Skip to content

ভূগোল সাজেশন – দ্বাদশ শ্রেণী (তৃতীয় সেমেস্টার)

geo-sug-cl-12-3rd-sem

প্রাকৃতিক ভূগোল :

ভূগাঠনিক বিদ্যা (প্রথম অধ্যায়)

ভূমিরূপ প্রক্রিয়া সমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়)

জলবায়ু (তৃতীয় অধ্যায়)

  1. আপেক্ষিক আর্দ্রতা পরিমাপকারী যন্ত্রের নাম কী?
    (A) ব্যারোমিটার
    (B) হাইগ্রোমিটার
    (C) সাইক্রোমিটার
    (D) অ্যাটমোমিটার

  2. ঘনীভবনের অনুকূল শর্ত কোনটি নয়?
    (A) শীতলীভবনের হার
    (B) বায়ুতে জলাকর্ষী কণার উপস্থিতি
    (C) উচ্চ তাপমাত্রা
    (D) আপেক্ষিক আর্দ্রতা

  3. সিরো-কিউমূলাস মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় না কেন?
    (A) কারণ এরা নিচু স্তরের মেঘ
    (B) কারণ এরা জলীয় বাষ্পহীন
    (C) কারণ এরা বর্ষার মেঘ নয়
    (D) কারণ এরা ১০-১২ কিমি উচ্চতায় থাকে

  4. চরম বা নিরপেক্ষ আর্দ্রতা পরিমাপের একক হল —
    (A) গ্রাম প্রতি ঘনমিটার
    (B) ডবসন
    (C) মিলিবার
    (D) নট

  5. মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টিপাতের ফলে সাধারণত কী ঘটে?
    (A) বৃষ্টি কম হয়
    (B) শিলাবৃষ্টি হয়
    (C) হড়পা বান সৃষ্টি হয়
    (D) শিশির পড়ে

  6. ঘনীভবনের জন্য কোনটি অপরিহার্য?
    (A) শীতলীকরণ
    (B) জলীয় বাষ্প
    (C) ধূলিকণা
    (D) উপরের সবগুলো

  7. অ্যাসিড বৃষ্টির pH মান কত?
    (A) 4.6
    (B) 5.6
    (C) 6.7
    (D) 7.7

  8. সিরাস মেঘ দেখতে কেমন?
    (A) তুলোর মতো
    (B) ধোঁয়ার মতো
    (C) ছায়াযুক্ত
    (D) পাখির পালকের মতো

  9. বৃষ্টিপাতের প্রধান রূপ কোনটি?
    (A) শিশির
    (B) তুষারপাত
    (C) বৃষ্টিপাত
    (D) শিলাবৃষ্টি

  10. পর্বতের অনুবাত ঢালকে কী বলা হয়?
    (A) বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা
    (B) জলাভূমি অঞ্চল
    (C) শুষ্ক ছায়া অঞ্চল
    (D) উপত্যকা

  11. শীতকালে আপেক্ষিক আর্দ্রতা কেমন থাকে?
    (A) সর্বাধিক
    (B) মধ্যম
    (C) সর্বনিম্ন
    (D) বর্ষার সমান

  12. হাইগ্রোমিটার দিয়ে কী পরিমাপ করা হয়?
    (A) বৃষ্টিপাত
    (B) তাপমাত্রা
    (C) আর্দ্রতা
    (D) বায়ুচাপ

  13. সংঘর্ষ সম্মেলন তত্ত্বের প্রবক্তা কে?
    (A) বোয়েন
    (B) ফিন্ডেসন
    (C) বার্জেরন
    (D) পিটারস

  14. আপেক্ষিক আর্দ্রতা পরিমাপের একক কী?
    (A) মিলিগ্রাম
    (B) শতকরা
    (C) গ্রাম
    (D) কিলোগ্রাম

  15. নিম্নলিখিত কোনটি অধঃক্ষেপণের অন্তর্ভুক্ত নয়?
    (A) কুয়াশা
    (B) বৃষ্টিপাত
    (C) তুষারপাত
    (D) শিশির

  16. আয়তন বৃদ্ধি করে শীতলীকরণকে বলা হয় —
    (A) ডায়াবেটিক পদ্ধতি
    (B) অ্যাডিয়াবেটিক পদ্ধতি
    (C) বাষ্পীয় প্রস্বেদন
    (D) শিশিরাঙ্ক

  17. আয়তন অপরিবর্তিত রেখে বায়ুর শীতলীকরণকে বলা হয় —
    (A) অ্যাডিয়াবেটিক পদ্ধতি
    (B) ডায়াবেটিক পদ্ধতি
    (C) শিশিরাঙ্ক পদ্ধতি
    (D) বাষ্পীভবন পদ্ধতি

  18. ভারতের সর্বাধিক বৃষ্টিপ্রাপ্ত স্থান কোনটি?
    (A) শিলং
    (B) মৌসিনরাম
    (C) চেরাপুঞ্জি
    (D) পশ্চিমঘাট

  19. সিরো কিউমুলাস মেঘযুক্ত আকাশকে বলা হয় —
    (A) ম্যাক্যারেল স্কাই
    (B) স্টর্ম ক্লাউড
    (C) সানস্কাই
    (D) প্যালো ক্লাউড

  20. পর্বতের ঢালে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু ধাক্কা খেলে কী হয়?
    (A) শুষ্ক আবহাওয়া তৈরি হয়
    (B) মেঘ সৃষ্টির সম্ভাবনা কমে
    (C) শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত হয়
    (D) শিশু পড়ে

  21. বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা নির্ভর করে —

(A) শুধুমাত্র তাপমাত্রার উপর

(B) শুধুমাত্র জলীয় বাষ্পের উপর

(C) তাপমাত্রা ও জলীয় বাষ্প উভয়ের উপর

(D) শুধুমাত্র বায়ুর চাপের উপর

 

  1. পর্বতের উপরিভাগে বরফ থাকলে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত কমে যায় — এই উক্তি কি সত্য?
    (A) হ্যাঁ
    (B) না
    (C) আংশিক সত্য
    (D) নির্ভর করে অবস্থানের উপর

  2. নিম্নের কোনটি অধঃক্ষেপণের প্রকারভেদ?
    (A) শিশির
    (B) কুয়াশা
    (C) বৃষ্টিপাত
    (D) সবগুলি

  3. ‘ঘনীভবন’ শব্দটি কে প্রথম ব্যবহার করেন?
    (A) ফিন্ডেসন
    (B) কির্চার
    (C) বার্জেরন
    (D) ডাল্টন

  4. দূষণের জন্য ধোঁয়াশার কারণ কী?
    (A) বৃষ্টিপাত
    (B) সূর্যরশ্মি
    (C) দূষক
    (D) নিম্নচাপ

  5. নিচের কোনটি জলীয় বাষ্প ধারণ করতে সাহায্য করে না?
    (A) ধূলিকণা
    (B) তাপমাত্রা
    (C) বায়ুর চাপ
    (D) বৃষ্টিপাত

  6. পর্বতের প্রতিবাত ঢালে কী ঘটে?
    (A) প্রবল বৃষ্টিপাত
    (B) বৃষ্টিচ্ছায়া সৃষ্টি
    (C) হিমবৃষ্টি
    (D) তাপমাত্রা বৃদ্ধি

  7. শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত কিসের উপর নির্ভর করে?
    (A) তাপমাত্রা
    (B) সমুদ্রস্তর
    (C) পাহাড়ের ঢাল
    (D) মেঘের উচ্চতা

  8. বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা হ্রাস পেলে —
    (A) ঘনীভবন বাড়ে
    (B) ঘনীভবন হ্রাস পায়
    (C) একই থাকে
    (D) বৃষ্টিপাত বাড়ে

  9. নিচের কোনটি বৃষ্টিপাতের ধরন নয়?
    (A) শৈলোৎক্ষেপ
    (B) পরিচলন
    (C) ঘূর্ণ
    (D) বাষ্পীভবন

  10. অ্যাসিড বৃষ্টির pH মান সাধারণত —
    (A) 6.7
    (B) 5.6
    (C) 7.7
    (D) 4.6

  11. হাইগ্রোমিটার কোন পরিমাপে কাজ করে?
    (A) সেলসিয়াস
    (B) শতাংশ
    (C) পিএইচ
    (D) মিলিবার

  12. কোন প্রক্রিয়ার ফলে বায়ু আপেক্ষিকভাবে ঠান্ডা হয়?

(A) বাষ্পীভবন

(B) চুম্বকীয় বিকিরণ

(C) অ্যাডিয়াবেটিক সম্প্রসারণ

(D) সৌর উত্তাপন

  1. বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ নির্ধারণ করে —
    (A) বারোমিটার
    (B) সাইক্রোমিটার
    (C) হাইগ্রোমিটার
    (D) রেইন গেজ

  2. কোন মেঘকে ‘পক্ষীরাজ মেঘ’ বলা হয়?
    (A) স্ট্যাটাস
    (B) সিরাস
    (C) কিউমুলাস
    (D) নিম্বাস

  3. কুয়াশা সাধারণত সৃষ্টি হয় —
    (A) নিচু তাপমাত্রায়
    (B) বেশি তাপমাত্রায়
    (C) খরা পরিস্থিতিতে
    (D) উষ্ণ বায়ুতে

  4. ‘শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত’ কোথায় সাধারণত বেশি হয়?
    (A) সমতল ভূমিতে
    (B) মরুভূমিতে
    (C) পাহাড়ি ঢালে
    (D) নদীতীরে

  5. ‘নিম্বাস’ মেঘের বৈশিষ্ট্য কী?
    (A) হালকা ও পাতলা
    (B) মেঘহীন
    (C) ভারী ও বৃষ্টিপ্রবণ
    (D) গ্যাসীয়

  6. ঘূর্ণ বৃষ্টিপাত সাধারণত কোথায় হয়?
    (A) নিরক্ষীয় অঞ্চলে
    (B) সমভূমিতে
    (C) উপক্রান্তীয় অঞ্চলে
    (D) মধ্য অক্ষাংশে

  7. ‘সিরোস্ট্যাটাস’ মেঘ কোন স্তরে দেখা যায়?
    (A) নিচু স্তর
    (B) মধ্য স্তর
    (C) উঁচু স্তর
    (D) সমুদ্রপৃষ্ঠে

  8. শিশির কী ধরনের অধঃক্ষেপণ?
    (A) গ্যাসীয়
    (B) তরল
    (C) কঠিন
    (D) বাষ্পীয়

  9. বৃষ্টিপাত পরিমাপ করার যন্ত্র —
    (A) হাইগ্রোমিটার
    (B) সাইক্রোমিটার
    (C) রেইন গেজ
    (D) ব্যারোমিটার

  10. ভূ-উষ্ণায়নের ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ —
    (A) অপরিবর্তিত
    (B) বৃদ্ধি পায়
    (C) হ্রাস পায়
    (D) সম্পূর্ণ বন্ধ হয়

  11. বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়লে —
    (A) শিশির পড়া কমে
    (B) ঘনীভবন বাড়ে
    (C) তাপমাত্রা কমে
    (D) বাতাস ভারী হয়

  12. ঘনীভবনের ফলে কী সৃষ্টি হয়?
    (A) কুয়াশা
    (B) মেঘ
    (C) বৃষ্টিপাত
    (D) সবগুলি

  13. পর্বতের প্রতিবাত ঢালে সাধারণত কী হয়?
    (A) তীব্র বৃষ্টিপাত
    (B) শীতল বায়ু প্রবাহ
    (C) বৃষ্টিচ্ছায়া
    (D) ঘূর্ণিঝড়

  14. শিশিরাঙ্ক বলতে কী বোঝায়?
    (A) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
    (B) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
    (C) ঘনীভবনের তাপমাত্রা
    (D) বৃষ্টিপাতের হার

  15. নিচের কোনটি বাতাসের আর্দ্রতার উপর নির্ভর করে না?
    (A) মেঘ গঠন
    (B) শিশির
    (C) তুষারপাত
    (D) ভূমিকম্প

  16. কোন মেঘ সবচেয়ে নিচু স্তরে গঠিত হয়?
    (A) স্ট্যাটাস
    (B) সিরাস
    (C) কিউমুলাস
    (D) নিম্বাস

  17. নিম্নের কোনটি ‘পরিচলন বৃষ্টিপাত’-এর বৈশিষ্ট্য?
    (A) গ্রীষ্মকালে দুপুরে তীব্র বৃষ্টি
    (B) বরফে পরিণত হয়
    (C) মেঘ ছাড়াই বৃষ্টি
    (D) তুষারপাত

 

 

অতিসংক্ষিত 

বায়ুমন্ডলে জলের প্রধান উৎস-সমুদ্র থেকে বাষ্পীভবন

আপেক্ষিক আদ্রতা সর্বাধিক হয়-ভোর বেলায়।

জলীয় বাষ্প জলকণা বা তুষার কণায় পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া হল- ঘনীভবন

যে নির্দিষ্ট উষ্ণতা জলীয়বাষ্প ঘনীভবন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জলকণায় পরিণত হয় তাকে শিশিরাঙ্ক বলে।

 

বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল: পর্বতে যে ঢালে জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু বাধা পেয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায় তাকে প্রতিবাত ঢাল বলে। প্রতিবাত ঢালের বিপরীতে যে ঢালে বৃষ্টিপাত হয় না এই ঢালকে অনুবাত-ঢাল বলে অনুবাত ঢালে বৃষ্টিপাত হয় না বলে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলে।
মেঘালয় শিলং একটি বৃষ্টির ছায়া অঞ্চলের উদাহরণ।

জলগ্রাহী কণা: বায়ুমন্ডলের যে সমস্ত কণা বায়ুমণ্ডল থেকে জলীয় বাষ্প শোষণ করে ঘুরে বেড়ায় তাকে জলগ্রাহী কণা বলে ‌। এর ব্যাস 0.001-10 মাইক্রোন হয়ে থাকে।

পরিমাপক যন্ত্র

  • বায়ুর উষ্ণতা মাপক যন্ত্র – থার্মোমিটার
  • বায়ুর চাপ মাপার যন্ত্র – ব্যারোমিটার।
  • বায়ুর দিক নির্ণয় যন্ত্রের নাম-বাত পতাকা।
  • বায়ুর আর্দ্রতা পরিমাপক যন্ত্র- হাইগ্রোমিটার।
  • বায়ুর গতিবেগ মাপার যন্ত্রের নাম-অ্যানিমোমিটার।
  • বায়ুর শক্তি মাত্রা নির্ণয়কারী স্কেল-বিউফোর্ড স্কেল।
  • বায়ুর গতিবেগ মাপার একক- নট্ (নটিক্যাল মাইল)
  • বাষ্পীভবনের হার পরিমাপক যন্ত্রের নাম-অ্যাটমোমিটার।
  • বৃষ্টিপাত পরিমাপক যন্ত্র- রেইনগজ।
  • আপেক্ষিক আর্দ্রতা পরিমাপক যন্ত্র-সাইক্রোমিটার।
  • বাষ্পীভবন পরিমাপের যন্ত্র-ইভাপোরিমিটার।
  • মেঘাচ্ছন্নতা পরিমাপক যন্ত্রের নাম- নেফেলোমিটার
  • মেঘের সঞ্চার ও গতিবেগ পর্যবেক্ষণকারী যন্ত্রের নাম-নেফোস্কোপ
  • মেঘের উচ্চতা নির্ণয় কারী যন্ত্র-সিলোমিটার।

যখন ধোঁয়াশা ও অস্পষ্টতা মিলিত হয়ে কোয়াশা সৃষ্টি করে তখন তাকে স্মেজ বলে।
যখন কুয়াশা অত্যন্ত ঘন হয়ে এক অসহ্য আবরণ সৃষ্টি করে তখন তাকে কুজ্ঝটিকা বা কুহেলিকা বা মিস্ট বলে।

মেঘের শ্রেণীবিভাগ

 
  • মেঘাচ্ছন্নতার পরিমাপ করা হয়- অক্টাস এ
  • Mother of Pearl Cloud‘-সিরাস মেঘকে বলা হয়
  • উষ্ণতার সঙ্গে আপেক্ষিক আদ্রতা সম্পর্ক- ব্যস্তানুপাতিক।
  • বর্ষাকালে বায়ুর গড় আপেক্ষিক আদ্রতা সবচেয়ে বেশি হয়।
  • ম্যাকারেল আকাশ দেখা যায়-সিরোকিউমুলাস মেঘে।
  • অশ্বিনী পুচ্ছ বা পাখির পালকের মতো মেঘ সিরাস মেঘকে বলা হয়।
  • Sheep Cloud / Wool-Pack Cloud– অল্টোকিউমুলাস মেঘ।
  • Bumpy Cloud- স্ট্র্যাটোকিউমুলাস
  • কিউমুলোনিম্বাস মেঘকে বজ্র মেঘ বলে।
  • ফুলকপির মতো দেখতে মেঘ হল- কিউমুলাস মেঘ।
  • পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে নিম্বোস্ট্যাটাস মেঘে।
  • অধঃক্ষেপনের সংঘর্ষ সম্মেলন তত্ত্বের ধারণা দেন-ই.জি. বোয়েন।
  • অধঃক্ষেপনের বরফ কেলাস তত্ত্ব দেন –ওয়াল্টার ফিন্ডেসন ও টর বার্জেরন
  • ‘4 O’clock Rain’ নিরক্ষীয় অঞ্চলের পরিচলন বৃষ্টিপাত।

সমচাপ রেখা: বায়ুর সমান চাপ বিশিষ্ট স্থান গুলোকে যে কাল্পনিক রেখা দ্বারা যোগ করা হয়।
সমোষ্ণরেখা: ভূপৃষ্ঠের সমান উষ্ণতা যুক্ত স্থান যোগকারী কাল্পনিক রেখা।
সমবর্ষণ রেখা:মানচিত্রে সমান বৃষ্টিপাত সংযোগকারী রেখা।
সমরৌদ্রালোক রেখা: মানচিত্রে চেয়ে রেখা দ্বারা গড় বার্ষিক রৌদ্রকিরণ যুক্ত স্থান গুলোকে যোগ করা হয়।
সমমেঘ রেখা: মানচিত্রে সমান মেয়ের যুক্ত স্থান যুক্তকারী রেখা।

বারিমন্ডল (চতুর্থ অধ্যায়)

জীবমন্ডল (পঞ্চম অধ্যায়)

  1. বাস্তুতন্ত্রের শক্তির প্রধান উৎস কোনটি?
    (A) জল
    (B) বায়ু
    (C) সূর্য
    (D) অক্সিজেন

  2. বাস্তুতন্ত্র কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন-
    (A) আরনেস্ট হেকেল
    (B) ওডাম
    (C) লিন্ডেম্যান
    (D) এ.জি. ট্যান্সলে

  3. পৃথিবীর বৃহত্তম বাস্তুতন্ত্র হল-
    (A) বারিমন্ডল
    (B) শিলামন্ডল
    (C) বায়োম
    (D) জীবমন্ডল

  4. যে সমস্ত জীব মৃত জন্তু ও উদ্ভিদের দেহাবশেষ খেয়ে জীবনধারণ করে তাদের বলে-
    (A) হারবিভোর
    (B) কার্নিভোর
    (C) ওমনিভোর
    (D) ডেট্রিভোর

  5. বাস্তুতন্ত্রে শক্তি প্রবাহ সর্বদা-
    (A) একমুখী
    (B) ত্রিমুখী
    (C) বহুমুখী
    (D) কোনোটিই নয়

  6. দুটি ভিন্ন বাস্তুতন্ত্রের মধ্যবর্তী পরিবর্তনশীল মিশ্র বাস্তুতন্ত্রকে বলে-
    (A) ইকোটন
    (B) ইকোক্লাইন
    (C) হ্যাবিট্যাট
    (D) স্ট্যান্ডিং কর্প

  7. ব্যাকটেরিয়া এক প্রকার-
    (A) প্রাথমিক খাদক
    (B) গৌণ খাদক
    (C) প্রগৌণ খাদক
    (D) বিয়োজক

  8. বাস্তুতন্ত্রে খাদ্যের যোগান সংক্রান্ত স্তরকে বলে-
    (A) খাদ্যজাল
    (B) খাদ্য শৃঙ্খল
    (C) জীবন মন্ডল
    (D) ট্রপিক লেভেল

  9. ইকোলজি বা বাস্তুবিদ্যার জনক হলেন–
    (A) হেকেল
    (B) সুয়েস
    (C) রিটার
    (D) ট্যান্সলে

  10. একই পুষ্টি স্তরে অবস্থান করে-
    (A) বাঘ ও ভাল্লুক
    (B) হরিণ ও গরু
    (C) সাপ ও কেঁচো
    (D) ব্যাকটেরিয়া ও মানুষ

  11. বাস্তুতন্ত্রে খাদ্যজাল সর্বদা-
    (A) একমুখী
    (B) ত্রিমুখী
    (C) বহুমুখী
    (D) কোনোটিই নয়

  12. স্থির জলের বাস্তুতন্ত্র-
    (A) লোটিক বাস্তুতন্ত্র
    (B) লেনটিক বাস্তুতন্ত্র
    (C) নেকটন
    (D) বেনথস

  13. বাস্তুতন্ত্রের উল্টানো পিরামিডের নিদর্শন দেখা যায়-
    (A) তৃণভূমির বাস্তুতন্ত্র
    (B) অরণ্যের বাস্তুতন্ত্রে
    (C) ম্যানগ্রোভ বাস্তুতন্ত্রে
    (D) পরজীবী বাস্তুতন্ত্রে

  14. বাস্তুতন্ত্রে একটি পুষ্টি স্তর থেকে ওপর পুষ্টি স্তরে শক্তি স্থানান্তরের পরিমাণ-
    (A) 10%
    (B) 20%
    (C) 50%
    (D) 90%

  15. বাস্তুতন্ত্রে উপস্থিত সমস্ত উদ্ভিদ ও প্রাণীকে একত্রে বলে-
    (A) উৎপাদক
    (B) খাদক
    (C) সজীব বা জৈব উপাদান
    (D) বিয়োজক

  16. একটি পুষ্টি স্তরে জীব সম্প্রদায়ের পুষ্টি সংগ্রহের এলাকাকে বলে-
    (A) ইকোলজিক্যাল নিচ
    (B) বায়োমাস
    (C) বায়োটিক কমিউনিটি
    (D) এজ এফেক্ট

  17. দশ শতাংশ সূত্রের প্রবক্তা হলেন-
    (A) লিন্ডেম্যান
    (B) হেকেল
    (C) সুয়েস
    (D) ট্যান্সলে

  18. জীবমন্ডলের গড় বিস্তার কত?
    (A) 10km
    (B) 30km
    (C) 100km
    (D) 1000km

  19. বাস্তুতন্ত্রে একটি পুষ্টি স্তর থেকে অন্য পুষ্টি স্তরে শক্তি প্রবাহিত হওয়াকে বলে-
    (A) খাদ্য চক্র
    (B) খাদ্যশৃঙ্খল
    (C) খাদ্যজাল
    (D) পুষ্টি চক্র

  20. একটি বাস্তুতন্ত্রে নিজেরাই নিজের খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে-
    (A) উৎপাদক
    (B) খাদক
    (C) বিয়োজক
    (D) পরজীবী

  21. বাস্তুতন্ত্রে খাদ্যজালের জটিলতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা হয়–
    (A) দুর্বল
    (B) জটিল
    (C) শক্তিশালী
    (D) ধ্বংসপ্রাপ্ত

  22. বাস্তুতন্ত্রে পরজীবী একটি উদাহরণ হলো–
    (A) শেয়াল
    (B) কুকুর
    (C) জোঁক
    (D) গরু

  23. যে জীব নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে তাকে বলে–
    (A) পরজীবী
    (B) হেটেরোট্রফ
    (C) অটোট্রফ
    (D) বিয়োজক

  24. উদ্ভিদ এবং প্রাণীর মধ্যকার সম্পর্ক হলো–
    (A) প্রতিযোগিতা
    (B) সহবাস
    (C) পরজীবিতা
    (D) খাদ্যচক্র

  25. খাদ্য শৃঙ্খলের প্রথম ধাপে থাকে–
    (A) গৌণ খাদক
    (B) প্রাথমিক খাদক
    (C) উৎপাদক
    (D) পরজীবী

  26. বাস্তুতন্ত্রে শক্তির একক কী?
    (A) ডিগ্রি
    (B) লিটার
    (C) ক্যালোরি
    (D) সেন্টিগ্রেড

  27. বাস্তুতন্ত্রে মৃত জৈব বস্তুকে পুনরায় পুষ্টিতে রূপান্তর করে যারা–
    (A) খাদক
    (B) উৎপাদক
    (C) বিয়োজক
    (D) ভোক্তা

  28. তৃণভূমি বাস্তুতন্ত্রে প্রধান উৎপাদক হলো–
    (A) গাছ
    (B) ঘাস
    (C) শৈবাল
    (D) গুল্ম

  29. যে পদ্ধতিতে খাদ্য শক্তি একত্রে সংরক্ষিত হয়–
    (A) খাদ্য চক্র
    (B) খাদ্যজাল
    (C) পিরামিড
    (D) পুষ্টি চক্র

  30. একটি বাস্তুতন্ত্রের মূল গঠন উপাদান নয় কোনটি?
    (A) জৈব পদার্থ
    (B) জৈব রসায়ন
    (C) অজৈব উপাদান
    (D) জৈব উপাদান

  31. একে অপরের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত জীবদের সমষ্টি–
    (A) প্রজাতি
    (B) সমাজ
    (C) জনসংখ্যা
    (D) সম্প্রদায়

  32. অরণ্য বাস্তুতন্ত্রের শক্তিশালী স্তর কোনটি?
    (A) গৌণ খাদক
    (B) উৎপাদক
    (C) বিয়োজক
    (D) হান্টার

  33. মৃত দেহকে ক্ষয় করে যে উপাদান তৈরি হয় তা হল–
    (A) জল
    (B) লবণ
    (C) পুষ্টি
    (D) শক্তি

  34. মানুষ কোন পুষ্টি স্তরে অবস্থান করে?
    (A) প্রাথমিক
    (B) গৌণ
    (C) প্রগৌণ
    (D) বিয়োজক

  35. শৃঙ্খলিত খাদ্যতালিকাকে কী বলে?
    (A) খাদ্য চক্র
    (B) খাদ্যজাল
    (C) খাদ্যশৃঙ্খল
    (D) পুষ্টি স্তর

  36. খাদ্যশৃঙ্খলের দৈর্ঘ্য সাধারণত–
    (A) ১০-১২ স্তর
    (B) ৫-৬ স্তর
    (C) ২০-৩০ স্তর
    (D) ২-৩ স্তর

  37. বাস্তুতন্ত্রে হেরবিভোরের ভূমিকাটি কী?
    (A) গৌণ খাদক
    (B) উৎপাদক
    (C) প্রাথমিক খাদক
    (D) বিয়োজক

  38. পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা হয়–
    (A) বৃষ্টি কমলে
    (B) শক্তি হ্রাসে
    (C) খাদ্যচক্র বজায় থাকলে
    (D) শক্তি প্রবাহ না থাকলে

  39. বাস্তুতন্ত্রের কাঠামো গঠিত হয়–
    (A) খাদক ও খাদ্য
    (B) জৈব ও অজৈব উপাদান
    (C) শক্তি ও জল
    (D) গাছ ও প্রাণী

  40. বাস্তুতন্ত্রে উদ্ভিদ কী হিসেবে কাজ করে?
    (A) খাদক
    (B) খাদ্য
    (C) উৎপাদক
    (D) বিয়োজক

  41. খাদ্যশৃঙ্খলের একেবারে শেষ স্তরে থাকে–
    (A) উৎপাদক
    (B) প্রাথমিক খাদক
    (C) শিকারি
    (D) বিয়োজক

  42. একই বাস্তুতন্ত্রে প্রাণী ও উদ্ভিদের নির্ভরতা কী নির্দেশ করে?
    (A) পরজীবিতা
    (B) পরিবেশ রক্ষা
    (C) পারস্পরিক সম্পর্ক
    (D) শক্তি ক্ষয়

  43. সূর্য থেকে আসা শক্তি কোন উপাদান শোষণ করে?
    (A) প্রাণী
    (B) মাটি
    (C) উদ্ভিদ
    (D) জল

  44. একাধিক খাদ্যশৃঙ্খল একত্রে মিলে যা গঠন করে–
    (A) খাদ্য চক্র
    (B) খাদ্য জাল
    (C) শক্তি চক্র
    (D) পরিবেশ

  45. বৃষ্টিবন বাস্তুতন্ত্রে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক–
    (A) উৎপাদক
    (B) প্রাণী প্রজাতি
    (C) খাদক
    (D) বিয়োজক

  46. বাস্তুতন্ত্রে অক্সিজেন সরবরাহ করে–
    (A) গাছ
    (B) ব্যাকটেরিয়া
    (C) পশু
    (D) ছত্রাক

  47. জলজ বাস্তুতন্ত্রে প্রাথমিক উৎপাদক হলো–
    (A) শেওলা
    (B) মাছ
    (C) ব্যাকটেরিয়া
    (D) কেঁচো

  48. প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের একটি উদাহরণ–
    (A) অ্যাকুয়ারিয়াম
    (B) জলাশয়
    (C) চাষের জমি
    (D) নার্সারি

  49. মানুষের দ্বারা গঠিত বাস্তুতন্ত্র–
    (A) সমুদ্র
    (B) বন
    (C) অ্যাকুয়ারিয়াম
    (D) পাহাড়

  50. বাস্তুতন্ত্রে শক্তির প্রবাহের দিক–
    (A) গাছ → বাঘ → হরিণ
    (B) হরিণ → বাঘ → গাছ
    (C) গাছ → হরিণ → বাঘ
    (D) বাঘ → গাছ → হরিণ

SAQ Question and Answer:

জীবমন্ডল: জীবমন্ডল বা Biosphere শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘Bios‘ অর্থ জীবন ও ল্যাটিন শব্দ ‘Sphaere’ অর্থ মন্ডল অর্থাৎ জীবমন্ডল অর্থে পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্বের ক্রিয়াশীল অঞ্চল।


 
জীবমন্ডল
  • জীবমণ্ডল কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন এডওয়ার্ড সুয়েস।
  • জীবমণ্ডল সম্পর্কিত আধুনিক তত্ত্বের জনক বলা হয় ভ্লাদিমির ভার্নাদস্কিকে।
  • Bio geography গ্রন্থটি লেখেন জে. টিভি
  • ‘ইকোলজি’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন আর্নেস্ট হেকেল
  • বাস্তুবিদ্যার জনক আর্নেস্ট হেকেল
  • ‘ইকোসিস্টেম’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন এ.জি. ট্যান্সলে
  • ইকোক্লাইন শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন-হুইটেকার
  • শক্তি প্রবাহ মডেল এর প্রবক্তা রেমন্ড লিন্ডেম্যান।
  • বাস্তুতান্ত্রিক পিরামিডের ধারণা দেন চার্লস এলটন।
  • ইকোলজিক্যাল নিচ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন-জে.গ্রীনাল।

শক্তি প্রবাহ

বাস্তুতন্ত্র: জীবের আবাসস্থল সম্পর্কিত আন্তঃসম্পর্ক।

 

প্যারাবায়োস্ফিয়ার: পৃথিবীর জীব বসবাসের প্রতিকুল অঞ্চল।

বায়োম: কোন একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক পরিবেশে উদ্ভিদ ও প্রাণী জলবায়ুর সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে যে বৃহত্তম বাস্তুতান্ত্রিক একক গড়ে তোলে তাকে বায়োম বলে। যেমন তৈগা বায়োম।

ইকোটন: পাশাপাশি অবস্থিত দুটি ভিন্ন প্রকৃতির বাস্তুতন্ত্রের মধ্যবর্তী স্থানে যে পরিবর্তনশীল অঞ্চল। যেমন পার্কল্যান্ড সাভানা।


 
ইকোটন

ইকোক্লাইন: দুটি পাশাপাশি অবস্থিত বাস্তুতন্ত্রে যখন কোন সীমারেখা থাকে না তখন একটি বাস্তুতন্ত্র অন্য বাস্তুতন্ত্র টির যে জীব সম্প্রদায়ের পরিবর্তন বা ঢাল লক্ষ্য করা যায় তাকে ইকোক্লাইন বলে।
ইকোসিস: কোন বাস্তুতন্ত্র থেকে অপর বাস্তুতন্ত্রের আগত জীব যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধীরে ধীরে অপর বাস্তুতন্ত্রে অভিযোজিত হয় তাকে ইকোসিস বলে।
ইকোলজিকাল নিচ: কোন বাস্তুতন্ত্রে জীবের খাদ্য সংগ্রহের এলাকাকে ইকোলজিকাল নিচ বলে। যেমন মৌমাছির ইকোলজিক্যাল নিচ ফুল।

হোমিওস্ট্যাটিস: কোন একটা নির্দিষ্ট বাস্তুতন্ত্রে জড় উপাদান গুলির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সজীব উপাদানের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার যে পরিবর্তন ঘটিয়ে পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখে সে অবস্থাকে হোমিওস্ট্যাটিস বলা হয়। যেমন-শীতকালে গিরগিটি রোদ পোহানো।

 

এনবায়োস্ফিয়ার: পৃথিবীর জীব বসবাসের অনুকূল অঞ্চল অর্থাৎ প্যারাবায়োস্ফিয়ার বাদে বায়োস্ফিয়ারের অংশ।
নেকটন: যে সমস্ত প্রাথমিক খাদক প্রাণী জলাভূমির বাস্তুতন্ত্রের ভেসে বেড়ায় তাকে নেকটন বলে।
বেনথস: যে সমস্ত প্রাণী জলাভূমির তলদেশে বসবাস করে তাদের বেনথস বলে। যেমন ঝিনুক, শামুক।
বায়োটা: কোন নির্দিষ্ট ভৌগোলিক পরিবেশে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত বাস্তুতন্ত্রের সমগ্র প্রাণী এবং উদ্ভিদকূলের সমষ্টিকে বায়োটা বলে।
‌বায়োমাস বা জীবভর: যেকোনো একটি ট্রফিক লেভেলের সজীব বস্তুর শুষ্ক ভরকে জীবভর বা বায়োমাস বলে।


জীবমন্ডল

লেন্টিক বাস্তুতন্ত্র: স্থির জলের বাস্তুতন্ত্র কে লেনটিক বাস্তুতন্ত্র বলে। যেমন-হ্রদ, দিঘি, পুকুর, জলাশয়।
লোটিক বাস্তুতন্ত্র: প্রবাহমান জলের বাস্তুতন্ত্র কে লোটিক বাস্তুতন্ত্র বলে। যেমন – নদী।

 

খাদ্য পিরামিড: নির্দিষ্ট বাস্তুতন্ত্রে উৎপাদক থেকে সমস্ত খাদককে পরপর সাজালে যে পিরামিড পাওয়া যায়।
খাদ্য শৃঙ্খল: একটি বাস্তুতন্ত্রে উৎপাদক থেকে প্রত্যেক শ্রেণীর খাদকের মধ্যে সুনির্দিষ্ট সম্পর্ক।
খাদ্যজাল: অনেকগুলো খাদ্য শৃঙ্খল আন্তঃসম্পর্কযুক্ত হয়ে খাদ্যজাল তৈরি করে।

চারণভিত্তিক খাদ্য শৃঙ্খল: যে খাদ্য শৃঙ্খলে খাদ্য শক্তির সবুজ উদ্ভিদ থেকে শুরু করে তৃণভোজী প্রাণী ও ধাপে ধাপে মাংসাশী প্রাণীর মধ্যে প্রবাহিত হয় তাকে গ্রেজিং বা চারণভিত্তিক খাদ্য শৃঙ্খল বলে‌ । যেমন- উদ্ভিদ> হরিণ> বাঘ
শিকারি খাদ্য শৃঙ্খল: যে খাদ্যশৃঙ্খলে প্রাথমিক খাদক অর্থাৎ তৃণভোজী থেকে খাদ্যশৃঙ্খল শুরু হওয়ার পর খাদ্যখাদক সম্পর্কের ভিত্তিতে বৃহত্তর মাংসাশী প্রাণীতে শেষ হয়। যেমন-ঘাসফড়িং (প্রাথমিক খাদক) > ব্যাং (গৌণ খাদক)> সাপ (প্রগৌণ খাদক) >বাজপাখি (সর্বোচ্চ খাদক)
পরজীবী খাদ্য শৃঙ্খল: যে খাদ্য শৃঙ্খলে খাদ্যখাদক সম্পর্ক বৃহৎ প্রাণী যাকে হোস্ট বলে এ থেকে শুরু হয় এবং ক্ষুদ্র প্রাণীতে শেষ হয় তাকে পরজীবী খাদ্যশৃঙ্খল বলে। যেমন- মানুষ (হোস্ট)> কৃমি >বিয়োজক।

 

স্বভোজী বা উৎপাদক: যে সমস্ত জিম সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া নিজেরা খাদ্য তৈরি করতে সক্ষম। যেমন -সবুজ উদ্ভিদ।
খাদক বা পরভোজী: একটি বাস্তুতন্ত্রে উপস্থিত যে সমস্ত জীবকুল নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে না খাদ্যের জন্য উৎপাদক এর উপর নির্ভর করে তাদের খাদক বা পরভোজী বলে। যেমন- অধিকাংশ প্রাণী।
মোট প্রাথমিক উৎপাদন (Gross Primary Production/GPP): সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ যে পরিমাণ শক্তি নিজের দেহে আবদ্ধ রাখে তাকে GPP বলে।
নীট প্রাথমিক উৎপাদন(Net Primary Production/NPP): মোট প্রাথমিক উৎপাদনের কিছু পরিমাণ শক্তি উদ্ভিদ তার বিপাকীয় কাজে খরচ করার পর অবশিষ্ট যে শক্তি থাকে তাকে NPP বলে।

উল্টানো পিরামিড: জলজ ও পরজীবী জীবদের শীর্ষস্থান থেকে নিচের স্তর থেকে জীবভর ক্রমশ কমতে থাকে ফলে পিরামিড উল্টো দেখায়।

 

ডেট্রটাস: ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া, প্রভৃতি বিয়োজক উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃতদেহ ,জৈব আবর্জনা, জৈব বর্জ্য পদার্থ যখন আংশিকভাবে পচিয়ে ফেলে তখন ওই অসম্পূর্ণ অর্ধবিয়োজিত পদার্থকে ডেট্রটাস বলে।

ডেট্রিভোর: যেসব ছোট ছোট প্রাণী অর্ধ-বিয়োজিত পদার্থ বা ডেট্রটাস খেয়ে বেঁচে থাকে তাদের ডেট্রিভোর বলে। যেমন কেঁচো, কৃমি, পিঁপড়ে উই প্রভৃতি।

অটোইকোলজি: একটা জীব বা একটি প্রজাতি জনসংখ্যার সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক অধ্যয়নকে অটোইকোলজি বলা হয়। যেমন সুন্দরবনের বাঘ প্রজাতির বাস্তুসংস্থান অধ্যায়ন।
সিনইকোলজি: পরিবেশের সঙ্গে কোনো জীব সম্প্রদায় বা জীবগোষ্ঠীর সম্পর্ক অধ্যায়ন হলো সিনইকোলজি। যেমন সুন্দরবনের সমস্ত জীব প্রজাতির বাস্তুসংস্থান অধ্যায়ন।

 

জৈব অক্সিজেন চাহিদা (B.O.D): Biological Oxygen Demand. জলে উপস্থিত জৈব উপাদান কে অনুজীবের সাহায্যে বিয়োজনের জন্য যে পরিমাণ অক্সিজেন দরকার তাকে জৈব অক্সিজেন চাহিদা বলে।

স্থলজ বাস্তুতন্ত্রের প্রকারভেদ

মানবীয় ভূগোল :

জনসংখ্যা (প্রথম অধ্যায়)

জনবসতি (দ্বিতীয় অধ্যায়)

ভারতের ভূগোল :

ভারতের জনসংখ্যা (প্রথম অধ্যায়)

ভারতের জল সম্পদ (দ্বিতীয় অধ্যায়)

ভারতের খনিজ ও শক্তি সম্পদ (তৃতীয় অধ্যায়)

ভারতের কৃষিকাজ (চতুর্থ অধ্যায়)

ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ (পঞ্চম অধ্যায়)

ভারতের বাণিজ্য ও অর্থনীতি (ষষ্ঠ অধ্যায়)

Loading

Leave a Reply

error: