Skip to content

NUCLEUS – নিউক্লিয়াস

Source: Shri Subhendu Paul (Video Part) & Internet (Theory Part)

Nucleus

Nucleus – নিউক্লিয়াস:

“একটি কোষকে জীবনের ক্ষুদ্রতম, মৌলিক একক হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় যা জীবনের সমস্ত প্রক্রিয়ার জন্য দায়ী।” কোষের গঠন জীবনের প্রক্রিয়াগুলি সম্পাদন করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট কার্যকারিতা সহ বিভিন্ন উপাদান অন্তর্ভুক্ত করে। এই উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে- কোষ প্রাচীর, কোষের ঝিল্লি, সাইটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস এবং কোষের অর্গানেল।

আজ আমরা আলোচনা করব নিউক্লিয়াস। নিউক্লিয়াস কি, নিউক্লিয়াস কাকে বলে এবং নিউক্লিয়াসের প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।
এখানে, নিচে দেওয়া ভিডিওতে শুভেন্দু পল স্যার ব্যাখ্যা করেছেন কিভাবে নিউক্লিয়াস সম্পর্কে আরও অন্তর্দৃষ্টি অন্বেষণ করে পড়তে হবে।

“A cell is defined as the smallest, basic unit of life that is responsible for all of life’s processes.” The cell structure comprises individual components with specific functions essential to carry out life’s processes. These components include- cell wall, cell membrane, cytoplasm, nucleus, and cell organelles.

নিউক্লিয়াস
Nucleus

প্রকৃত কোষের সাইটোপ্লাজমে দ্বিস্তরী আবরণ দ্বারা আবৃত যে গোলাকার অঙ্গাণু ক্রোমাটিন জালিকা ধারণ করে এবং সুস্পষ্টভাবে দেখা যায় তাকে নিউক্লিয়াস বলে। এটি কোষের অপরিহার্য অংশ এবং কোষের যাবতীয় কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এ কারণে কে কোষের মস্তিষ্ক বলা হয়। রবার্ট ব্রাউন সর্বপ্রথম ১৮৩১ সালে অর্কিড পাতার কোষে নিউক্লিয়াস আবিষ্কার করেন ও নামকরণ করেন।

The nucleus is a pivotal organelle responsible for regulating almost all forms of cellular activities. Mostly, every type of cell that exists is categorized on the basis of the absence or presence of the nucleus within its cell (categorized either as a prokaryotic or eukaryotic cell.)

নিউক্লিয়াস কাকে বলে?
What is a Nucleus?

প্রকৃত কোষের প্রোটোপ্লাজমের যে অংশটি ঝিল্লিবেষ্টিত, স্পষ্ট, স্ফীত এবং ক্রোমাটিন বস্তু বহন করে তাকে নিউক্লিয়াস বলে।

নিউক্লিয়াসকে কোষের মস্তিষ্ক (brain of the cell), প্রাণকেন্দ্র, কেন্দ্রিকা ইত্যাদি নামেও অভিহিত করা হয়। রবার্ট ব্রাউন (Robert Brown) 1831 সালে রাস্না নামক অর্কিডের পত্রকোষে নিউক্লিয়াস আবিষ্কার ও নামকরণ করেন।  ল্যাটিন শব্দ ‘Nux-nut’ থেকে Nucleus শব্দের উৎপত্তি হয়েছে।

অবস্থান ও বিস্তৃতি

নিউক্লিয়াস সাধারণত কোষের মাঝখানে অবস্থান করে। বড় কোষগহ্বর থাকলে নিউক্লিয়াসটি কিনারার দিকে অবস্থান করে। ‍সচরাচর এরা একটি কোষের ১০-১৫% স্থান দখল করে। স্পার্ম বা শুক্রাণুর ৯০% ই নিউক্লিয়াস। প্রতিটি প্রকৃত কোষে একটি করে নিউক্লিয়াস থাকে। আদি কোষে নিউক্লিয়াস থাকে না।

কিছু প্রকৃতকোষে নিউক্লিয়াস নাও থাকতে পারে। যেমন: মেরুদন্ডী প্রাণির চোখের লেন্স-কোষ , স্তন্যপায়ীর পরিণত লোহিত রক্তকণিক, উদ্ভিদের সীভকোষ ইত্যাদি। কিছু কোষ আবার একাধিক নিউক্লিয়াস থাকতে পারে (নিচের টেবিলটি লক্ষ কর)। বহু নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট এধরণের গঠনকে সিনোসাইটিক বলা হয়।

 

জীবের প্রকার

                   উদাহরণ

প্রোটোজোয়া

Opalina

শৈবাল

Vaucheria, Botrydium, Sphaeroplea  ইত্যাদি

ছত্রাক

Saprolegnia, Penicilium, Agaricus, Mucor, Rhizopus ।

পুষ্পক উদ্ভিদ

এন্ডোর্স্পাম কোষ(শস্য কোষ), ‍তরুক্ষীর কোষ, পরাগরেণু

নিউক্লিয়াসের গঠন
Structure of Nucleus

রাসায়নিক গঠন: নিউক্লিয়াসের প্রধান রাসায়নিক উপাদান হলো- প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড। প্রোটিনগুলো হিস্টোন ও প্রোটামিন জাতীয়। নিউক্লিক এসিডের মধ্যে DNA ছাড়াও সামান্য RNA থাকে। অল্প পরিমান কো-এনজাইম, কো-ফ্যাক্টর ও অন্যান্য কিছু উপাদান নিউক্লিয়াসে থাকে।  

ভৌত গঠন: নিউক্লিয়াস সাধারনত বৃত্তাকার। তবে উপবৃত্তাকার, মূলাকার(ফিউজিফরম), স্তম্ভাকার, প্যাঁচানো, মাকু আকৃতি, বৃত্তাকার, অশ্ব-ক্ষুরাকৃতির, একাধিক খন্ডবিশিষ্ট, চাকতি সদৃশ এমনকি শাখান্বিতও হতে পারে। কোষ বিভাজনের প্রাক্কালে ইন্টারফেজ বা বিশ্রাম দশায় সুগঠিত নিউক্লিয়াসের নিম্নোক্ত ৪টি প্রধান অংশ দেখা যায়:-

একটি সুগঠিত নিউক্লিয়াস সর্বমোট চারটি অংশ নিয়ে গঠিত । এগুলো হলো-

  • নিউক্লিয়ার ঝিল্লি / পর্দা / এনভেলপ
  • নিউক্লিওপ্লাজম
  • নিউক্লিওলাস
  • নিউক্লিয়ার রেটিকুলাম / ক্রোমাটিন জালিকা /ক্রোমোজোম

নিউক্লিয়ার ঝিল্লি / পর্দা / এনভেলপ

নিউক্লিয়াসকে ঘিরে যে দ্বিস্তরী আবরণ থাকে তাকে নিউক্লিয়ার ঝিল্লি বা কেন্দ্রিকা ঝিল্লি বলে। এটি দুটি স্তর বিশিষ্ট। এই ঝিল্লি লিপিড ও প্রোটিন এর সমন্বয়ে তৈরি হয়। এই ঝিল্লিতে মাঝে মাঝে কিছু ছিদ্র থাকে যেগুলোকে নিউক্লিয়ার রন্ধ্র বলা হয়।

নিউক্লিয়ার ঝিল্লির কাজ

  • সাইটোপ্লাজম থেকে নিউক্লিয় বস্তুসমূহকে আলাদা করে সংরক্ষণ করা।
  • নিউক্লিয়ার বন্ধ্রের মাধ্যমে নিউক্লিওপ্লাজম ও সাইটোপ্লাজম এর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা।
  • এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম এর সাথে যুক্ত হয়ে নিউক্লিয়াসের অবস্থানকে দৃঢ় করা।

নিউক্লিওপ্লাজম

নিউক্লিয়ার ঝিল্লির ভেতরে জেলির মত বস্তু বা রস থাকে। একে কেন্দ্রিকারস বা নিউক্লিওপ্লাজম বলে। নিউক্লিওপ্লাজমকে ক্যারিওলিম্ফও বলে। এতে নিউক্লিক অ্যাসিড ,প্রোটিন ,উৎসেচক ও কতিপয় খনিজ লবণ থাকে।

নিউক্লিওপ্লাজমের কাজ

  • নিউক্লিয়াসের বিভিন্ন জৈবনিক কাজে সাহায্য করে।
  • নিউক্লিওলাস ও ক্রোমাটিন জালিকা ধারণ করে।
  • নিউক্লিয়াস বিভাজন এর সময় ব্যবহারযোগ্য খাদ্য সঞ্চয় করে।

নিউক্লিওলাস

নিউক্লিয়াসে যে ছোট ও অধিকতর ঘন গোলাকার বস্তু দেখা যায় তাকে নিউক্লিওলাস বলে। অর্থাৎ, নিউক্লিওপ্লাজমের মধ্যে ক্রোমোজোমের সাথে সংলগ্ন গোলাকার বস্তুকে নিউক্লিওলাস বা বলে। এদেরকে ৩ টি অংশে ভাগ করা যায়। যথাঃ

  • তন্তুময়
  • দানাদার
  • ম্যাট্রিক্স

নিউক্লিওলাসের কাজ

  • বিভিন্ন প্রকার RNA সংশ্লেষণ করে।
  • প্রোটিন সংশ্লেষণ ও সংরক্ষণ করে।
  • রাইবোজোম সংশ্লেষণ করে।
  • নিউক্লিক এসিড ভান্ডার হিসেবে কাজ করে।

নিউক্লিয়ার রেটিকুলাম / ক্রোমাটিন জালিকা / ক্রোমোজোম

কোষের বিশ্রামকালে অর্থাৎ যখন কোষ বিভাজন চলে না , তখন নিউক্লিয়াসে কুন্ডলী পাকানো সূক্ষ্ম সূতার মতো অংশই হচ্ছে ক্রোমাটিন জালিকা বা নিউক্লিয়ার রেটিকুলাম।কোষ বিভাজনের সময় এরা মোটা এবং খাটো হয় তাই তখন তাদের আলাদা আলাদা ক্রোমোজোম হিসেবে দেখা যায়।

নিউক্লিয়ার রেটিকুলামের কাজ

  • বংশগতি ও বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করে।
  • মিউটেশন, প্রকরণ সৃষ্টি ইত্যাদি কাজেও মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
  • RNA সংশ্লেষণ এর মাধ্যমে প্রোটিনে বার্তা প্রেরণ করে।

Structure of Nucleus

  • Typically, it is the most evident organelle in the cell.
  • The nucleus is completely bound by membranes.
  • It is engirdled by a structure referred to as the nuclear envelope.
  • The membrane distinguishes the cytoplasm from the contents of the nucleus
  • The cell’s chromosomes are also confined within it.
  • DNA is present in the Chromosomes, and they provide the genetic information required for the creation of different cell components in addition to the reproduction of life.

নিউক্লিয়াসের কাজ
Nucleus Function

  • নিউক্লিয়াসকে কোষের মস্তিষ্ক বলা হয়। কোষের সব ধরনের কাজ নিউক্লিয়াস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
  • নিউক্লিক এসিডের ভান্ডার হিসেবে কাজ করে।
  • রাইবোজোম সৃষ্টি করে।
  • RNA সংশ্লেষণ করে।
  • আমাদের দেহের প্রোটিন সংশ্লেষণ ও সংরক্ষণ করে।
  • ক্রোমাটিন জালিকা, নিউক্লিওলাস, নিউক্লিওপ্লাজম, নিউক্লিয়ার মেমব্রেন ধারণ করে।
  • কোষের সব ধরনের জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • বংশগতি ও বৈশিষ্ট্যসমূহ ধারণ ও বহন করে।
  • নিউক্লিয়াসের বিভাজনের সময় সময় ব্যবহারযোগ্য খাদ্য সঞ্চয় করে।
  • নিউক্লিয়াসের বিভিন্ন অংশ সমূহ ধারণ করে ইত্যাদি।

নিউক্লিয়াস এবং নিউক্লিওলাসের মধ্যে পার্থক্য

নিউক্লিয়াস ও নিউক্লিওলাসের পার্থক্য

বৈশিষ্ট্য

নিউক্লিয়াস

নিউক্লিওলাস

অবস্থান

নিউক্লিয়াস সাইটোপ্লাজমে থাকে।

নিউক্লিওলাস নিউক্লিওপ্লাজমে থাকে।

অংশ

এটি প্রোটোপ্লাজমীয় অংশ।

এটি নিউক্লিয় অংশ

গঠন

নিউক্লিয় পর্দা, নিউক্লিওপ্লাজম, ও ক্রোমাটিন জালিকা দিয়ে তৈরি।

রাইবোজোম দানা ও ক্রোমাটিন তন্তু দিয়ে তৈরি।

সংযুক্তি

কোন ক্রোমোজোম এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকে না।

নির্দিষ্ট ক্রোমোজোমের সঙ্গে যুক্ত থাকে।

কাজ

নিউক্লিয় বস্তু সংশ্লেষ করে।

রাইবোজোম সংশ্লেষ করে।

Guidance from Subhendu Paul Sir

YouTube player

Loading

Leave a Reply

error: