিনী দেবীর

  1. কাজীদার সেই গান চোখ বুঝলেই আজও শুনতে পান- (সাহানা নাগচৌধুরি / অহনা দত্তচৌধুরি / সাহানা মুখোপাধ্যায় / রামকুমার চট্টোপাধ্যায়)

Ans: সাহানা মুখোপাধ্যায়

  1. বর্ষায় আজ বিদ্রোহ করে বুঝি’ -এখানে যার বিদ্রোহ করার কথা বলা হয়েছে- (কিষাণের / জোড়া দিম্বি / অহংকারী মশা / মজা নদী)

Ans: মজা নদী

  1. উপনিষদে উক্ত ‘চরৈবেতি’ শব্দের অর্থ- (যাত্রা থামাও / এগিয়ে যাও / দাঁড়িও না)

Ans: এগিয়ে যাও

  1. ‘কাল থেকে মনে মোর লেগে আছে খটকা’ -খটকা কী নিয়ে? (তেজ পাতা তেজ কেন / কোলাগুড় কিসে দেয় / কাতুকুতু দিলে গোরু কেন ছটপট করে / ফুল ফুটলে কেন পটকা ফাটার মতো শব্দ হয়)

Ans: কাতুকুতু দিলে গোরু কেন ছটপট করে

  1. মেঘচোর গল্পে অসীমার বয়স- (কুড়ি / সাতাশ / তিরিশ / সাঁইত্রিশ) বছর।

Ans: সাঁইত্রিশ বছর

যেকোনো তিনটি প্রশ্নের উত্তর দাও:  (3 × 1 = 3)

    1. সাইবেরিয়া কোথায়?

Ans: সাইবেরিয়া উত্তর এশিয়ার একটি বিস্তীর্ণ তুন্দ্রা ও বনভূমি অঞ্চল, প্রধানত রাশিয়ার অংশ।

  1. ‘নোট বই’ কবিতায় কোন কোন পতঙ্গের উল্লেখ রয়েছে?

Ans: ‘নোট বই’ কবিতায় মশা, মাছি, পিঁপড়ে ইত্যাদি পতঙ্গের উল্লেখ রয়েছে।

  1. গ্যাজেলি নামক হরিণ কোথায় রয়েছে?

Ans: গ্যাজেলি নামক হরিণ আফ্রিকার তৃণভূমি ও মধ্য প্রাচ্যের কিছু অঞ্চলে পাওয়া যায়।

  1. ‘স্মৃতিচিহ্ন’ কবিতায় ‘শুষ্ক তৃণ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

Ans: ‘শুষ্ক তৃণ’ বলতে পুরনো, শুকিয়ে যাওয়া ঘাস বা তৃণজাতীয় উদ্ভিদের কথা বোঝানো হয়েছে।

  1. ‘এই ছিল তখনকার কোনো স্বদেশি মিটিং এর রীতি।’ -কোন রীতির কথা বলা হয়েছে?

Ans: স্বদেশি মিটিংয়ের রীতি বলতে অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে আলোচনার রীতির কথা বলা হয়েছে।

  1. ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকায় ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীতটির কোন পরিচয় দেওয়া হয়েছিল?

Ans: ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকায় ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীত ‘জনগণমন’ গানটির প্রথম পরিচয় দেওয়া হয়েছিল।

যেকোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও: (2 × 3 = 6)

    1. ‘মূঢ় ওরা, ব্যর্থ মনস্কাম!’ -কাদের মূঢ় বলা হয়েছে? তাদের মনস্কামনা কিভাবে ব্যর্থ হয়েছে?

Ans: এখানে প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণকারী মানুষদের মূঢ় বলা হয়েছে। এরা প্রকৃতির সহজ নিয়মকে বুঝতে বা মেনে নিতে পারে না। তারা প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটাতে চায়, অথচ প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম তারা ভাঙতে পারে না। তাই তাদের চেষ্টাগুলি ব্যর্থ হয় এবং তাদের মনস্কামনা অপূর্ণ থেকে যায়। প্রকৃতির মহাশক্তির কাছে মানুষের অহংকার মাটিতে মিশে যায়।

  1. ‘চিরদিনের’ কবিতায় দুর্ভিক্ষ-উত্তীর্ণ যে সুবর্ণ দিনের স্বপ্ন কবি দেখেছেন তা নিজের ভাষায় লেখো।

Ans: ‘চিরদিনের’ কবিতায় কবি এমন এক দিনের স্বপ্ন দেখেছেন যখন দেশে আর অভাব, অনাহার থাকবে না। দুর্ভিক্ষের করাল ছায়া মুছে যাবে। প্রতিটি মানুষ হাসিমুখে বাঁচবে, ভাত-কাপড়ের জন্য কারও কান্না থাকবে না। কবি এক শান্ত, সুস্থ, সমৃদ্ধ সমাজের কল্পনা করেছেন যেখানে ভালোবাসা, সহানুভূতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট থাকবে। সেই দিন হবে সত্যিকারের স্বাধীনতার প্রতীক।

  1. ‘মনের দৌড়ে মানুষ চ্যাম্পিয়ন’ -এমন কয়েকজন মানুষের কথা লেখো যাদের শারীরিক অসুবিধা থাকলেও মনের দৌড়ে সত্যিই তাঁরা প্রকৃত চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠেছেন?

Ans: অনেক মানুষ শারীরিকভাবে দুর্বল হলেও মানসিক শক্তিতে অদম্য হয়েছেন।

  • হেলেন কেলার: দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তি হারিয়েও তিনি বিশিষ্ট লেখিকা ও সমাজকর্মী হন।
  • স্টিফেন হকিং: পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েও বিশ্ববিখ্যাত তত্ত্বীয় পদার্থবিদ হন।
  • দীপা মালিক: প্যারালিম্পিকে পদক জয় করে দেশের গর্ব বাড়ান।
    এছাড়া আরও অনেক মানুষ আছেন যারা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে তাদের মনের শক্তিতে সাফল্য অর্জন করেছেন। তাঁদের জীবন আমাদের সাহস ও প্রেরণা দেয়।
  1. ‘মেঘ চোর’ গল্পে কাকে কেন মেঘ-চোর বলা হয়েছে? তার মেঘ চুরির কৌশলটি সংক্ষেপে লেখো।

Ans: ‘মেঘচোর’ গল্পে অসীমা নামের একটি মেয়েকে মেঘ-চোর বলা হয়েছে। সে ছোটবেলা থেকেই মেঘের নানারকম রূপ দেখে মুগ্ধ হত। বড় হয়ে সে ক্যামেরায় আকাশের মেঘের ছবি তুলতে শুরু করে। রঙিন মেঘ, ধোঁয়া মেঘ, কালো মেঘ—সব রকম মেঘ সে ক্যামেরায় ধরে রাখত। এইভাবেই যেন সে মেঘকে চুরি করে নিজের ক্যামেরায় বন্দি করত। এই ছবিগুলোর মাধ্যমে অসীমা প্রকৃতির সৌন্দর্যকেই ধরে রাখার চেষ্টা করত।

যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:  (1 × 3 = 3)

    1. হোটেলওলাকে কোন কোন জিনিস কিনতে হয় না? সং কেন সপ্তাহে তিনবার পোস্টঅফিসে যেত?

Ans: হোটেলওলাকে কিনতে হয় না ফল, ফুল, মধু, জল।

সং সপ্তাহে তিনবার পোস্ট অফিসে যেত হোটেলের অর্ডার পাঠাতে এবং বিল নেওয়ার জন্য।

  1. “হোটেল বলে হোটেল! সে এক এলাহি ব্যাপার।” বনের মধ্যে এই হোটেল কে চালাত? তার কীর্তিকলাপের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

Ans: বনের মধ্যে হোটেল চালাত সং নিজে।

তার কীর্তিকলাপ ছিল ফল, ফুল, মধু সংগ্রহ করে অতিথিদের আপ্যায়ন করা এবং বিশ্রামের ব্যবস্থা করা।

নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও (যেকোনো চারটি): (4 × 1 = 4)

  1. অর্থোপার্থক্য লেখো (যেকোনো জোড়া):

চাপা / চাঁপা; দেশ / দ্বেষ।

Ans: অর্থপার্থক্য:

  • চাপা — ঢাকা দেওয়া / গোপন করা
  • চাঁপা — একটি ফুলের নাম
  • দেশ — রাষ্ট্র / জন্মভূমি
  • দ্বেষ — বিদ্বেষ / ঘৃণা
  1. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম আমরা সবাই জানি। (না-বাচক বাক্যে রূপান্তরিত করো)

Ans: না-বাচক রূপান্তর:

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম আমরা কেউ জানি না।

  1. ‘মানসিক’ এর বিশেষ্য রূপ লেখো।

Ans: ‘মানসিক’ এর বিশেষ্য রূপ:

মানসিকতা।

  1. ঠাকুমা গল্প শোনায় যে নাতনিকে। (নিম্নরেখ পদটির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো)

Ans: কারক ও বিভক্তি নির্ণয়:

নাতনিকে — কর্তৃকারক, চতুর্থী বিভক্তি।

  1. সন্ধিবিচ্ছেদ করো (যেকোনো একটি): বৃষ্টি, মনস্কাম, নিরুদ্দেশ।

Ans: সন্ধিবিচ্ছেদ:

  • বৃষ্টি = বৃ + ইষ্টি
  • মনস্কাম = মনঃ + কাম
  • নিরুদ্দেশ = নির্ + উদ্দেশ

রচনা লেখো: (5)

1.“পরিবেশ রক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্ব”। 

Ans: আজকের দিনে পরিবেশ দূষণ একটি ভয়াবহ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যার মোকাবিলায় ছাত্রছাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। তারা ভবিষ্যতের নির্মাতা, তাই পরিবেশ রক্ষার দায়িত্বও তাদের কাঁধে বর্তায়।

ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে ও বাড়িতে পরিবেশ সচেতনতামূলক প্রচার চালাতে পারে। তারা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারে, বন্ধু ও পরিবারকে জল সংরক্ষণের গুরুত্ব বোঝাতে পারে। প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করে বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। কাগজ, প্লাস্টিক, গ্লাস ইত্যাদি পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

সেরা অনলাইন কোর্স

ছাত্রছাত্রীরা যদি সচেতন হয়, তাহলে সমাজের অন্যান্য অংশও সচেতন হবে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পরিবেশ বিষয়ক কাজেও সক্রিয় অংশ নিতে পারে। ছোট ছোট কাজ যেমন — আবর্জনা না ফেলা, বিদ্যুৎ অপচয় না করা, গাছ লাগানো — এগুলিই একদিন বড় পরিবর্তন আনবে।

আমরা ছাত্রছাত্রীরা যদি এখন থেকেই পরিবেশ রক্ষার শপথ করি, তবে ভবিষ্যত পৃথিবী হবে সবুজ, সুস্থ ও সুন্দর। পরিবেশ রক্ষার এই সংগ্রামে ছাত্রছাত্রীরাই হতে পারে অগ্রণী সৈনিক।

অথবা,

কোনো ইতিহাস-প্রসিদ্ধ স্থানে ঘুরে আসার অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে একটি পত্র লেখো।

Ans: 

প্রেরক:
সৌরভ দাস
২৩/১, বাগবাজার স্ট্রীট
কলকাতা – ৭০০০০৩

প্রাপক:
স্নেহাশিস পাল
দীঘা রোড, পূর্ব মেদিনীপুর

তারিখ: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

বিষয়: ইতিহাস-প্রসিদ্ধ স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা

প্রিয় স্নেহাশিস,
শুভেচ্ছা নিও। কেমন আছো? আজ তোমাকে একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতার কথা জানাব।
গত সপ্তাহে স্কুলের পক্ষ থেকে আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখতে। বিশাল সাদা মার্বেলের এই স্মৃতিস্তম্ভ দেখে আমি বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলাম। ভিতরের মিউজিয়ামে ব্রিটিশ আমলের ইতিহাস, শিল্পকলা ও সাহিত্য সংক্রান্ত বহু মূল্যবান সংগ্রহ দেখা গেল। বিশেষ করে রানী ভিক্টোরিয়ার একটি মূর্তি ও স্বাধীনতার নানা সংগ্রামের চিত্রাবলী আমাকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলল।

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মনোরম বাগানেও আমরা ঘুরে বেড়ালাম। পাখিদের কলতান ও ফুলের গন্ধে মন ভরে গেল। পুরো সফরটি আমার মনে চিরকালীন ছাপ রেখে দিয়েছে।

তুমিও সুযোগ পেলে অবশ্যই এখানে ঘুরতে এসো। আশাকরি তোমার ভালো লাগবে।
আজ এখানেই ইতি। দেখা হলে আরও গল্প হবে।

ইতি,
তোমার বন্ধু
সৌরভ।

 

সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখ :

  1. ‘বাঁশি’ শব্দটি হল-

(A) যৌগিক শব্দ

(B) গূঢ় শব্দ

(C) যোগরূঢ় শব্দ

(D) ধ্বন্যাত্মক শব্দ

Ans: (C) যোগরূঢ় শব্দ

  1. ‘বাচ্চারা চোর-চোর খেলছে।’— চোর-চোর শব্দদ্বৈতটি ব্যবহৃত হয়েছে-

(A) অনুকরণ অর্থে

(B) দ্রুত অর্থে

(C) আসন্ন অর্থে

(D) বহুলতা অর্থে

Ans: (A) অনুকরণ অর্থে

  1. তৎসম শব্দে ‘ক’-কারের পর যা হয়। এর একটি উদাহরণ হল –

(A) অভিষেক

(B) শ্রীচরণেষু

(C) ঋষি

(D) অনুষ্ঠান

Ans: (A) অভিষেক

  1. চিতাবাঘ দৌড়াতে পারে ঘণ্টায়—

(A) ৭০ মাইল পর্যন্ত

(B) ৮০ মাইল পর্যন্ত

(C) ১০০ মাইল পর্যন্ত

(D) ৫০ মাইল পর্যন্ত

Ans: (B) ৮০ মাইল পর্যন্ত

  1. ‘জবাবটা জেনে নেব….’—জবাবটা জেনে নেওয়াহবে—

(A) মেজদাকে খুঁচিয়ে

(B) মেজদাকে অনুরোধ করে

(C) মেলাকে অর্থ দিয়ে

(D) মেজদাকে ভয় দেখিয়ে

Ans: (D) মেজদাকে ভয় দেখিয়ে

  1. শুদ্ধ বানানের শব্দটি লেখো—

(B) সহযোগিতা

(B) ক্ৰমশঃ

(C) অংক

(D) ভূমিসাৎ

Ans: (D) ভূমিসাৎ

একটি বাক্যে উত্তর দাও:

  1. “কৃষক-বধূরা ঢেঁকিকে নাচায়….-“—কী দিয়ে নাচায় ?

Ans: কৃষক-বধূরা নিজেদের পায়ের চাপ দিয়ে ঢেঁকিকে নাচায়।

  1. “রোজ রাতে যা থাকে তাই আছে”— রোজ রাতে কী কী থাকে?

Ans: রোজ রাতে চাঁদ, তারা এবং রাতের শান্ত পরিবেশ থাকে।

  1. “তিনটি করে বড়ো বড়ো পাথর দিয়ে উনুন হয়েছে।” —এই উনুনের জ্বালানি কী ছিল?

Ans: উনুনের জ্বালানি ছিল শুকনো কাঠ ও পাতা।

  1. “জায়গাটির নাম ছিল…..’— জায়গাটির নাম কী ছিল ?

Ans: জায়গাটির নাম ছিল নিমতলা।

  1. ঘুরতে ঘুরতে এখন ওরা এসেছেন ওঁরা কোথায় এসেছেন?

Ans: ওঁরা এক পরিত্যক্ত পাথুরে অঞ্চলে এসেছিলেন।

  1. “মূঢ় ওরা ব্যর্থ মনস্কাম।”— ওরা কারা?

Ans: ওরা হল প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণকারী মানুষরা।

যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও (কমবেশি ছ-টি বাক্যে):

    1. “সেই বলটা হাতে নিয়ে তিনি বললেন,” —এই সূত্রে বলটির যে বর্ণনা পাওয়া যায়, তা লেখো।

Ans: বলটি ছিল লালচে রঙের এবং খুব নরম। সেটি দেখতে কিছুটা গোলাপের মতো আকৃতির ছিল। বলের গায়ে ছোট ছোট আঁশ দেখা যেত। হাতের স্পর্শে বলটি খুবই হালকা ও কোমল মনে হচ্ছিল। খেলার ছলে বলটি দিয়ে আনন্দের মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল।

  1. “জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে

ভারতভাগ্যবিধাতা।”— প্রসঙ্গ উল্লেখ করো এবং ব্যাখ্যা করো।

যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও (কমবেশি পাঁচটি বাক্যে ):

  1. “কাল-স্রোতে ধৌত নাম নিত্য সমুজ্জ্বল।”— কাল-স্রোতে কাদের নাম, কীভাবে ধৌত হয়ে নিত্য সমুজ্জ্বল হয়—ব্যাখ্যা করো।

Ans: সময় প্রবাহের ধারা বহু কিছুকে মুছে দেয়, তবুও কিছু মহান ব্যক্তির নাম ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল থাকে। তাঁরা তাঁদের কর্ম ও চরিত্রের গৌরবে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকেন। সময়ের ধুলোমাটির মধ্যেও তাঁদের কীর্তির দীপ্তি ম্লান হয় না। এইভাবে তাঁদের নাম কাল-স্রোতে ধুয়ে আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এমন মানুষেরাই সমাজের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকেন।

  1. “সবুজ ফসলে সুবর্ণ দুর্গ আসে”— কথাটির মধ্য দিয়ে কী বলতে চাওয়া হয়েছে?

যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও (কমবেশি পাঁচ-ছটি বাক্যে):

1.. “দু-জনে বাঘ ধরার বড়ো ফাঁদের কাছে এসে গেল।”— দুজন কে কে? সেই ‘বড়ো ফাঁদ’ সম্বন্ধে চারটি বাক্য লেখো।

  1. “হোটেল বলে হোটেল!”—সংশ্লিষ্ট হোটেলটি সম্বন্ধে ছ-টি বাক্য লেখো।

Ans: বনের মধ্যে তৈরি করা হয়েছিল সেই বিশেষ হোটেল।
হোটেলটি আসলে একটি সাধারণ কাঠের ছাউনি ছিল।
ভেতরে বিছানা, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি সামান্য জিনিসপত্র রাখা ছিল।
হোটেলওলা অতিথিদের দুধ, মধু আর ফল দিয়ে আপ্যায়ন করত।
সপ্তাহে তিনবার সে পোস্টঅফিসে গিয়ে চিঠিপত্র নিয়ে আসত।
বনের প্রাণী ও পাখিদের সাথে যেন এক অপূর্ব বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়েছিল এই হোটেলে।

যে-কোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ লেখো:

    1. একটি মেলা দেখার অভিজ্ঞতা।
    2. তোমার বিদ্যালয়।
    3. দেশভ্রমণ।
    4. পরিবেশরক্ষায় ছাত্রছাত্রী

Ans: 

🌿 পরিবেশরক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্ব 🌿

পরিবেশ আমাদের জীবনের অন্যতম অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা পরিবেশের দ্বারা বেঁচে আছি এবং পরিবেশ রক্ষার দায়িত্বও আমাদের ওপর বর্তায়। বর্তমান যুগে দূষণ, বনধ্বংস, জলবায়ু পরিবর্তন পরিবেশকে বিপন্ন করে তুলেছে। এই সংকট রোধে ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ছাত্রছাত্রীরা ছোটবেলা থেকেই পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে পারে। তারা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারে। প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করে, বিকল্প পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহারে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। স্কুল-কলেজে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, জল অপচয় রোধ করা, পাখি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য প্রচার চালানো ছাত্রছাত্রীদের অন্যতম দায়িত্ব।

তারা সমাজের মধ্যে পরিবেশবান্ধব জীবনের গুরুত্ব বোঝাতে পোস্টার, নাটক বা আলোচনাচক্রের আয়োজন করতে পারে। প্রকৃতির সাথে ভালোবাসার বন্ধন গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীসমাজের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।

আমরা যদি ছাত্রজীবন থেকেই পরিবেশরক্ষায় সচেষ্ট হই, তাহলে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ, নির্মল পৃথিবী রেখে যেতে পারবো। তাই পরিবেশ বাঁচাও, জীবন বাঁচাও — এই মন্ত্র ছাত্রছাত্রীদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।

English – ইংরেজি

Section-A Reading Comprehension (Seen)

Read the passage and answer the questions given below.

And then he would lift up the picture, and drop it, and it would come out of the frame. He would try to save the glass and cut himself. Then he would spring round the room, looking for his handkerchief.

He could not find his handkerchief, because it was in the pocket of the coat he had taken off, and he did not know where he had put the coat. All the house had to leave off looking for his tools, and start looking for his coat; while he would dance round and hinder them.

“Doesn’t anybody in the whole house know where my coat is? I never came across such a set in all my life – upon my life I didn’t. Six of you! – and you can’t find a coat that I put down not five minutes ago! Well, of all the-” “Then he’d get up and find that he had been sitting on it, and would call out: “Oh, you can give it up! I’ve found it myself now.”

Write ‘T’ for True and ‘F’ for False statements in the boxes: 1×4=4

  1. He was an expert in the job he was doing.

Ans: F

  1. He remained cool while searching for the coat.

Ans: F

  1. Uncle Podger was looking for the handkerchief to stop bleeding.

Ans: T

  1. Uncle Podger finally found his coat.

Ans: T

Answer the following questions: 1×3=3

(i) How did Uncle Podger cut himself?

Ans: He dropped the picture, the glass came out of the frame, and as he tried to save the glass he cut his hand on the broken edge.

(ii) Why did Uncle Podger want his coat?

Ans: His handkerchief, which he needed to staunch the bleeding, was in the pocket of the coat he had removed.

(iii) Where did he find his coat?

Ans: After everyone stopped searching, he discovered he had been sitting on his coat the whole time.

Reading Comprehension (Unseen)

Read the following passage carefully and answer the questions that follow.

Once upon a time a nobleman built a grand house. On the front of the gate, he wrote the words, “This house is to be given to the first man who can prove that he is contented.” One day a stranger came and said, “I have come to take possession of this

house, because I can prove that I am contented.” The nobleman said in reply, “If you were contented, you would not wish to get possession of my house.” Saying this he turned the man out.

Tick (√) the correct answer: 1×2=2

  1. The nobleman turned the man out because-

(a) he was the last man to come to

his (nobleman’s) house

(b) he did not have money

(c) there was no trace of contentment in him

Ans: (c) there was no trace of contentment in him.

  1. Here the word ‘stranger’ means-

(a) an unknown person

(b) a guest

(c) a friend

Ans: (a) an unknown person.

Answer the following questions:

  1. How did the nobleman know that the man who came to take possession of the house was not contented?

Ans: Because the stranger demanded the house as proof of his contentment—true contentment would not seek more possessions.

  1. What did the nobleman want to give? 

Ans: He intended to give his grand house to the first man who could prove he was truly contented.

Section-B Grammar & Vocabulary

Rewrite the following as directed: 1×6=6

  1. The train stops suddenly. (Change into Present Perfect Tense)

Ans: The train has stopped suddenly.

  1. The baby _________ (drink) milk. (Use Present Continuous Tense)

Ans: The baby is drinking milk.

  1. He ____________ (succeed) as he works hard. (Fill in the blank with the verb in the Simple Future Tense)

Ans: He will succeed as he works hard.

  1. I give you the permission to go now. (use ‘may’)

Ans: You may go now.

  1. It is not necessary for you to help me. (use ‘need’)

Ans: You need not help me.

  1. The man is working on the road. (Frame a question with ‘where’)

Ans: Where is the man working?

Section-c Writing skill

Write a letter to your friend telling him about your hobby. (7)

Ans: [Your Address]
Date: 

Dear Sam,

I hope you’re doing great! I wanted to share with you my newest hobby—gardening. Ever since I planted that little basil seedling last month, I’ve been completely hooked . Every morning I water my pots and watch the tiny leaves unfurl .

It’s amazing how relaxing it is to feel the soil on my fingers and see something grow because of my care . Yesterday, I harvested my first cherry tomato—it tasted so fresh! Besides basil and tomatoes, I’ve started growing mint and rosemary .

Gardening has become my favorite way to unwind after school . It teaches me patience and reminds me to slow down. I think you’d love it too—maybe you could come over this weekend, and we’ll plant some flowers together?

Can’t wait to hear about what you’ve been up to. Write soon!

Your friend,
Arun

 

Read the passage carefully and answer the following:

Far down the earth, there lived dark Pluto, king of the land of the dead. He had often asked some goddess to come and live with him, but no goddess was willing to live among the dead. So Pluto was very lonely. One day Pluto came to earth and was driving along in his swift chariot. Behind some bushes he heard voices and laughter. He was curious. He stopped his chariot, and walked to the bushes. There he saw Proserpine laughing and playing with her companions who formed a circle round her.

Fill in the following chart with information from the text :

Cause Effect

  1. Pluto heard voices and laughter behind some bushes.

Ans: He stopped his chariot, went to investigate, and saw Proserpine and her companions.

  1. Pluto led a lonely life.

Ans: He repeatedly asked goddesses to live with him, but none agreed.

Write ‘True’ and ‘False’ for the statements:

  1. Pluto came to earth driving along in his winged chariot in the air.

Ans: False

  1. Pluto, king of the dead, lived far down the earth.

Ans: True

Read the following passage and answer the questions correctly :

Christopher Columbus was a very brave explorer and sailor of Italy. He started on August 3, 1492 for a new land. Week after week passed. There was no land. Everybody was afraid. But he had a lot of courage. His men did not want to go. The Atlantic Ocean was full of dangers. So the voyage was risky.

Complete the following sentences with information from the passage:

  1. Columbus’ men did not want to go because ————————————————-.

Ans: Columbus’ men did not want to go because the Atlantic Ocean was full of dangers.

  1. Columbus was a man of great ——————————————————————-.

Ans: Columbus was a man of great courage.

  1. The Atlantic is the name of ———————————————————————–.

Ans: The Atlantic is the name of an ocean.

Answer the following questions:

  1. When did Columbus start his journey ?

Ans: He began on 3 August 1492.

  1. Why was the voyage very risky ?

Ans: Because the Atlantic Ocean was full of dangers and everyone was afraid.

Do as directed:

  1. The man is poor. The man is honest. [Join with a conjunction]

Ans: The man is poor but honest.

  1. He — (go) to market now. [Fill in the gap with proper verb from]

Ans: He is going to market now.

  1. We come to school. Our object is to study. [Join with infinitive]

Ans: We come to school to study.

  1. I have read the book. [Change the voice]

Ans: The book has been read by me.

Write a story using the following points. Give a title to the story:

Hints: A hare challenges a tortoise to a race —- the race starts —- hare takes rest on the way —- falls asleep —- the tortoise reaches the goal first.

Ans: Title: The Race of Pride and Perseverance

Once upon a time in a sunny meadow, a proud hare boasted of his incredible speed. “No one can beat me in a race!” he declared. A steady tortoise overheard and calmly replied, “Then let us race and see.”

The race began at sunrise, and the hare darted ahead, leaving the tortoise far behind. Confident of victory, the hare decided to take a nap under a shady oak tree. Meanwhile, the tortoise plodded on, one step at a time, never wavering. Slowly but surely, he passed the sleeping hare.

By the time the hare awoke, the tortoise was just yards from the finish line. The hare dashed forward in panic but arrived too late. The tortoise crossed the goal first.

Moral: Slow and steady wins the race.

Physical Science – ভৌত বিজ্ঞান

শুন্যস্থান পূরণ করো:

    1. ATM কার্ডে ___________ এর ব্যবহার হয়।

Ans: চৌম্বকীয় স্তরের ব্যবহার হয়।

  1. বৈদ্যুতিক বাল্বের ফিলামেন্ট হয় ____________ ধাতু দিয়ে।

Ans: টাংস্টেন ধাতু দিয়ে।

  1. লোহা, নিকেল ও কোবাল্ট হল ____________ পদার্থ।

Ans: চৌম্বকীয় পদার্থ।

  1. চুম্বকের ক্ষেত্রে সমমেরু পরস্পরকে _____________ করে।

Ans: বিকর্ষণ করে।

নীচের যেকোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও:

    1. জীবদেহে ‘শক’ লাগার ঘটনা কীভাবে হয়?

Ans: যখন শরীর দিয়ে বৈদ্যুতিক প্রবাহ ঘটে, তখন স্নায়ু ও পেশি প্রভাবিত হয় এবং আমরা “শক” অনুভব করি। এটি সাধারণত বৈদ্যুতিক সার্কিটে সরাসরি সংযোগের ফলে ঘটে।

  1. দৈনন্দিন চাহিদা পূরণের জন্য আমরা শক্তির প্রধান উৎস হিসেবে কী কী বেছে নিতে পারি তা উল্লেখ করো।

Ans: সৌর শক্তি, পवन শক্তি, জলবিদ্যুৎ শক্তি, বায়োমাস শক্তি ও ভূতাপীয় শক্তি।

  1. সংজ্ঞা লেখো: চৌম্বক মেরু, চৌম্বকক্ষেত্র।

Ans: চৌম্বক মেরু: চুম্বকের সেই স্থান যেখানে চৌম্বক শক্তি সর্বাধিক, একে মেরু বলে।

চৌম্বকক্ষেত্র: চুম্বক তার চারপাশের অঞ্চলে যে বল প্রয়োগ করতে পারে, সেই অঞ্চলের নাম চৌম্বকক্ষেত্র।

  1. LED এর সম্পূর্ণ নাম কী? এতে শক্তির রূপান্তরটি উল্লেখ করো।

Ans: LED-এর সম্পূর্ণ নাম: Light Emitting Diode

এতে তড়িৎ শক্তি → আলো শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

  1. ফিউজ তারের বৈশিষ্ট্য কী?

Ans: এর গলনাঙ্ক কম।

এটি অতিরিক্ত প্রবাহিত কারেন্টের জন্য সহজেই গলে সার্কিট ভেঙে দেয়।

এটি মূলত নিরাপত্তার জন্য ব্যবহৃত হয়।

  1. তড়িৎচুম্বক কী? এটির শক্তি কীভাবে বাড়ানো যায়?

Ans: তড়িৎচুম্বক হলো বৈদ্যুতিক প্রবাহ দ্বারা তৈরি অস্থায়ী চুম্বক।
শক্তি বাড়ানোর উপায়:

  • কয়েলের পাক সংখ্যা বাড়িয়ে।
  • কয়েলে প্রবাহিত কারেন্ট বৃদ্ধি করে।
  • নরম লোহা দিয়ে মূলকাঠামো তৈরি করে।

প্রশ্নমান: 1

  1. সিনেমার পর্দায় কী ধরণের প্রতিফলন ঘটে? 

Ans: বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন।

  1. সূচিছিদ্র ক্যামেরায় বস্তুর প্রতিকৃতি না প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?

Ans: প্রতিকৃতি।

  1. আলো কোন পথে চলাচল করে?

Ans: সরলরেখায়।

  1. সূচিছিদ্র ক্যামেরায় ছিদ্র থেকে পর্দার দূরত্ব বাড়লে প্রতিকৃতি বড়ো হবে না ছোটো হবে?

Ans: বড়ো হবে।

  1. আলোকরশ্মি ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে প্রবেশ করলে কোন দিকে সরে যায়?

Ans: আপতন রেখা থেকে দূরে সরে যায়।

  1. কখন উপচ্ছায়া গঠিত হয় না?

Ans: পূর্ণ ছায়া গঠিত হলে।

  1. বিচ্ছুরণ কে আবিষ্কার করেন?

Ans: আইজ্যাক নিউটন।

  1. আলোর বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক ঘটনার উদাহরণ দাও।

Ans: ইন্দ্রধনু।

  1. বায়ুমন্ডলের কোন স্তর অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে আমাদের বাঁচায়?

Ans: ওজোন স্তর।

  1. আপাতন কোণের মান ৩০ হলে প্রতিফলন কোণের মান কত?

Ans: ৩০°।

প্রশ্নমান: 2

  1. আলোর প্রতিফলন কাকে বলে?

Ans: আলোর রশ্মি কোনো প্রতিবন্ধকের উপর আপতিত হয়ে যখন নিজের মাধ্যমেই ফিরে আসে, তাকে আলোর প্রতিফলন বলে।

  1. নিয়মিত প্রতিফলন ও বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।

Ans:

  • নিয়মিত প্রতিফলন: সমান মসৃণ পৃষ্ঠে ঘটে, প্রতিফলিত রশ্মিগুলি সমান্তরাল থাকে।
  • বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন: অসমান পৃষ্ঠে ঘটে, প্রতিফলিত রশ্মিগুলি বিভিন্ন দিকে বিচ্ছুরিত হয়।
  1. আলোর প্রতিফলনের প্রথম সূত্রটি লেখো।

Ans: আপতন কোণ ও প্রতিফলন কোণ সর্বদা সমান হয়।

  1. আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে?

Ans: আলোর রশ্মি এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে প্রবেশ করে দিক পরিবর্তন করলে তাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।

  1. অ্যাম্বুলেন্স গাড়িতে AMBULANCE কথাটা উল্টে লেখা থাকে কেন?

Ans: যাতে সামনের গাড়ির চালক তার আয়নায় সঠিকভাবে (AMBULANCE) পড়তে পারে।

  1. সূর্যের আলোর মধ্যে থাকা সাতটি রঙের নাম লেখো।

Ans: বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল।

  1. অতিবেগুনি রশ্মির দুটি ক্ষতিকারক প্রভাব লেখো।

Ans:

  • চামড়ায় ক্যান্সার হতে পারে।
  • চোখের ক্ষতি করতে পারে।
  1. এক্স-রশ্মির একটি ব্যবহার ও একটি ক্ষতিকারক প্রভাব লেখো।

Ans:
ব্যবহার: চিকিৎসায় হাড়ের ভাঙা পরীক্ষা করা।
ক্ষতিকারক প্রভাব: অতিরিক্ত এক্স-রে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।

  1. অপসারী এবং অভিসারী আলোকরশ্মিগুচ্ছের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

Ans:

  • অপসারী রশ্মি: এক বিন্দু থেকে ছড়িয়ে পড়ে।
  • অভিসারী রশ্মি: বিভিন্ন দিক থেকে এক বিন্দুর দিকে আসে।
  1. স্বপ্রভ বস্তু কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

Ans: নিজে আলো উৎপন্ন করে এমন বস্তু। উদাহরণ: সূর্য।

  1. অপ্রভ বস্তু কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

Ans: আলো প্রতিফলন করে দৃশ্যমান বস্তু। উদাহরণ: চাঁদ।

  1. স্বচ্ছ মাধ্যম কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

Ans: যেসব মাধ্যমে আলো সহজেই চলে যেতে পারে। উদাহরণ: কাঁচ।

  1. অস্বচ্ছ মাধ্যম কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

Ans: যেসব মাধ্যমে আলো যেতে পারে না। উদাহরণ: কাঠের টুকরা।

  1. ঈষৎ স্বচ্ছ মাধ্যম কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

Ans: আংশিক আলো যেতে পারে এমন মাধ্যম। উদাহরণ: তেল মাখানো কাগজ।

  1. আলোক রশ্মিগুচ্ছ কাকে বলে? কত প্রকার কী কী?

Ans: আলোক রশ্মির সমষ্টিকে আলোক রশ্মিগুচ্ছ বলে।
তিন প্রকার:

  • অভিসারী রশ্মিগুচ্ছ
  • অপসারী রশ্মিগুচ্ছ
  • সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ।
  1. ছায়া ও উপচ্ছায়া কাকে বলে?

Ans:

  • ছায়া: আলো চলার পথে কোনো বাধা সৃষ্টি হলে তার পশ্চাতে অন্ধকার অঞ্চল সৃষ্টি হয়।
  • উপচ্ছায়া: আংশিক আলো পৌঁছে এমন কিছুটা অন্ধকার অংশ।
  1. বর্ণালি ও বিচ্ছুরণ কাকে বলে?

Ans:

  • বর্ণালি: আলোর সাতটি রংয়ের সমাহার।
  • বিচ্ছুরণ: সাদা আলো ভেঙে সাতটি রঙে বিভক্ত হওয়া।

প্রশ্নমান: 3

  1. আয়নায় গঠিত প্রতিবিম্বের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

Ans:

  • প্রতিবিম্ব উল্টানো হয় না (সামনের পেছন হয়)।
  • প্রতিবিম্বের আকার বস্তুর সমান হয়।
  • প্রতিবিম্ব আয়নার সমান দূরত্বে হয়।
  1. আলোর প্রতিফলনের একটি চিত্র অঙ্কন করে নিম্নলিখিত অংশগুলি চিহ্নিত করো:

Ans:

                          /

                         / আপতিত আলোকরশ্মি

                        /

                       /

         আপতন কোণ   /    

                   /     

—————-O—————-  প্রতিফলক (সমতল আয়না)

                 \      

      অভিলম্ব     \   

                   \  

                    \  প্রতিফলিত আলোকরশ্মি

                     \

         প্রতিফলন কোণ  \

 

O = আপতন বিন্দু

চিহ্নিত অংশগুলি:

  • আপতিত আলোকরশ্মি (Incident Ray) → আয়নার দিকে আসা আলো
  • প্রতিফলিত আলোকরশ্মি (Reflected Ray) → আয়না থেকে ফিরে যাওয়া আলো
  • আপতন বিন্দু (Point of Incidence) → যেখানে আপতিত রশ্মি আয়নায় পড়ে
  • অভিলম্ব (Normal) → আপতন বিন্দুতে আয়নার উপর ৯০° কোণে আঁকা সরলরেখা
  • আপতন কোণ (Angle of Incidence) → আপতিত রশ্মি ও অভিলম্বের মধ্যেকার কোণ
  • প্রতিফলন কোণ (Angle of Reflection) → প্রতিফলিত রশ্মি ও অভিলম্বের মধ্যেকার কোণ
  • প্রতিফলক (Reflector) → সমতল আয়না
  1. জলপূর্ণ বালতির তল কিছুটা উপরে উঠে আসে বলে মনে হয় কেন?

Ans: আলো যখন জল থেকে বাতাসে আসে, তখন প্রতিসরণের কারণে তার পথ পরিবর্তিত হয়। ফলে বালতির তল কিছুটা উপরের দিকে মনে হয়।

  1. সূচিছিদ্র ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য লেখো।

Ans:

  • ছবিটি উল্টানো হয়।
  • ছবির আকার আসল বস্তুর তুলনায় ছোট বা বড়ো হতে পারে।
  • কোনো লেন্স ছাড়া কাজ করে।
  • ছবিটি বাস্তব হয়।

Life Science – জীবন বিজ্ঞান

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:

    1. গাছের খাবার তৈরির প্রক্রিয়ায় পাওয়া যায়- (নাইট্রোজেন / অক্সিজেন / কার্বন ডাইঅক্সাইড)

Ans: কার্বন ডাইঅক্সাইড

  1. কান্ডের যে জায়গা থেকে শাখা বা পাতা বেরোয়, সেই জায়গাটি হল- (পর্বমধ্য / কক্ষ / পর্ব / বিটপ)

Ans: পর্ব

শূন্যস্থান পূরণ করো:

  1. _________________ পাতা পতঙ্গের দেহস্থিত নাইট্রোজেনঘঠিত উপাদান সংগ্রহ করে।

Ans: Nepenthes (নেপেনথেস)

  1. নিষেকের পর ফুলের ________________ অংশ ফলে পরিণত হয়।

Ans: ডিম্বাশয়

নীচের প্রশ্নগুলির এক কথায় উত্তর দাও:

  1. পরাগযোগের একটি সমস্যা লেখো।

Ans: পরাগযোগের একটি সমস্যা: একই গাছে ফুলের অভাবে পরাগযোগ ব্যর্থ হতে পারে।

  1. একটি গুচ্ছিত ও একটি যৌগিক ফলের উদাহরণ দাও।

Ans: একটি গুচ্ছিত ফলের উদাহরণ: জামরুল।

একটি যৌগিক ফলের উদাহরণ: আনারস।

  1. যকৃৎ থেকে ক্ষরিত তরলের নাম কী?

Ans: পিত্তরস।

  1. ভুট্টা ও মটর বীজের ভ্রূণের খাদ্য কোথায় জমা থাকে?

Ans: ভাণ্ডারী তন্তু (Cotyledon)।

  1. একটি পক্ষীপরাগী ফুলের উদাহরণ দাও।

Ans: কণকচাঁপা।

নীচের প্রশ্নগুলির অতি-সংক্ষিপ্ত দাও:

  1. মূলত্র কী? এর কাজ কী? যৌগিক পত্র বলতে কী বোঝায়? উদাহরণ দাও।

Ans: মূলত্র: মূল থেকে উদ্ভূত সূক্ষ্ম সুতার মতো গঠন যা জল ও খনিজ শোষণের কাজ করে।

কাজ: জল ও খনিজ লবণ মাটির গভীর থেকে শোষণ করে গাছের শরীরে পৌঁছে দেয়।

যৌগিক পত্র: এমন একটি পত্র যার পাতার ফলা একাধিক ক্ষুদ্র পত্রিকা নিয়ে গঠিত।

উদাহরণ: মটর।

  1. স্বপরাগযোগ ও ইতর পরাগযোগের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

Ans: স্বপরাগযোগ: একই গাছ বা একই ফুলের পুষ্পমঞ্জরী থেকে পরাগ রেণু গিয়ে একই গাছের ডিম্বাণুতে নিষেক ঘটায়।

ইতর পরাগযোগ: এক গাছের ফুল থেকে পরাগরেণু অন্য গাছের ফুলের ডিম্বাণুতে নিষেক ঘটায়।

Mathematics – গণিত

Geography – ভূগোল

(A) ঠিক উত্তর নির্বাচন করাে : (1×5=5)

  1. গ্রানাইট / ব্যাসল্ট / চুনাপাথর / মার্বেল শিলায় স্তর থাকে।

Ans: চুনাপাথর শিলায় স্তর থাকে।

  1. আফ্রিকার পূর্ব / পশ্চিম / উত্তর / দক্ষিণ দিকে সাহারা মরুভূমি অবস্থিত।

Ans: উত্তর দিকে সাহারা মরুভূমি অবস্থিত।

  1. কঙ্গো নদী আফ্রিকার পূর্ব / উত্তর / দক্ষিণ / পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছে।

Ans: কঙ্গো নদী আফ্রিকার পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছে।

  1. গ্রস্ত উপত্যকা ভঙ্গিল / স্তুপ / আগ্নেয় / ক্ষয়জাত পর্বতে দেখা যায়।

Ans: গ্রস্ত উপত্যকা ভঙ্গিল পর্বতে দেখা যায়।

  1. নদীর ক্ষয়ের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ হলাে – জলপ্রপাত/ প্লাবনভূমি / অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ / বদ্বীপ।

Ans: নদীর ক্ষয়ের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ হল — জলপ্রপাত

(B) এক কথায় উত্তর দাও : (1×5=5)

  1. আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম করাে।

Ans: আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম — কিলিমান্জারো।

  1. গ্রস্ত উপত্যকা আফ্রিকার কোন দিকে দেখা যায়?

Ans: গ্রস্ত উপত্যকা আফ্রিকার পূর্ব দিকে দেখা যায়।

  1. ভারতের একটি প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতের নাম লেখাে।

Ans: ভারতের একটি প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতের নাম — আরাবল্লী।

  1. শাখানদী সাধারণত নদীর কোন প্রবাহে দেখা যায় ?

Ans: শাখানদী সাধারণত নদীর উপপ্রবাহে দেখা যায়।

  1. মাটি সৃষ্টির একটি উপাদানের নাম লেখাে।

Ans: মাটি সৃষ্টির একটি উপাদানের নাম — জলবায়ু।

(C) অনধিক ৩০ শব্দে উত্তর দাও : (2×2=4)

  1. জলবিভাজিকা ক্ষয় হয়ে গেলে কী ঘটনা ঘটবে?

Ans: জলবিভাজিকা ক্ষয় হয়ে গেলে দুটি নদীর মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয় এবং একটি নদীর জল অন্য নদীতে চলে যেতে পারে।

  1. মালভূমিকে ‘টেবিল ল্যান্ড’ কেন বলা হয়?

Ans: মালভূমিকে ‘টেবিল ল্যান্ড’ বলা হয় কারণ এর শীর্ষভাগ সমতল এবং টেবিলের মতো চওড়া ও সমান।

(D) অনধিক ৫০ শব্দে উত্তর দাও : (3×2=6)

  1. সাহারা মরুভূমি আফ্রিকার দক্ষিণে অবস্থিত হলে কী অবস্থা হত?

Ans: সাহারা মরুভূমি যদি আফ্রিকার দক্ষিণে অবস্থিত হত, তবে দক্ষিণ আফ্রিকার আবহাওয়া অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে পড়ত এবং কৃষিকাজ ও বসবাসের সমস্যা সৃষ্টি হত।

  1. শিলা থেকে কীভাবে মাটি সৃষ্টি হয়?

Ans: শিলার উপর জল, বায়ু ও তাপমাত্রার প্রভাবে ধীরে ধীরে ভাঙন হয়। শিলা চূর্ণ হয়ে ছোট ছোট কণায় পরিণত হয় এবং পরে এগুলো জমে মাটি তৈরি করে।

(E) অনধিক ৮০ শব্দে উত্তর দাও : (5×1=5)

  1. নদী কীভাবে মানুষের জীবনে প্রভাব বিস্তার করে তা তােমার অঞ্চলের কোনাে নদীর উদাহরণ দিয়ে আলােচনা করাে।

Ans: নদী মানুষের জীবনযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি পানীয় জল সরবরাহ করে, কৃষির জন্য সেচের কাজ করে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাহায্য করে এবং মৎস্য চাষের সুযোগ দেয়। যেমন — আমাদের অঞ্চলের হুগলি নদী কৃষিকাজ, যোগাযোগ ও ব্যবসায়িক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নদী আমাদের অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

(A) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো: (5×1=5)

  1. নীলনদের বদ্বীপ অংশে- (নিরক্ষীয় / মৌসুমি / ভূমধ্যসাগরীয়) জলবায়ু দেখা যায়।

Ans: নীলনদের বদ্বীপ অংশে — ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু দেখা যায়।

  1. কঙ্গো নদী আফ্রিকার- (পূর্ব / উত্তর / দক্ষিণ / পশ্চিম) দিকে প্রবাহিত হয়েছে।

Ans: কঙ্গো নদী আফ্রিকার — পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছে।

  1. গ্রস্ত উপত্যকা দেখা যায়- (ভঙ্গিল পর্বতে / স্তূপ পর্বতে / আগ্নেয় পর্বতে / ক্ষয়জাত পৰ্বতে )।

Ans: গ্রস্ত উপত্যকা দেখা যায় — ভঙ্গিল পর্বতে

  1. পৃথিবীর বৃহত্তম বাঁধ হলো- আটাবারা বাঁধ / উচ্চ আসোয়ান বাঁধ / সেনার বাঁধ।

Ans: পৃথিবীর বৃহত্তম বাঁধ হলো — উচ্চ আসোয়ান বাঁধ

  1. (গ্রানাইট / ব্যাসল্ট / চুনাপাথর / মার্বেল) শিলায় স্তর থাকে।

Ans: স্তর থাকে — চুনাপাথর শিলায়।

(B) শূন্যস্থান পূরণ করো : (2×1=2)

  1. এশিয়া থেকে আফ্রিকাকে বিচ্ছিন্ন করেছে __________ সাগর।

Ans: এশিয়া থেকে আফ্রিকাকে বিচ্ছিন্ন করেছে — লাল সাগর

  1. ব্যাসল্ট শিলা দেখা যায় ভারতের __________ অঞ্চলে।

Ans: ব্যাসল্ট শিলা দেখা যায় ভারতের — দাক্ষিণাত্য (ডেকান মালভূমি) অঞ্চলে।

(C) এক কথায় উত্তর দাও : (3×1=3)

  1. মিশরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজধানী কোনটি?

Ans: কায়রো।

  1. মাটি সৃষ্টির একটি উপাদানের নাম লেখো।

Ans: জলবায়ু।

  1. ভারতের একটি প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতের নাম লেখো।

Ans: আরাবল্লী।

(D) অনধিক দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও (যে-কোনো দুটি) : (2×2=4)

  1. মালভূমিকে টেবিল ল্যান্ড বলা হয় কেন?

Ans: মালভূমির ওপরভাগ সমতল ও বিস্তৃত, ঠিক টেবিলের মতো। তাই একে টেবিল ল্যান্ড বলা হয়।

  1. লাভাগঠিত মালভূমি কাকে বলে?

Ans: আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে লাভা ছড়িয়ে পড়ে ও ঠান্ডা হয়ে মালভূমি গঠন করে। একে লাভাগঠিত মালভূমি বলে।

(E) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (অনধিক ছ-টি বাক্যে) : (3×2=6)

  1. সাহারার জলবায়ু কিভাবে সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে?

Ans: সাহারায় অত্যন্ত শুষ্ক ও গরম জলবায়ু বিরাজ করে। ফলে কৃষিকাজ কঠিন, জল সংকট প্রবল এবং যাযাবর জীবনধারা দেখা যায়। মানুষ মরুদ্যানের আশেপাশে বসতি স্থাপন করে।

  1. জলপ্রপাত কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

Ans: নদীর জল কোনো খাড়া বা উঁচু স্থানে হঠাৎ নিচে পড়লে তাকে জলপ্রপাত বলে। যেমন — জগনাথ জলপ্রপাত।

(F) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও: (অনধিক দশটি বাক্যে) : (5×1=5)

  1. অশ্ব আকৃতি হ্রদ বলতে কী বোঝো?

Ans: নদী যখন গতিপথ পরিবর্তন করে এবং বাঁকা হয়ে ছিন্ন হয়, তখন নদীর পুরাতন অংশটি আলাদা হয়ে পড়ে এবং ঘোড়ার খুরের মতো দেখতে একটি হ্রদ তৈরি হয়, একে অশ্ব আকৃতি হ্রদ বলে।

  1. নদীর ক্ষয়ের ফলে গঠিত যে-কোনো দুটি ভূমিরূপ আলোচনা করো।

Ans: নদীর ক্ষয়ের ফলে জলপ্রপাত এবং ভাঙ্গন তট গঠিত হয়। জলপ্রপাত নদীর দ্রুতগতিতে নিচে পড়ার ফলে তৈরি হয়। ভাঙ্গন তট নদীর গতিপথের পাশে ক্ষয়ের ফলে সৃষ্টি হয়।

 

শিলা ও মাটি :

  1. দুটি রূপান্তরিত শিলার উদাহরণ দাও।

Ans: মার্বেল (চুনাপাথর থেকে), নীস (গ্রানাইট থেকে)।

  1. পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য ও দুটি ব্যবহার লেখো।

Ans: বৈশিষ্ট্য: স্তরযুক্ত, নরম, বিভিন্ন কণার সমাহারে গঠিত।

ব্যবহার: নির্মাণকাজে এবং কৃষির জন্য উর্বর মাটির উৎস।

  1. শিলা কাকে বলে? শিলা কয় প্রকার ও কি কি?

Ans: ভূত্বকের কঠিন আবরণকে শিলা বলে।

শিলা তিন প্রকার: আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা, রূপান্তরিত শিলা।

  1. রূপান্তরিত শিলা কাকে বলে?

Ans: তাপ, চাপ ও রাসায়নিক পরিবর্তনে মূল শিলার গঠন ও প্রকৃতি পরিবর্তিত হলে তাকে রূপান্তরিত শিলা বলে।

  1. মাটি সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

Ans: নিয়ন্ত্রকগুলি: শিলার প্রকৃতি, জলবায়ু, উদ্ভিদ ও প্রাণীজীব, ভূমিরূপ এবং সময়।

  1. পাললিক শিলা কিভাবে তৈরী হয়?

Ans: নদী, বায়ু বা হিমবাহ দ্বারা পরিবাহিত কণাগুলি জমে স্তরিত হয়ে পাললিক শিলা তৈরি হয়।

  1. আগ্নেয় ও পাললিক শিলার দুটি প্রধান পার্থক্য লেখো।

Ans: আগ্নেয় শিলা: লাভা থেকে তৈরি; স্তরহীন।
পাললিক শিলা: কণার স্তর জমে তৈরি; স্তরযুক্ত।

ভূমিরূপ : 

  1. মানবজীবনে সমভূমির প্রভাব কেমন আলোচনা করো।

Ans: সমভূমি কৃষি, বসতি, শিল্প ও পরিবহনের জন্য উপযোগী ভূমিরূপ। সভ্যতার বিকাশে সমভূমির ভূমিকা অপরিসীম।

  1. পর্বতগ্রন্থি ও পর্বতশ্রেণীর মধ্যে প্রধান পার্থক্য কী?

Ans: পর্বতগ্রন্থি: বহু পর্বতশ্রেণীর সমষ্টি (যেমন হিমালয়)।

পর্বতশ্রেণী: সারিবদ্ধভাবে অবস্থিত একাধিক পর্বতচূড়া (যেমন ধৌলাধার পর্বতশ্রেণী)।

  1. হামাদ কাকে বলে?

Ans: সাহারা মরুভূমির পাথুরে বা শিলাময় অঞ্চলকে হামাদ বলে।

  1. যে কোনো তিন ধরণের সমভূমির সংজ্ঞা ও উদাহরণ দাও।

Ans: নদী সমভূমি: নদীর গঠিত সমভূমি (উদা: গঙ্গা সমভূমি)।

উপকূলীয় সমভূমি: সমুদ্রতটের কাছাকাছি সমভূমি (উদা: পূর্ব উপকূলীয় সমভূমি)।
হিমবাহ সমভূমি: হিমবাহের দ্বারা গঠিত সমভূমি (উদা: ইউরোপের কিছু অঞ্চল)।

  1. উৎপত্তি অনুসারে মালভূমির শ্রেণী বিভাগ করে পর্বত বেষ্ঠিত মালভূমির উৎপত্তি আলোচনা করো।

Ans: মালভূমি উৎপত্তি অনুসারে: আগ্নেয়, ভঙ্গিল ও ক্ষয়জাত।

পর্বতবেষ্টিত মালভূমি পার্শ্ববর্তী পর্বতগুলির দ্বারা ঘেরা, সাধারণত ভঙ্গনের মাধ্যমে বা আগ্নেয় প্রক্রিয়ায় গঠিত হয় (যেমন — তিব্বত মালভূমি)।

  1. পর্বত, মালভুমি ও সমভূমির মধ্যে তুলনা করো।

Ans: পর্বত: উচ্চতম ভূমিরূপ, ঢালু খাড়া।

মালভূমি: মাঝারি উচ্চতা, উপরিভাগ সমান।

সমভূমি: সর্বনিম্ন উচ্চতা, সমান ভূমি।

নদী :

  1. উচ্চপার্বত্য অঞ্চলে নদী ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত দুটি ভূমিরূপ সচিত্র বর্ণনা করো।

Ans: গিরিখাত এবং জলপ্রপাত। (গিরিখাত: সংকীর্ণ ও গভীর উপত্যকা; জলপ্রপাত: জল হঠাৎ নিচে পড়ে)।

  1. নদীর মধ্যপ্রবাহের ভূমিরূপগুলি আলোচনা করো।

Ans: বাঁক, অশ্বাকৃতি হ্রদ, প্লাবনভূমি ইত্যাদি মধ্যপ্রবাহের বৈশিষ্ট্য।

  1. নদী কোন গতিতে কিভাবে গিরিখাতের সৃষ্টি করে?

Ans: নদীর দ্রুত প্রবাহ উপত্যকাকে গভীর করে কেটে গিরিখাত তৈরি করে।

  1. বহুমুখী নদী পরিকল্পনা কাকে বলে?

Ans: নদীকে বিভিন্ন কাজে (সেচ, জলবিদ্যুৎ, মৎস্যচাষ ইত্যাদি) ব্যবহারের জন্য পরিকল্পনাকে বহুমুখী নদী পরিকল্পনা বলে।

  1. জলবিভাজিকা কাকে বলে?

Ans: দুটি নদীর জলরাশি পৃথক করে যে উচ্চভূমি দাঁড়ায়, তাকে জলবিভাজিকা বলে।

  1. আন্তর্জাতিক নদী কাকে বলে?

Ans: যে নদী একাধিক দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, তাকে আন্তর্জাতিক নদী বলে (যেমন — গঙ্গা)।

  1. নদীর উচ্চপ্রবাহের কাজ ও সৃষ্টি হওয়া প্রধান ভূমিরূপগুলি আলোচনা করো।

Ans: উচ্চপ্রবাহে নদী প্রধানত ক্ষয় কাজ করে। এতে গিরিখাত, জলপ্রপাত, খাড়া উপত্যকা ইত্যাদি গঠন হয়।

আফ্রিকা মহাদেশ :

  1. মিশরকে নীলনদের দান বলা হয় কেন?

Ans: নীলনদ মিশরে জল সরবরাহ করে, কৃষিক্ষেত্র উর্বর করে এবং জীবনধারাকে টিকিয়ে রাখে।

  1. আফ্রিকা মহাদেশকে ‘অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ’ বলা হয় কেন?

Ans: ভূগোলগত অজানা ও অনাবিষ্কৃত থাকার কারণে প্রাচীনকালে আফ্রিকাকে ‘অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ’ বলা হত।

  1. আফ্রিকা মহাদেশের জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদের বৈচিত্র্যের তিনটি কারণ লেখো।

Ans: বিস্তৃত ভৌগোলিক বিস্তার, উচ্চতার তারতম্য এবং সামুদ্রিক স্রোতের প্রভাব।

  1. আফ্রিকা মহাদেশের জলবায়ু সম্পর্কে লেখো।

Ans: আফ্রিকায় নিরক্ষীয়, উষ্ণ মরু, ভূমধ্যসাগরীয় ও সাভান্না জলবায়ু বিদ্যমান।

  1. সাহারা মরুভূমির ভূমিরূপ ও জলবায়ুর বিবরণ দাও।

Ans: সাহারার ভূমিরূপে বালিয়াড়ি, হামাদ ও গিরি গঠিত হয়। জলবায়ু অত্যন্ত গরম, শুষ্ক ও বৃষ্টিহীন।

History – ইতিহাস

সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :

  1. পানিপথের প্রথম যুদ্ধ হয়েছিল— (1451 খ্রিস্টাব্দে/1516 খ্রিস্টাব্দে /1526 খ্রিস্টাব্দে /1626 খ্রিস্টাব্দে)।

Ans: 1526 খ্রিস্টাব্দে।

  1. জাহাঙ্গিরের আমলে কোন্ শিখ গুরুকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়-(জয়সিংহ / অর্জুন / হিমু /কোনোটিই নয়)।

Ans: গুরু অর্জুন।

  1. দিল্লি শহর গড়ে ওঠার ভিত্তি ছিল— (গঙ্গা নদী /যমুনা নদী / ব্রহ্মপুত্র নদ / সিন্ধু নদ)।

Ans: যমুনা নদী।

  1. কিতাব-আল-রিহলা-এর রচয়িতা হলেন (মিনহাস- ই-সিরাজ / মোহম্মদ-বিন-তুঘলক / ইবন বতুত / বদাউনি)।

Ans: ইবন বতুতা।

  1. খলজি বিপ্লব ঘটেছিল— (1240 খ্রিস্টাব্দে /1280 খ্রিস্টাব্দে /1290 খ্রিস্টাব্দে / 1296 খ্রিস্টাব্দে)।

Ans: ১২৯০ খ্রিস্টাব্দে।

নীচের প্রশ্নগুলির এককথায় উত্তর দাও :

  1. নিজামউদ্দিন আউলিয়া কে ছিলেন?

Ans: সুফি সাধক।

  1. হলদিঘাটের যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল?

Ans: মহারানা প্রতাপ ও আকবরের মধ্যে।

  1. ‘রুমি’ কৌশল কে ব্যবহার করেছিলেন?

Ans: বাহলুল লোধি।

  1. আলাউদ্দিন খলজির সেনাপতির নাম কী?

Ans: মালিক কাফুর।

  1. ভাস্কো-দা-গামা কে ছিলেন?

Ans: পর্তুগিজ নাবিক।

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে-কোনো দুটি):

  1. মোগল আমলে মনসবদারদের কীভাবে বেতন দেওয়া হত ?

Ans: মনসবদারদের বেতন নগদ অর্থের পরিবর্তে ‘জাগির’ বা কর আদায়ের অধিকার প্রদান করে দেওয়া হত। এ ব্যবস্থাকে ‘জাগিরদারি প্রথা’ বলা হত।

  1. ‘পাট্টা’ ও ‘কবুলিয়ত’ কী?

Ans: পাট্টা ছিল চাষির নামে জমির মালিকানার লিখিত দলিল। কবুলিয়ত ছিল চাষির কাছ থেকে নেওয়া চুক্তিপত্র, যেখানে কর প্রদানের শর্তাবলী লেখা থাকত।

  1. সুলতান ইলতুতমিসের সামনে প্রধান যে সমস্যাগুলি ছিল, তার দুটি উল্লেখ করো।

Ans: সামন্ত প্রধানদের বিদ্রোহ দমন।

মঙ্গোল আক্রমণের বিপদ সামলানো।

টীকা লেখো (যে-কোনো দুটি):

  1. ইকতা ব্যবস্থা

Ans: দিল্লি সালতানাতের শাসনকালে রাজস্ব আদায় ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য রাজ্যকে ভাগ করা হত এবং ওই অঞ্চলের শাসনক্ষমতা ‘ইকতাদার’দের হাতে তুলে দেওয়া হত। ইকতাদাররা কর আদায় করতেন এবং পরিবর্তে রাজকীয় সেনাবাহিনীতে সৈন্য সরবরাহ করতেন।

  1. বারো ভূঁইয়া

Ans: বাংলায় দিল্লির সালতানাতের নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়ে পড়লে বিভিন্ন স্বাধীন ভূস্বামী (বারোজন প্রধান) একত্রিত হয়ে ‘বারো ভূঁইয়া’ নামে পরিচিত হন। তারা নিজেদের স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখার জন্য সংগ্রাম করেন।

  1. দীন-ই-ইলাহি

Ans: সম্রাট আকবর একটি নতুন ধর্মীয় সম্প্রদায় গঠন করেছিলেন, যার নাম ছিল ‘দীন-ই-ইলাহি’। এই ধর্মের মূল উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু-মুসলিম সহ সমস্ত ধর্মের মধ্যে সামঞ্জস্য স্থাপন করা।

নীচের যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর লেখো:

  1. আলাউদ্দিন খলজির বাজারদর নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে যা জান লেখো।

Ans: আলাউদ্দিন খলজি খাদ্যশস্য, কাপড়, ঘোড়া এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি বাজারে দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিতেন এবং বাজার পরিদর্শনের জন্য আলাদা দপ্তরও তৈরি করেছিলেন। ফলে দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রিত থাকত এবং সৈন্যবাহিনীর জন্য খাদ্য সরবরাহ সহজ হত।

  1. মধ্যযুগে ভারতে দেশেরমধ্যেকার বাণিজ্যের ধরনগুলি কেমন ছিল, তা লেখো।

Ans: মধ্যযুগে ভারতে স্থল ও জলপথ উভয় মাধ্যমেই বাণিজ্য চলত। নানান ধরণের পণ্য যেমন মসলিন, রেশম, মশলা, হাতিয়ার, রত্ন ইত্যাদি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে আদানপ্রদান হত। বিভিন্ন মেলা ও বন্দর শহর ছিল বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু।

  1. মোগল সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আকবরের কৃতিত্ব আলোচনা করো।

Ans: আকবর প্রশাসনিক দক্ষতা, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, সুব্যবস্থাপিত সামরিক ও রাজস্ব ব্যবস্থা গড়ে তুলে মোগল সাম্রাজ্যকে সুদৃঢ় ভিত্তি দেন। তিনি মনসবদারি ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন, সুদৃঢ় কেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলেন এবং জাতিগত-ধর্মীয় বিভাজন কমিয়ে সমস্ত জনগোষ্ঠীকে সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। তাই মোগল সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাকে গণ্য করা হয়।

 

ঠিক উত্তরটি বেছে নাও : 

  1. উত্তরসূরিদের মধ্যে অল ভাগ করার তৈমুরীয় নীতি ভেঙে ছিলেন—

(A) বাবর

(B) হুমায়ুন

(C) শের শাহ

(D) আকবর

Ans: (D) আকবর

  1. বারাে ভূঁইয়াদের অন্যতম ছিলেন—

(A) মালিক অম্বর

(B) ইশা খান

(C) তাহমস্প

(D) আদিল শাহ

Ans: (B) ইশা খান

  1. দিল্লি শহর গড়ে ওঠার ভিত্তি ছিল—

(A) গঙ্গানদী

(B) যমুনা নদী

(C) ব্রক্ষ্মপুত্র নদ

(D) সিন্ধুনদ

Ans: (B) যমুনা নদী

  1. অল-রিহলা বিবরণটি লিখেছিলেন—

(A) মিনহাজ-ইসিরাজ

(B) মালিক কাফুর

(C) ইবন বতুতা

(D) আব্দুর রাজ্জাক

Ans: (C) ইবন বতুতা

  1. শাসক হয়েও সুলতান উপাধি নেননি—

(A) বহলােল লােদি

(B) রাজিয়া

(C) খিজির খান

(D)ইলতুৎমিশ

Ans: (C) খিজির খান

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে : 

  1. রাঠোর যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল?

Ans: রাঠোর যুদ্ধ হয়েছিল মুঘল সম্রাট আকবর ও রাজপুত রাঠোরদের মধ্যে।

  1. বেমানান শব্দটি খুঁজে বের করাে : কিলারাই পিথােরা, আগ্রা, সিরি, কিলােঘড়ি।

Ans: আগ্রা (আগ্রা দিল্লির অন্তর্ভুক্ত নয়; বাকি সব দিল্লির অংশ ছিল)।

  1. শূন্যস্থান পূরণ করাে :খলিফাইলতুৎমিশকে ——————– পাঠিয়ে সুলতান হিসেবে কর্তৃত্বের অনুমােদন দিয়েছিলেন।

Ans: খলিফা ইলতুতমিশকে ‘খিলাত’ পাঠিয়ে সুলতান হিসেবে কর্তৃত্বের অনুমোদন দিয়েছিলেন।

  1. দু-জন মামেলুক সুলতানের নাম লেখাে।

Ans: ইলতুতমিশ ও বালবান।

  1. ঠিক না ভুল লেখাে :মুঘলরা চট্টগ্রাম বন্দর দখল করে ফরাসিদের তাড়িয়ে দিয়েছিল।

Ans: ভুল।

নীচের যেকোনাে দুটি প্রশ্নের উত্তর লেখাে (দু-তিনটি বাক্যের মধ্যে) : 

  1. মুঘলরা নিজেদের মুঘল বলে মনে করতােনা কেন?

Ans: মুঘলরা মূলত তুর্কি-মঙ্গোল বংশোদ্ভূত হলেও ভারতীয় সভ্যতার প্রভাবে তারা নিজেদের আলাদা করে চিহ্নিত করত না। ভারতীয় সমাজে নিজেদের স্থায়ী বাসিন্দা বলে মনে করত।

  1. বাদশাহ শাহ জাহান কেন দিল্লি শহরের ধ্বংসাবশেষে নিজের রাজধানী গড়ে তােলেন নি?

Ans: দিল্লি শহর যুদ্ধ ও ধ্বংসের ফলে বিপর্যস্ত হয়েছিল। তাই শাহজাহান নতুন করে পরিকল্পিত ও সুন্দর শহর ‘শাহজাহানাবাদ’ তৈরি করেন।

  1. দিল্লি সুলতানিতে উলেমার ভূমিকা কী সবসময়ে একই ছিল বলে মনে হয়?

Ans: না, উলেমাদের ভূমিকা সবসময় একই ছিল না। কখনও তারা প্রশাসনের সহযোগী হয়েছেন, আবার কখনও শাসকদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতাও করেছেন।

নীচের যেকোনাে দুটি প্রশ্নের উত্তর লেখাে (চার-পাঁচটি বাক্যের মধ্যে) :

  1. শাহজাহানাবাদের নাগরিক বসতির প্রকৃতি বিশ্লেষণ করাে।

Ans: শাহজাহানাবাদ পরিকল্পিত নগরী ছিল। এখানে রাজপ্রাসাদ, মসজিদ, বাজার ও আবাসিক অঞ্চল সুন্দরভাবে আলাদা করা হয়েছিল। ধনী ও অভিজাত শ্রেণির জন্য প্রশস্ত বাড়ি এবং সাধারণ মানুষের জন্য ছোট ঘর ছিল। শহরের ভেতরে শক্তিশালী প্রাচীর ও দরজা নির্মিত হয়েছিল।

  1. দিল্লি সুলতানির প্রশাসনিক কাঠামােয় ইকতা ব্যবস্থার গুরুত্ব বিশ্লেষণ করাে।

Ans: ইকতা ব্যবস্থা ছিল রাজস্ব আদায়ের প্রধান মাধ্যম। সুলতান ইকতাদারদের নির্দিষ্ট অঞ্চলের রাজস্ব সংগ্রহের দায়িত্ব দিতেন। ইকতাদাররা প্রাপ্ত রাজস্বের অংশ সেনাবাহিনী রক্ষায় ব্যয় করত এবং প্রশাসন পরিচালনা করত। ফলে শাসনব্যবস্থা কার্যকরী ও সংগঠিত ছিল।

  1. টীকা লেখাে :জাবতি ব্যবস্থা ।

Ans: জাবতি ব্যবস্থা মুঘল আমলে রাজস্ব সংগ্রহের একটি পদ্ধতি ছিল। জমির পরিমাপ ও উৎপাদিত ফসলের ভিত্তিতে কর ধার্য করা হত। এই ব্যবস্থায় চাষিদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব সংগ্রহ করা হত। এই পদ্ধতির প্রবর্তক ছিলেন সম্রাট আকবরের রাজস্বমন্ত্রী টোডরমল।

নীচের যেকোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর লেখাে (আট-দশটি বাক্যের মধ্যে) : 

  1. মুঘল শাসনের সঙ্গে রাজপুতদের যােগাযােগের চরিত্র কী ক্রমে বদলে গিয়েছিল বলে তােমার মনে হয়? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করে।

Ans: প্রথম দিকে রাজপুতরা মুঘল শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। কিন্তু আকবর কূটনৈতিক নীতির মাধ্যমে রাজপুতদের সঙ্গে বৈবাহিক ও সামরিক মিত্রতা স্থাপন করেন। রাজপুতরা মুঘল প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদ লাভ করে। মুঘল ও রাজপুত সম্পর্ক সহাবস্থানের রূপ নেয়। পরবর্তী মুঘল শাসকরাও রাজপুতদের সহযোগিতা নিয়েছিলেন। তবে ঔরঙ্গজেবের সময় এই সম্পর্ক পুনরায় অবনতি ঘটে। ফলে প্রথমে বিরোধীতা, পরে মিত্রতা ও শেষে পুনরায় দ্বন্দ্ব দেখা যায়।

  1. সুলতানি আমলে তুমি দিল্লি শহরে বেড়াতে গিয়েছ। তােমার বেড়াবার অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে একটি চিঠি লেখাে।

Ans: প্রিয় বন্ধু,

শুভেচ্ছা নিও।

সম্প্রতি আমি সুলতানি আমলের দিল্লি শহর ঘুরে এলাম। শহরের প্রবেশদ্বার ছিল বিশাল আকৃতির। কুতুব মিনার, কিলা ঘড়ি, সিরি কিল্লা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। বাজারে নানা ধরনের দ্রব্য ও সুগন্ধি পাওয়া যায়। শহরের বিভিন্ন জায়গায় মসজিদ ও দরগা রয়েছে। বিশেষ করে, নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগা খুব জনপ্রিয়। দিল্লির স্থাপত্যশৈলী সত্যিই মনোমুগ্ধকর। তোমাকেও একদিন এখানে বেড়াতে আসতে বলছি।

ভাল থেকো।

তোমার বন্ধু,

[তোমার নাম]

  1. তুমি কী দিল্লি সুলতানিকে একটি কেন্দ্রীভূত শাসনব্যবস্থা বলে মনে করাে? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করাে।

Ans: হ্যাঁ, দিল্লি সুলতানি ছিল একটি কেন্দ্রীভূত শাসনব্যবস্থা। সুলতান সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। রাজ্যের সমস্ত প্রশাসনিক, বিচারিক ও সামরিক কার্যকলাপ তার নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। ইকতাদাররা সুলতানের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন এবং সরাসরি তার প্রতি দায়বদ্ধ থাকতেন। স্থানীয় শাসকরা স্বাধীন ছিল না, বরং কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী চলতেন। ফলে দিল্লি সুলতানি একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীভূত শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল।

 

প্রশ্নমান: 1 :

  1. বক্তিয়ার খলজি কোথাকার শাসক ছিলেন?

Ans: বাংলা (লখনৌতি)।

  1. ইসলাম জগতের প্রদান শাসকের উপাধি কি ছিল?

Ans: খলিফা।

  1. ভারতে প্রথম খলিফার অনুমোদন লাভ করেন কে?

Ans: ইলতুতমিশ।

  1. ইলতুতমিসের সার্থক উত্তরাধিকারী কে ছিলেন?

Ans: সুলতানা রাজিয়া।

  1. বন্দেগান-ই-চিহেলগানির সদস্য কে ছিলেন?

Ans: ইলতুতমিশের অনুগত দাস সামন্তরা।

  1. চল্লিশ চক্র তৈরী হয় কার সময়?

Ans: ইলতুতমিশের সময়।

  1. তুঘলক বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?

Ans: গিয়াসউদ্দিন তুঘলক।

  1. পাগলা রাজা কাকে বলা হয়?

Ans: মোহাম্মদ বিন তুঘলককে।

  1. মোহাম্মদ বিন তুঘলকের এর দ্বিতীয় রাজধানী দেবনগর এর নতুন নাম কি হয়?

Ans: দৌলতাবাদ।

  1. কিতাব-উল-রিহলা গ্রন্থের রচয়িতা কে?

Ans: ইবন বতুতা।

  1. খলজি বিপ্লব কবে ঘটেছিল?

Ans: 1290 খ্রিস্টাব্দে।

  1. পানিপথের প্রথম যুদ্ধ কবে হয়েছিল?

Ans: 1526 খ্রিস্টাব্দে।

  1. জাহাঙ্গিরের আমলে কোন শিখ গুরুকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়?

Ans: গুরু অর্জুন দেব।

  1. কোন নদী দিল্লি শহর গড়ে ওঠার ভিত্তি ছিল?

Ans: যমুনা নদী।

  1. আলাউদ্দিন খলজির সেনাপতির নাম কী?

Ans: মালিক কাফুর।

  1. ভাস্কো-দা-গামা কে ছিলেন?

Ans: একজন পর্তুগিজ নাবিক ও আবিষ্কারক।

  1. নিজামউদ্দিন আউলিয়া কে ছিলেন?

Ans: একজন খ্যাতনামা সুফি সাধক।

  1. হলদিঘাটের যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল?

Ans: আকবর ও মহারানা প্রতাপের মধ্যে।

  1. ‘রুমি’ কৌশল কে ব্যবহার করেছিলেন?

Ans: ইলতুতমিশ।

  1. মোহাম্মদ ঘুরী মারা গেলে তার জয় করা অঞ্চলগুলি কাদের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়?

Ans: তার সেনাপতিদের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়।

প্রশ্নমান: 2 / 3 :

  1. সুলতান ইলতুতমিসের সামনে প্রধান যে সমস্যাগুলি ছিল, তার দুটি উল্লেখ করো।

Ans: সামন্তদের বিদ্রোহ দমন করা।

মঙ্গোল আক্রমণ প্রতিরোধ করা।

  1. মোঘল আমলে মনসবদারদের কীভাবে বেতন দেওয়া হতো?

Ans: মনসবদারদের নগদ অর্থ ও জমি (জাগির) আকারে বেতন প্রদান করা হতো।

  1. টীকা লেখো: বারো ভুঁইয়া, দীন-ই-ইলাহি, ইকতা ব্যবস্থা

Ans: বারো ভুঁইয়া: বাংলার বারোজন শক্তিশালী জমিদারের একটি গোষ্ঠী যারা স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতেন।

দীন-ই-ইলাহি: আকবরের প্রচলিত একটি ধর্মীয় মত, যা বিভিন্ন ধর্মের মিলনে গঠিত হয়েছিল।

ইকতা ব্যবস্থা: দিল্লি সুলতানির রাজস্ব সংগ্রহ ও সামরিক খরচের জন্য একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা।

  1. সিজদা ও পাইবস বলতে কী বোঝো?

Ans: সিজদা ছিল সুলতানের প্রতি ভক্তি প্রকাশে প্রণাম করা, আর পাইবস ছিল সুলতানের পায়ে চুম্বন করা।

  1. খলজী বিপ্লব কী?

Ans: 1290 সালে মামলুক শাসকদের পতন ঘটিয়ে খলজি বংশের উত্থানকেই খলজি বিপ্লব বলে।

  1. দাগ ও হুলিয়া কী?

Ans: সেনাদের পরিচয়ের জন্য ঘোড়ায় দাগ কাটা (দাগ) এবং সৈনিকদের চেহারার বর্ণনা রেকর্ড রাখা (হুলিয়া)।

  1. ইকতা ব্যবস্থা কী?

Ans: শাসকের দেওয়া নির্দিষ্ট অঞ্চলের রাজস্ব থেকে সৈন্য ও প্রশাসনের খরচ চালানোর ব্যবস্থা।

  1. হুন্ডি কী?

Ans: এক ধরনের আর্থিক দলিল বা বিনিময়নামা, যা মুদ্রা লেনদেনে ব্যবহৃত হতো।

  1. খানুয়ার যুদ্ধকে ধর্মীয় যুদ্ধ বলা যায় না কেন?

Ans: কারণ এটি মুলত ক্ষমতা দখলের জন্য আকবর ও রানা প্রতাপের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল, ধর্মীয় কারণে নয়।

  1. দিল্লির সুলতানদের কেন খলিফার অনুমোদন দরকার হতো?

Ans: নিজেদের শাসনকে বৈধতা ও ধর্মীয় স্বীকৃতি দিতে।

  1. শাহজাহানাবাদের নাগরিকদের বসতি কেমন ছিল?

Ans: নিয়মিত পরিকল্পনামাফিক গড়ে ওঠা শহরে ধনী ও দরিদ্রের জন্য আলাদা আবাসন ব্যবস্থা ছিল। দুর্গ, বাজার ও মসজিদ কেন্দ্র করে বসতি তৈরি হয়েছিল।

  1. পাট্টা ও কবুলিয়ত কী?

Ans: পাট্টা ছিল জমির মালিকের কাছে রাজস্ব নির্ধারণের লিখিত দলিল, কবুলিয়ত ছিল চাষির রাজস্ব প্রদানের অঙ্গীকারপত্র।

প্রশ্নমান: 4 / 5 :

  1. মোঘল সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আকবরের কৃতিত্ব আলোচনা করো।

Ans: আকবর মুঘল সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক ভিত্তি সুদৃঢ় করেন। তিনি প্রশাসনিক সংস্কার, দীন-ই-ইলাহি ধর্মমত প্রচলন, রাজপুত নীতি গ্রহণ, সাম্রাজ্যের বিস্তার এবং মনসবদারি প্রথা চালু করেন। তার শাসনে মুঘল সাম্রাজ্য সুসংবদ্ধ ও শক্তিশালী হয়।

  1. মধ্যযুগে ভারতে দেশের মধ্যেকার বাণিজ্যের ধরণগুলি কেমন ছিল, তা লেখো।

Ans: মধ্যযুগে ভারতের শহরাঞ্চলে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বিস্তৃত ছিল। পণ্যদ্রব্যের মধ্যে মসলিন, রেশম, মশলা, ধাতু ইত্যাদির বাণিজ্য হতো। নদীপথ ও স্থলপথে বাণিজ্য চলত। শহর ও মফস্বলের বাজার ছিল বাণিজ্যের মূল কেন্দ্র।

  1. শেরশাহের সংস্কারগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো।

Ans: শেরশাহ সুদৃঢ় প্রশাসন, মুদ্রানীতি সংস্কার, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা (গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড নির্মাণ) এবং সুব্যবস্থিত রাজস্ব প্রথা প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি ডাকব্যবস্থা চালু করেন এবং মুদ্রা সংস্কার করেন।

  1. আলাউদ্দিন খলজির সময় দিল্লির বাজারদর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

Ans: আলাউদ্দিন খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নির্দিষ্ট করে দেন। বাজারে মনিটরিং অফিসার (শাহনা-ই-মণ্ডি) নিয়োগ করা হয়। যাতে দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সৈন্যরা সহজে জীবনযাপন করতে পারে।

  1. সুলতানি আমলে দিল্লির জল সংরক্ষণ ও জল সরবরাহ ব্যবস্থা কি রকম ছিল?

Ans: বিভিন্ন জলাধার, কূপ ও ট্যাঙ্ক নির্মাণ করা হয়েছিল। খাল কেটে নদী থেকে জল আনা হতো। সাধারণ জনগণের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

Loading

Leave a Reply

error: