Skip to content

Five Kingdoms Of Classification জীবের পাঁচ রাজ্য শ্রেণীবিন্যাস

Source: Internet
Video source & credit: সমগ্র শিক্ষা মিসন (পূর্ব মেদিনীপুর)

super kingdom

Five Kingdoms Of Classification
জীবজগতের পাঁচটি রাজ্য ও তাদের বৈশিষ্ট্য

শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্য হলো প্রতিটি জীবের দল ও উপদল সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণ করা। জীবজগতের ভিন্নতার দিকে আলোকপাত করে আহরিত জ্ঞানকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা,জীবজগতের পাঁচটি রাজ্যের পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানকে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা এবং প্রতিটি জীবকে শনাক্ত করে তার নামকরণের ব্যবস্থা করা, সর্বোপরি জীবজগত এবং মানবকল্যাণে প্রয়োজনীয় জীবগুলোকে শনাক্ত করে তাদের সংরক্ষণে সচেতন হওয়া।

ক্যারোলাস লিনিয়াস এর সময়কাল থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত জীবজগতকে উদ্ভিদজগৎ এবং প্রাণীজগৎ হিসেবে বিবেচনা করে দুটি রাজ্যে(Kingdom) শ্রেণীবিন্যাস করা হতো। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় বর্তমানে কোষের DNA এবং RNA- এর প্রকারভেদ, জীবদেহে কোষের বৈশিষ্ট্য, কোষের সংখ্যা ও খাদ্যাভ্যাসের তথ্য-উপাত্তের উপর জীবজগতের পাঁচটি রাজ্যের  ভিত্তি করে আর.এইচ.হুইটেকার (R.H. Whittaker) 1969 সালে জীবজগতকে পাঁচটি রাজ্য বা ফাইভ কিংডম এ ভাগ করার প্রস্তাব করেন

জীবের শ্রেণীবিন্যাস কি?
যে পদ্ধতিতে অসংখ্য বিচিত্র জীব প্রজাতিকে সহজে জানা যায় এবং বিভিন্ন দল উপদলে বিন্যাস করা যায় তাকে শ্রেণীবিন্যাস বা জীবের শ্রেণীবিন্যাস বলে ।
 
শ্রেনীবিন্যাসবিদ্যা কি?
জীব বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের শ্রেণীবিন্যাস ও তার রীতিনীতি গুলো আলোচনা করা হয় তাকে শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা বলে ।
 
শ্রেনীবিন্যাস বিদ্যার জনক
ক্যারোলাস লিনিয়াস প্রথম জীববিজ্ঞানের পূর্ণ শ্রেণীবিন্যাস নামকরণের ভিত্তি প্রবর্তন করেন তাই ক্যারোলাস লিনিয়াস কে জীববিদ্যার জনক বলা হয় ।
 
শ্রেনীবিন্যাসের উদ্দেশ্য
  1. প্রতিটি জীবের দল-উপদল সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণ করা ।
  2. আহরিত জ্ঞানকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা ।
  3. পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানকে সংক্ষিপ্ত ভাবে উপস্থাপন করা ।
  4. প্রতিটি জীবকে সনাক্ত করে তার নামকরণ ব্যবস্থা করা ।
 
super kingdom
 
 

মনেরাঃ-

  • উদাহরণ- রাইজোবিয়াম, নিউমোকক্কাস।
  • কোষের প্রকৃতি ও সংখ্যা- এককোষী
  • নিউক্লিয়াসের গঠন- ক্রোমোটিন বস্তু থাকে। নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নেই।
  • সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গানুসমূহ- প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি নেই, কিন্তু রাইবোজোম আছে।
  • কোষ বিভাজন- দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায়।
  • খাদ্যাভ্যাস- শোষণ, সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতি।
  • জনন পদ্ধতি- যৌন জনন।
  • ভ্রুণ গঠন

প্রোটিস্টাঃ-

  • উদাহরণ- আমাশয়ের জীবাণু, স্পাইরোগাইরা।
  • কোষের প্রকৃতি ও সংখ্যা- এককোষী বা বহুকোষী।
  • নিউক্লিয়াসের গঠন- নিউক্লিয়ার মেমব্রেন, নিউক্লিয়ার রন্ধ্র, নিউক্লিওলাস, নিউক্লিওপ্লাজম, নিউক্লিয়ার রেটিকুলাম।
  • সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গানুসমূহ- DNA, RNA.
  • কোষ বিভাজন- মাইটোসিস।
  • খাদ্যাভ্যাস- শোষণ, গ্রহণ বা ফটোসিনথেটিক পদ্ধতি।
  • জনন পদ্ধতি- যৌন ও অযৌন পদ্ধতি।
  • ভ্রুণ গঠন- হয় না।

ফানজাইঃ-

  • উদাহরণ- মিউকর, অ্যাগারিকাস।
  • কোষের প্রকৃতি ও সংখ্যা- এককোষী।
  • নিউক্লিয়াসের গঠন- নিউক্লিয়ার মেমব্রেন, নিউক্লিয়ার রন্ধ্র, নিউক্লিওলাস, নিউক্লিওপ্লাজম, নিউক্লিয়ার রেটিকুলাম।
  • সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গানুসমূহ-
  • কোষ বিভাজন- মিয়োসিস।
  • খাদ্যাভ্যাস- শোষণ পদ্ধতি।
  • জনন পদ্ধতি-
  • ভ্রুণ গঠন- হ্যাপ্লয়েড স্পোর পদ্ধতি।
 

প্লানটিঃ-

  • উদাহরণ- আমগাছ, সাইকাস।
  • কোষের প্রকৃতি ও সংখ্যা-
  • নিউক্লিয়াসের গঠন- নিউক্লিয়ার মেমব্রেন, নিউক্লিয়ার রন্ধ্র, নিউক্লিওলাস, নিউক্লিওপ্লাজম, নিউক্লিয়ার রেটিকুলাম।
  • সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গানুসমূহ-
  • কোষ বিভাজন-
  • খাদ্যাভ্যাস-
  • জনন পদ্ধতি- যৌন জনন।
  • ভ্রুণ গঠন- ডিপ্লয়েড পর্যায়ে ভ্রুণ সৃষ্টি হয়।

অ্যানিমেলিয়াঃ-

  • উদাহরণ- দোয়েল, শামুক,।
  • কোষের প্রকৃতি ও সংখ্যা- বহুকোষী প্রাণী।
  • নিউক্লিয়াসের গঠন- নিউক্লিয়ার মেমব্রেন, নিউক্লিয়ার রন্ধ্র, নিউক্লিওলাস, নিউক্লিওপ্লাজম, নিউক্লিয়ার রেটিকুলাম।
  • সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গানুসমূহ-
  • কোষ বিভাজন-
  • খাদ্যাভ্যাস- হেটারোট্রাফিক/পরভোজী।
  • জনন পদ্ধতি- যৌন জনন।
  • ভ্রুণ গঠন- হ্যাপ্লয়েড ও ডিপ্লয়েড পর্যায় থেকে ভ্রুণ সৃষ্টি হয়।

Video Guidance

YouTube player

Loading

Leave a Reply

error: